Better Life With Steem || The Diary game || 13 April 2024||
কেটে যাওয়া চৈত্র সংক্রান্তির দিনটি |
---|
Hello,
Everyone,
আজকের অন্য দিনের মতো সকালবেলা উঠতে পারিনি এবং হাঁটতেও যায়নি ।আমি এতটা অসুস্থ ছিলাম যে সকালবেলা উঠে হাঁটতে যাওয়ার ইচ্ছে করছিল না । অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারণে এবং আগে থেকে কিছুটা অসুস্থ থাকার কারণে আমার পেশার একদম লো হয়ে গেছে । এমন অসুস্থ আমি কখনোই হয়নি ।
বছরের শেষে আমি এতটাই অসুস্থ হলাম , জানিনা নতুন বছরের দিন গুলো আমার কিভাবে কেটবে ? সে নিয়ে চিন্তায় আছি ।সকাল ৮টার সময় ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিলাম ।আজ গঙ্গা পূজা করতে হবে তাই আমি আর বৌদি গঙ্গা পূজা করার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম ।
হিন্দু ধর্মে এই দিনে গঙ্গা পূজা করা হয় ।আমরা ফুল, ফল, মোম, ধুপকাঠি, তেল, সিঁদুর, পান ও সুপারি , কাঁচা আম দিয়ে গঙ্গা দেবীর পূজা করে থাকি। চৈত্র মাসের শেষ দিনে বা বছরের এই শেষ দিনে আমরা গঙ্গা পূজা করে থাকি।
বছরের যত গ্লানি, ভুল মুছে গিয়ে নতুন বছরের সব কিছু শুভ বার্তা নিয়ে আসবে। সেই কামনা করে গঙ্গা দেবীকে আমরা পূজা দিয়ে থাকি । আমি আর বৌদি গঙ্গা পূজা দেয়ার জন্য ”আকরাবাড়ি” মন্দিরে গিয়েছিলাম । এখানে অনেকেই পুজো দিতে আসেন। এখানে মন্দিরটা অনেক সুন্দর। অনেক দেব- দেবীর মন্দির এখানে আছে।
আমি এই মন্দিরে আগে কখনোই আসিনি। এখনো অনেক দিদি,কাকিরা আসেন গঙ্গা পূজা দিতে। আমিও সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে আছি তাদের দেয়া হলে পরে আমরা নামবো। আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ হল। আমরা গঙ্গা পূজা দেয়ার জন্য ঘাটে নেমে গেলাম।
তেল, সিঁদুর, পান ও কাঁচা আম ভাসিয়ে , মনের যত কথা ,আশা আছে মায়ের সাথে বললাম এবং মায়ের কাছে প্রাণভরে আশীর্বাদ চাইলাম ।আশা করি সকলের এই দিনগুলো খুব ভালো কাটছে ।আপন জনদের সাথে সবাই দিনটির আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারছেন ।
চৈত্র সংক্রান্তি হল , বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের ভিতরে একটি পার্বণ। এই দিনে নানান নিয়ম কানুন পালন করা হয় ।সকল বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে । বিশেষ করে যারা ব্যবসায়ী তাদের দোকানপাট পরিষ্কার করা হয় এবং পহেলা বৈশাখ হালখাতার আয়োজন করা হয়।
এই চৈত্র সংক্রান্তিতে হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিভিন্ন পূজা অর্চনা করে থাকেন। চড়ক পূজা, নীল পূজা, করে থাকেন। বর্তমান সময়ে চড়ক পূজা অতটা দেখা যায় না ।
সকালের নাস্তায় দই, চিড়া, মুরি খেলাম । আজকে দুপুরের খাবারে নিরামিষ হবে ।১৪ শাক ভাজি, তিতার ঝোল, টক ডাল এগুলো আজ খেতে হয় ।আমার শাশুড়ি মা বলতেন যে , আজ সকাল বেলা এক চামচ টক দইয়ের সাথে দু ফোঁটা নিম পাতার রস মিলিয়ে খেলে এলার্জি ও খুজলি ভালো হয়ে যায় ।
আমরা দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।কিছুসময় শুয়েছিলাম কিন্তু ঘুম আর আসলোনা ।
সন্ধ্যাবেলা হরি - গৌরী সহ বিভিন্ন সাজে সেজে একবার নীল নাচ নিয়ে আসেন। অনেক বছর পরে দেখলাম এই নীল নাচ ।শহরেতো এসব দেখাই যায় না । এভাবে কেটে গেল আমার চৈত্র সংক্রান্তি দিনটি।
আশা করি ১৪৩১ বঙ্গাব্দে আমাদের সকলের দিনগুলো ভালই যাবে। সেই আশা রেখে আজ বিদায় নিচ্ছি ।সবার জন্য রইল শুভকামনা
আপনার শরীরটা খুব অসুস্থ জেনে খারাপ লাগছে। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। প্রতিটি ধর্মেরই নিজস্ব কিছু রীতি নীতি রয়েছে আর সেগুলো পালন করলে মনে প্রশান্তির ছোয়া লাগে, তার পাশাপাশি মন পবিত্র হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন ধর্মের সাথে যুক্ত রয়েছি।
আপনার শরীরটা খারাপ জেনে খুব খারাপ লাগলো। দোয়া করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।