Better Life with Steem|| The Diary Game|| 25- 08-2025||
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
বিবাহিত মেয়েরা বাবা-মাকে কাছে পেলে সকল কষ্টই ভুলে যায় ।আপনারা সকলেই জানেন কিছুদিন থেকে আমার বাপি-ও মা আমার বাসায় এসেছেন । অবশ্য তারা এবার অনেক দিন থাকবে কারণ বাপি ডাক্তার দেখাবে ।আজ সবার কথাটাই সত্যি মনে হচ্ছে যে, ”মানুষ অবসরে আসার পরে নানা রকম অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে ”।
বাপি ২০১৯ সালে “বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক” থেকে অবসরে আসেন । বিগত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন অসুখ বাপির শরীরে বাসা বেঁধেছে। ডায়াবেটিস থেকেই এই সমস্যাটা হতে পারে ।২০২১ সালে বাপিকে নিয়ে একবার কলকাতা গিয়েছিলাম, তারপর ২০২৩ সালে একবার কলকাতা গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য।
![]() |
---|
তখন যতটা সুস্থ ছিলেন এখন তার থেকে অনেক অসুস্থ ।এমনকি সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। সে বারবার বলছে যে ,আমার কত অসুখ, আমার কত সমস্যা । আমরা সব সময় চেষ্টা করি তাকে হাসি খুশি রাখতে ।এমনকি মাঝে মাঝে তাকে বকা দিতে হয়, ভালোবাসতে হয় , শাসন করতে হয়। কারণ বয়স হয়ে গেলে বাচ্চাদের মত আচরণ করে ।
চাকরী জীবনে বাবা অনেক হ্যান্ডসাম ছিলেন, অনেক পরিপাটি একটি মানুষ ছিলেন ।হঠাৎ বিভিন্ন অসুখের কারণে অনেক ভেঙ্গে পড়েছেন। আজ খুব সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা হল।আজ ছিল পঁচিশে আগস্ট। আজ বাপির চোখের অপারেশনের ১৫ দিন হলো, তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে ।
বাপির চোখ পরীক্ষা করে চশমা দিবেন। অন্যদিকে বিকেল বেলা মেয়ের প্রাকটিকাল আছে। আজ মেয়ের পরীক্ষা শেষ। বাপিকে নিয়ে যাব সকালবেলা। দুটো সন্তানকে দু’ই সময় নিয়ে যেতে হবে তাই খুব চিন্তার ভিতর ছিলাম । আজকে আর্মি বাবু ছুটি নিতে পারেনি তাই বাবা ও মেয়েকে নিয়ে আমায় যেতে হবে ।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকাল বেলা বাপিকে নিয়ে ছুটলাম ডাক্তারের কাছে। সকাল ৯ঃ০০ টার ভিতরে ডাক্তারের কাছে আমাদের পৌঁছাতে হবে। ইদানিং রান্নাবান্নার কোনো কাজই আমি করতে পারছি না কারণ ওদেরকে নিয়ে বাইরে যেতে হচ্ছে তাই রান্নাবান্নার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মায়ের কাছে ।
মা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও সমস্ত কিছু হাসি মুখে করে নিচ্ছে। আমিও ততটা সুস্থ নেই কারন একা হাতে সমস্ত কিছু সামলাতে সত্যি মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে একটু প্রেসার যাচ্ছে, তাও শান্তি নিজের বাবা মাকে কাছে পাচ্ছি। আমরা গিয়ে ফাইল জমা দিলাম ।তবে একটি বিষয় বুঝলাম না, অপারেশনের মাত্র ১৫ দিন পরে আসলাম ।
![]() | ![]() |
---|
আমাদের এক মাস হয়নি কিন্তু ডাক্তারের ভিজিট সম্পূর্ণটা রেখেছে। আমাদের জানা মতে অন্যান্য ডাক্তারের কাছে এক মাসের ভিতরে আসলে ভিজিট অর্ধেকটা নিয়ে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ ভিজিট রেখেছিল ।যাইহোক কিছুই করার নেই, তাদের নিয়ম পালন করতেই হবে।বাপি কে ডাক্তার দেখিয়ে চোখ পরীক্ষা করে ,নতুন চশমা বানাতে দিয়ে আসলাম।
চশমার গ্লাস ও ফ্রেম সহ নিয়েছিল ২,৩০০ টাকা (BDT) । এই ডাক্তার সাহেব অনেক ভালো , তার কাছে কিছুদিন আগে মায়ের চোখ অপারেশন করে লেন্স বসানো হয়েছিল। তিনি এখন পরিচিত হয়ে গেল, মায়ের চোখে কিছু সমস্যা ছিল,সেগুলো শোনার পরে মায়ের জন্য ড্রপ লিখে দিলেন। আমাদের বাসায় আসতে আসতে দুপুর ১২ঃ৩২ বেজে গেল।
![]() | ![]() |
---|
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে মা কি রান্না করছে তাই দেখতে গেলাম, মা আমাকে একটু রেস্ট নিতে বলছেন। আবার মেয়েকে নিয়ে ছুটতে হবে। মেয়ের বিকেল তিনটার সময় প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা আছে। তাই আর মায়ের কোন কাজে হাত লাগালাম না ।একটু বিশ্রাম নিলাম। দুপুরের খাবার শেষে আমরা দুপুর ২ টার সময় বাসা থেকে বেরিয়ে যাই।
আজ ওদের পরীক্ষা শেষ তাই সবাই মিলে ফুচকা ,ঝালমুড়ি, আইসক্রিম খাওয়া হলো ।মামাকে বলেছিলাম ফুচকাতে ঝাল দিতে, মামা এতটাই ঝাল দিল ( পাকা পাকা নাগা মরিচ) এত পরিমাণে দিল যে, ঝালে আমার কান গরম হয়ে গিয়েছিল । আমরা ঝাল থেকে বাঁচার জন্য চকবার আইক্রিম নিলাম ।খেয়ে দেয়ে আবার মেট্রো করে মা-মেয়ে বাসায় চলে আসি।
![]() |
---|
বাবার জন্য কিছু ফল নিয়ে আসলাম। সবুজ আপেল ডায়বেটিস পেশেন্টের জন্য খুবই উপকারী ।এখন সাধারণত সব জায়গাতে এই ফলগুলো পাওয়া যায় না তাই আমি আগারগাঁও থেকে এগুলো নিয়ে আসলাম । সবুজ আপেল ৪০০ টাকা কেজি, ড্রাগন ২০০ টাকা কেজি এবং পেঁপে ১টা ছিল ১৫০ টাকা। বাপির দাঁতের সমস্যা তাই আপেল জুস করে দেয়া হয়েছে। ড্রাগন কেটে দিলে তা খেতে পেরেছে ।
এইতো ,এভাবেই চলে গেল আমার আজকের দিনটি ।সবাই আমাদের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন, আমার বাপি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যেতে পারে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।শুভরাত্রি ।
Thank you, Ma'am.@lirvic