Better Life With Steem || The Diary Game || 15th January 2024||
Made by Canva |
Hello,
Everyone.
সবাইকে পৌষ সংক্রান্তি অথবা মকরসংক্রান্তির শুভেচ্ছা রইল ।আশা করি সকলে ভাল আছেন এবং এই দিনটি সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছিলেন ।আমার গতকালকের দিনটি কেমন কেটেছিল সে বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করিতে এসেছি । যতই ঠান্ডা পড়ুক না কেন আমাদের জীবন কিন্তু একই গতিতে অতিবাহিত হচ্ছে । প্রতিদিনের ন্যায় আজও খুব সকালে উঠলাম। কারণ আজকের সকাল ৮টায় মেয়ের এক্সাম ছিল ।
সকাল ৬ টার সময় আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং সংসারের টুকিটাকি কাজ করে নিলাম। মেয়েকে ৭:০০ টার দিকে উঠালাম ।প্রতিদিনের ন্যায় আজও সকালে সে কিছু খেতে চাচ্ছে না । বাইরে প্রচুর ঠান্ডা আছে তাই আমি সকাল সকাল আর নাস্তা না বানিয়ে শুধু এক কাপ চা তৈরি করে নিলাম। চা ও বিস্কুট দিয়ে আমার নাস্তা সেরে নিলাম ।
মা-মেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ।যেহেতু বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা । রিকশাতে ঠান্ডা আরো বেশি লাগে সেজন্য আমি গরম পোশাক পড়ে নিজেকে প্যাকেট করে নিলাম ।কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে নিজেকে যতটুক পারা যায় সুরক্ষিত রাখা । আমি সুস্থ থাকলে আমার পরিবারকেও সুস্থ রাখতে পারব ।মেয়েকে বললাম মার্কস পড়ে নিতে এবং তার টুপি দিতে কিন্তু সে আর পরলো না ।আমরা তখনও সূর্যের দেখা পায়নি ।শুধু সাদা কুয়াশা ঘেরা শহর। ওদের তিন ঘন্টা পরীক্ষা ছিল।
মায়েরা গল্প করতে ছিল যেহেতু পরীক্ষা খুবই নিকটে চলে এসেছে। সবারই একটা বাড়তি চিন্তা কাজ করছে ।পরীক্ষায় শেষে বাসায় চলে আসি ।এসে কিছু হালকা খাবার খেয়ে নেই । আমি স্নান করে ঠাকুর পূজা দিয়ে নিয়েছি । শুরুতে ঠাকুর পূজা না দিলে আমার মনের ভেতর কেমন লাগে। যেহেতু সকালে দিতে পারি নাই তাই কোচিং থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে স্নান করে ঠাকুর পূজা দিয়ে নিলাম। গোপাল সোনাকে শীতের পোশাকে দারুন লাগছে ।
আজকে পৌষ সংক্রান্তি ছিল সঙ্গে গোসাই নবান্ন ছিল। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন আমার শাশুড়ি মা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন কিছুদিন আগে তাই এই বছর আমি আর গোপাল সেনাকে নবান্ন দিতে পারিনি । আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সামনের বছরে নবান্ন করে দিতে পারব তাই মনটা একটু খারাপ লাগছে । দুপুর বেলার রান্নার আয়োজন শুরু করে দিলাম। আজকে রান্না করছি মেয়ের পছন্দ অনুযায়ী। নিরামিষ বাঁধাকপি ভাজি ,মুরগির মাংস ও পোলাও ।মাংসের ভিতরে গোটা রসুন দিলে মেয়ে পছন্দ করে আমিও পছন্দ করি ।
আমি আর বিকেলে ঘুমাইনি। আমাদের কমিউনিটিতে দারুন একটি প্রতিযোগিতা চলছে । প্রতিযোগিতার বিষয়টি অনেক আকর্ষণীয় ছিল । সেখানে আমার এন্ট্রি পোস্ট লিখতে বসে গেলাম ।কখন যে আমার লিখতে লিখতে সন্ধ্যা হয়ে গেল । আমি ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যা কালের প্রার্থনা করে নিলাম ।ও বলা হয়নি, আমি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে অল্প কিছু চিনিগুড়া চাল এবং মিনিকেট চাল ভিজিয়ে রেখেছিলাম ।সেগুলোই বেলেন্ডারে বিট করে নিলাম।
আজকের সাজের পিঠা বানাতে হয় কারণ আজকের পৌষ সংক্রান্তি ।এটা দেখে এসেছি আমার শাশুড়ি মাকে ,আমার মাকে ,আমার দিদাকে । এটা একটি বাঙালির ফসলী উৎসব । তারা বলতেন এই দিনে মানে পৌষ মাসের শেষের দিন সকল অশুভ দূর করার জন্য এবং শুভকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এই উৎসব পালন করা হয় । এগুলো সংসারের মঙ্গল বয়ে আনে । আমিও আমার গুণীজনদের কথা অনুসরণ করার চেষ্টা করি। বেশি আর কিছু করিনি অল্প সমযয়ের মধ্যে কিছু পিঠা তৈরি করে নিলাম।
অনেকেরই ধারণা গ্যাসের চুলাতে ভালো হয় না কিন্তু কোন চিন্তার বিষয় নেই। গ্যাসের চুলাতে খুব সুন্দর হয় এবং খুব নরম তুলতলেও হয় । আমি মিষ্টি অতটা পছন্দ করি না তাই অল্প সামান্যই আমি ভিজিয়ে ছিলাম বাকিটা শুকনা রেখেছিলাম । শুকনো পিঠার জন্য আমি কিছু ধনিয়াপাতার ভর্তা বানিয়ে নিয়েছিলাম ।টিচার আসলেন পড়াতে তাকেও নাস্তায় আমি পিঠা দিয়েছিলাম। তিনি খুব প্রশংসা করলো ।কারন তার স্ত্রী নাকি এই পিঠা গ্যাসে বানাতে পারে না। তিনি আমার কাছে পিঠের রেসিপি জানতে চেয়েছিল।
শিক্ষক পড়িয়ে যাওয়ার পরে মা-মেয়ে রাতে খাবার পিঠা দিয়ে সেরে নিলাম আর অন্য কিছু খেলাম না। ভেবেছিলাম ডায়েরিটা রাত্রে লিখবো কিন্তু শীত এবং শরীর কোনটাই সায় দিচ্ছিল না তাই পোস্টটি আর করতে পারলাম না। তাই আজ দিনের কাজ শেষে পোস্টটি লিখতে বসলাম ।
আশা করি আপনাদের গতকালকের দিনটি ভালো কেটেছিল ।আসলে এক একটি দিন চলে যায় আর মনে হচ্ছে আমাদের আয়ু থেকে এক একটি দিন চলে যাচ্ছে ।সত্যি পৃথিবীটা অনেক সুন্দর ।জানিনা কতদিন এই সুন্দর পৃথিবী দেখার সুযোগ হবে ।সবার জন্য রইল শুভকামনা। আজ এখানেই শেষ করছি ।
https://twitter.com/muktaseo/status/1747275978571935798
দিদি পৌষ সংক্রান্তির শুভেচ্ছা নেবেন। আমাদের দেশে পৌষ সংক্রান্তিতে ঘরে ঘরে উৎসব পালিত হয়। পিঠা পায়েশ এবং ভালো খাবার দাবার খাওয়ার মধ্যদিয়ে অনেকে এই উৎসব পালন করেন।
আপনি প্রতিদিনের মতো আজকেও ব্যস্ততম একটি দিন পার করেছেন। সংসারিক কাজের ফাকে মেয়েকে সময় দেয়া এবং তাকে নিয়ে স্কুল কিংবা কোচিং এ যাওয়া চ্যলেঞ্জিং একটি কাজ বলে আমি মনে করি।
যাইহোক এই শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং পরিবারের সবাইকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবেন এই কামনা করি। ভালো থাকবেন।
বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের দেশের এটাই ঐতিহ্য নানা উৎসব আনন্দে মেতে থাকি আমরা । আমাদের যতই কষ্ট থাকুক মনে কিন্তু আমরা এইসব উদযাপন করতে ভালোবাসি ।বাঙালিরা নিজে খেতে ভালোবাসে অন্যকে খাওয়াতে ও ভালোবাসে ।আমিও চেষ্টা করছি সবকিছু সুন্দর একই গতিতে চালানোর ।বাকিটা ঈশ্বরের হাতে ।আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমানে যে কনকনে শীত এই শীতে বাইরে কোথাও যাওয়া এবং কোন কাজে বের হওয়া খুব দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আজকে আপনাদের পৌষ সংক্রান্তি তাই আপনাদের ধর্ম অনুযায়ী পিঠা বানানো উৎসব চলতেছে তাই আপনি খুব সুন্দর করে পিঠাও বানিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি সুন্দর কার্যলিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়েছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ভাইয়া , এই শীতে সকালবেলা বাহিরে কাজে বেরোনো খুবই কঠিন তারপরেও কিছুই করার নেই। যেহেতু আমাদের প্রয়োজন,তাই প্রয়োজনে তো আমাদের যেতেই হবে। তারপরও যতটা সম্ভব নিজেকে সেইভে রাখা যায় তার চেষ্টা করি ।সৃষ্টিকর্তা সবাইকে ভালো রাখুক ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
শিক্ষা জীবনে সন্তানের সাথে সাথে মাকেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়।এই শীতের সকালে বাহিরে বের হওয়াটা অনেক কষ্টকর তার ওপরে রিক্সা করে যাতায়াত করা আরও বেশি কষ্ট কর, অনেক বাতাস লাগে।
মেয়ের আবদারে দুপুরে বেশ,ভালোই মজার রান্না করেছেন। আর মাংসে আস্ত রসিন আমারও অনেক বেশি পছন্দ।
অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে,ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।