Better life with steem || The Diary Game || 16 December
সকলকে জানাচ্ছি মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা । দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের পরে ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই স্বাধীনতার পিছনে অনেক বড় ইতিহাস রয়েছে তা আমরা অবশ্যই অনলাইন ,পাঠ্যপুস্তক এবং বিভিন্ন সাহিত্যিকদের বই পড়লে জানতে পারি । সকল শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।
২০২২ সালের মহান বিজয় দিবসের তোলা ছবি যা আমার fb থেকে নিয়েছি |
প্রতিবছর এই দিনে সকাল ৬ টার ভিতরে আমরা প্যারেড স্কয়ারের মাঠে থাকি। জাতীয় সংগীত থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দিনটি উদযাপন করি ।কিছুদিন পরে মামনির পরীক্ষা থাকার কারণে এবার কোন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে যোগদান করেনি তাই আমরা বাসাতেই ছিলাম ।
সকাল |
---|
প্রতিদিনের মতো সকাল সাতটায় উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ।মামনি পড়তে বসল আর আজকেসকালের নাস্তায় সে নুডুলস ও ম্যাটারনি রান্না করে দিতে বলল । তা দিয়ে আমাদের সকালের নাস্তা সেরে নিলাম ।সংসারের টুকিটাকি কাজ সেরে নিয়ে স্নান করে প্রার্থনা করে নিলাম ।আজকে সকালে সকল কোচিং বন্ধ ছিল তাই সকালে সে রকম রান্না তারা ছিল না । কিছু পোস্ট পড়ে কমেন্ট করনলাম ।
দুপুর |
---|
দুপুরের জন্য রান্না ঘরে চলে গেলাম । দুপুরে রান্না শেষ করে মেয়েকে খেতে দিলাম আমিও খেয়ে নিলাম । মেয়ে একটু বিশ্রাম নিল এবং আমার বাকি কাজ সেরে নিলাম ।
বিকেল |
---|
বিকেল পাঁচটার সময় আমরা ইংলিশ কোচিংয়ে গেলাম । বরিশাল শহরটি লাল সবুজে সেজেছে ।যেহেতু আজকের বিজয় দিবস তাই বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ,স্কুল ,কলেজ ,অফিস লাল সবুজের আলোয় আলোকিত হয়েছে ।
সন্ধ্যা ও রাত |
---|
বাসায় আসার পথে এই আলোকসজ্জা দেখে খুবই ভালো লাগলো। লাল সবুজের এই আলোকসজ্জা আমাদেরকে জানাচ্ছে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক ।
১৪ তারিখে সাগরের গান গায়ে হলুদ ছিল এবং ১৫ তারিখে বিয়ে ছিল আর আজ সাগর তার নতুন বউকে নিয়ে এসেছে । নতুন বউ বরণের অনেক আয়োজন চলছে ।মামনির পড়ার টিচার বাসায় ছিল তাই আমরা নিচে যাইনি । আমি ব্যালকনি থেকে কিছু ছবি তুলে নিলাম ।
আসলে আমাদের হিন্দু ধর্মে বিবাহ রীতিতে অনেক সুন্দর এবং কিছুটা ব্যয়বহুল । অনেক আনন্দ ও রীতিনীতি মানে নতুন বউকে ঘরে তোলা হয়। একটি মেয়ে তার চিরচেনা প্রিয় পরিবার ,বাবা-মা, ভাই-বোনকে ছেড়ে নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে যায় ।এখন থেকে সারা জীবনের জন্য তার একমাত্র পরিচয় হলো সে সাগরের স্ত্রী ,সেই বাড়ির বউ, এটাই তার বাড়ি । তার সেই চেনা বাড়িটি হয়ে যায় তার বাবার বাড়ি ।
বাবার বাড়ির অতিথি হয়ে যায় সে । তাকে ধরতে দেয়া হয় জ্যান্ত মাছ ।পানি ভর্তি কলসি কাকে নিতে বলা হয় ।আরো অনেক নিয়ম পালন করতে হয় । বিয়ের দিনে সারাদিন উপবাস থেকে, সকল দেব-দেবীকে সাক্ষী রেখে, যজ্ঞ করে , মন্ত্র পাঠ করে, সিধু দান করে এই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তারা। তাদের এই কষ্ট ও সবার আনন্দ নিয়ে তারা একটি সুখী সংসার শুরু করতে যাচ্ছে। নব দম্পতির জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা ।
রাতের খাবার খেয়ে নিলাম ।কিছু পোস্ট পড়ে কমেন্ট করলাম ।আমার দিনলিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিজয় দিবসের সুন্দর একটি মহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। যদিও বা এবছর আপনি বাসায় ছিলেন। প্রতিবছর বিজয় দিবস আমাদের মঝে আসে নতুন নতুন উপলক্ষ নিয়ে। বিজয় আমাদের অহংকার। সন্তানদের বিজয় দিবসের সঠিক শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের।
আপনি আপনার ধর্মের বিবাহ রীতি নীতি নিয়েও চমৎকার কিছু লিখা এবং ফটোগ্রাফি আমাদের উপহার দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আপনার দিনটি দারুন কেটেছে। ভালো থাকবেন দিদি। শুভকামনা রইলো।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইল। আপনি অন্যান্য বছরগুলোতে প্যারেড স্কয়ারে গেলেও এবার যাননি।মেয়ের পরীক্ষা থাকায় বাসাতেই থাকতে হয়েছে।বাসার রান্না বান্না করলেন।বিজয়ের মাসে সব সরকারী অফিসগুলো আলোকসজ্জায় সাজানো হয়।বেশ ভালো লাগে এটা।
হিন্দু বিবাহের কথা নলেছেন আপনি।আসলেই অনেক রীতি আমাদের। তবে সেগুলো বেশ মজারও।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের দিনটা আপনার খুব কর্মব্যস্ততার মাঝে কেটেছে। এরপরে খুব দ্রুত ঘুম থেকে উঠে সকাল ছয়টার মধ্যে প্যারেড স্কয়ারের মাঠে জাতীয় সংগীতসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন।
এরপরে আপনার মেয়েকে নাস্তা দিলেন এবং আপনার মেয়ে কোচিংয়ে দিলেন। দুপুর ে খাবার খেলেন হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেক কিছু মেনে নিতে নিতে তারপরে বিয়ের কার্য সম্পন্ন করা হয়, তবে আমার অনেক হাসি পেয়েছে এখানে তাজা মাছ ধরতে দিয়েছে বলে,,,,
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আমাদের বিয়েতে অনেক নিয়ম কানুন পালন করতে হয়।
🥰
নয় মাস যুদ্ধ করে আমাদের একটি স্বাধীন ভাষা উপহার দিয়েছেন শহীদরা আমরা তাদের কাছে সব সময় ঋণী থাকবো। আমাদের বাংলা ভাষায় কথা বলতে হলে কোন কষ্ট করতে হয় না কিন্তু এটা স্বাধীন করতে কত মানুষের যে প্রাণ দিয়েছে তার ধারণার বাইরে। আপনার রাতের খাবারটা খুব লোভনীয় খাবার ছিল। আমাদের সাথে আপনার এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
৯ মাস যুদ্ধ করার পর মুক্তিযুদ্ধের আমাদের বাংলা স্বাধীনতা ভাষা উপর দিয়েছে। আমরা তাদের কাছে অনেক ঋণী হয়ে আছি তাদের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারব না। মা মেয়ে সকালে নুডুলস দিয়ে নাস্তা করলেন। আপনার মেয়ের কোচিং বন্ধ ছিল তার জন্য দুপুরের রান্নার এত তারা ছিল না। দুপুরে রান্নাবান্না করে মা মেয়ে খেয়ে নিলেন।
আসলে আপু ঠিক বলেছেন আপনাদের বিয়েতে অনেক নিয়ম কানুন পালন করতে হয়। আমাদের মুসলমানের বিয়েতে তবে এত কিছু পালন করা হয় না অল্পতেই শেষ হয়ে যায় বিয়ে।
থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে শেয়ার করলেন।
দেশ প্রেম আসে আসলে মন থেকে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি চলে যান প্যারেড স্কয়ারের মাঠে জাতীয় সংগীতসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আপনাকেও মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
এবং আপনার মামুনি আজ আপনাকে সকালে নাস্তা হিসেবে নুডুলস ও ম্যাটারনি রান্না করে দিতে বলল যা আপনি তৈরি করে দিয়েছিলেন আপনার মামনি কে। এবং সকালে সংসারের টুকিটাকি কিছু কাজ করে স্নান করে প্রার্থনা করে নিলেন এবং কোচিং বন্ধ থাকার কারণে আজ খুব বেশি রান্না ছিলো না,তাই আপনি কমিউনিটিতে ঢুকে কিছু কমেন্ট করলেন।
যাইহোক সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভালো এবং সুস্থ থাকবেন এবং পরবর্তী আকর্ষণের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
লেখা পড়ার শুরুতেই মা মেয়েকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম। দুজনকেই খুব সুন্দর দেখাচ্ছে লাল সবুজে। সকাল বেলা ম্যাকারনি খেয়ে দিন শুরু করেছেন।হিন্দু বিয়ের নিয়মকানুনের সাথে আমি খুব পরিচিত। কারন আমার বাবার বাড়ির আশেপাশের বাড়িগুলোর বিয়েতে থাকা হতো।খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিলো আমাদের এলাকার হিন্দু মুসলিম পরিবারগুলোতে।মিস করি সেই দিনগুলো এখনো।
ভালে থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
আসলে বিজয় দিবস হল একটা আনন্দের দিন । আর এই দিবসে আমরা লাল সবুজের সেজে উঠি। সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখি মেয়েকেও জড়িয়ে রাখি যাতে আমাদের মন মানসিকতা ভালো থাকে। আমি বিশ্বাস করি, বাচ্চাদের এই সব বিষয়ের সাথে পরিচিত করা ভালো। তাতে তাদের মনের বিকাশ লাভ করে ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/muktaseo/status/1736110326918304046
বাঙালির ইতিহাসে বিজয় দিবস একটি গৌরবের দিন৷ এই দিনেই ১৯৭১ সালে আমরা শত্রু মুক্ত হয়েছিলাম। পরাধীনতার জিন্জির থেকে বেড়িয়ে স্বাধীন জাতি হিসেবে ঘোষিত হয়েছিলাম। অনেক প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর সময়গুলোর বিবরণ আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
সত্যি আমরা ভাগ্যবান। আমরা একটি স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমরা সেই স্বাধীনতার আগ মুহূর্ত আসেনি তাই মুক্তি যুদ্ধকে আমরা পাইনি। তবে আমাদের এই স্বাধীন দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।