Better Life With Steem || The Diary game || 12 March 2024||
12 March 2024 |
---|
###Hello
Everyone,
পরীক্ষা শেষ ব্যস্ততা অনেকটাই কমে যাবার কথা ছিল কিন্তু আমার ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেছে । যেহেতু মেয়ের পরীক্ষা শেষ সেহেতু আমাদের বরিশাল জেলা ছাড়তে হবে । আর্মি বাবুর অনেক দিন আগেই পোস্টিং হয়ে গেছিল কিন্তু মামনীর পরীক্ষার জন্য আমরা এখানে থেকে যাই । এখন পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল তাই আমাদের আবার আর্মি বাবুর সাথে যেতে হবে। নতুন স্থান, নতুন লোকজন , নতুন শিক্ষা পতিষ্ঠান, নতুন প্রতিবেশীর সাথে আমাদেরকে আবার মানিয়ে নিতে হবে ।
তবে এই আমার প্রথম নয় ! সে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি ।কারন আমার বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন । তিনিও তিন বছর পর পর এভাবে পোস্টিং হতেন। মা আমাদেরকে নিয়ে এভাবে নতুন নতুন জেলা- উপজেলায় ঘুরতেন। নতুন শহর দেখা হয় এবং বিভিন্ন লোকজনের সাথেও আমাদের পরিচয় হয় । তাদের ভালোবাসায় আমরা আমাদের আপনজনদেরকে ছেড়ে দূরে থাকার কষ্টটা ভুলে থাকি।
সকালে |
---|
আজ ১২ই মার্চ ,আজ মামনীর ”বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়” পরীক্ষা ছিল এবং শেষ পরীক্ষা তাই আমরা উপবাস ছিলাম ।এখানে ভাবিদের সাথে আমার খুব সুন্দর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। ছয়টি বছর ওদের সাথে ছিলাম। তারা আমাকে ছোট বোনের মতোই স্নেহ করতো ।
আজ খুব সকালে উঠি ও প্রতিদিনের মতো কিছু রান্না করি । আজকেও সব রান্না করতে পারেনি যেহেতু আমাদের নয়টায় বের হতে হয়েছিল ।বাকি রান্না মা করেছিল । আজকে আমাদের মন্দিরে পুজো দিতে হবে তাই মেয়েদেরকে পরীক্ষার কেন্দ্রে দিয়ে আমরা কিছু ফল ও মিষ্টি কিনে নেই এবং পুজার সামগ্রী কিনে মন্দিরে গেলাম ।সেখানে বসে আমরা কিছুক্ষণ গীতা পাঠ করলাম ।
ঠাকুরদা বলেছিলেন, মঙ্গলবার মায়ের পূজা আছে। পূজা শুরু হবে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে তাই আমরা ওখানে গীতা পাঠ করে আবার ভাবিদের সাথে দেখা করার জন্য আসলাম । ওদের সাথে অনেক কথাবার্তা হল ।ভাবীরা তাদের বাচ্চাদের জন্য কোন টিচারের কাছে কোন বিষয় পড়াবে তার তালিকা করতেছে কিন্তু আমার এগুলো সবই খুঁজতে হবে ।আমি আবার একা হয়ে যাচ্ছি ।
দুপুর |
---|
ভাবি আমাকে তার গাছের গোলাপ ও একটি আর্টিফিশিয়াল গোলাপের টপ উপহার দিলেন। এরি মাঝে দুপুর ১টা বেজে গেল।পরীক্ষার সময় শেষ তাই ছুটির ঘন্টা বেজে উঠলো ।আমরা পরীক্ষা শেষে মন্দিরে গেলাম ওদেরকে নিয়ে । ঠাকুরদা পূজায় বসে গেলেন ।
মামনিরা কিছু ছবি তুলে নিল ।সত্যিই এই দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল ।ওরা পরীক্ষা শেষে ক্লান্ত ছিল তাই ওর বাবার সাথে বাসায় চলে আসলো । আমরা মন্দিরে ছিলাম। পূজো হল আমরা অঞ্জলি দিলাম এবং সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম ।পুজো শেষ হতে তিনটে বেজে গেল, বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরে খাবার খেলাম ।
সন্ধ্যা |
---|
আজ ছিল প্রথম রোজা। প্রতিবারই আমরা ইফতারি বাসায় তৈরি করি কিন্তু আজ শরীর ভালো না থাকায় আর্মিবাবু বাহির থেকে ইফতারি নিয়ে আসলেন । এভাবে আমায় কেটে গেল ১২ই মার্চের দিনটি।
বিকেল থেকে শরীরটা খুব খারাপ ছিল ।ভেবেছিলাম পোস্ট লিখতে পারবো কিন্তু শরীর আর সায় দিচ্ছে না তাই অনেকদিন হলো আমার ল্যাপটপ নিয়ে বসা হয়নি ।আমাদের জন্য দোয়া করবেন ।সবাই সুস্থ থাকবেন ।আজ এখানে শেষ করছি ।
জ্বী দিদি যারা সরকারী চাকুরিজীবি তাদের প্রায়শই এই দূর্ভোগ পোহাতে হয়। একটি স্থানে দীর্ঘদিন থাকার কারণে সেই স্থানের প্রতি কেমন জানি একটা মায়া তৈরি হয়ে যায়। সত্যি সেই মায়া ত্যাগ করে চলে যাওয়া অনেক কঠিন।
যাইহোক আশা করি আপনার মেয়ের ফলাফল আশানুরুপ হবে। তার জন্য অনেক দোয়া রইলো। দিনলিপিটি উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে। ভালো থাকবেন।
নতুন জায়গায় নতুন পরিবেশের মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে আমাদের প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হয় তবে আস্তে আস্তে সব মানিয়ে নিতে হবে। মেয়েকে নতুন স্কুলে ভর্তি করাতে হয়েছে। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের রান্না করেছিলেন। আজ মন্দিরে পূজা দিতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।।
সরকারি চাকুরি মানেই বাচ্চাদের স্কুল সময় সময় পরিবর্তন করা, আপনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়েছিল কারণ আপনার বাবা সরকারি চাকুরি করতেন। খুব সুন্দর দিন পার করেছেন এবং তা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আজকে দেখছি অনেক ব্যস্ততার মাঝে দিনটি অতিবাহিত করেছেন ৷ আজকে মঙ্গলবার আজকে পূজা ছিলো আপনারা সবাই সেই পূজায় অংশগ্রহণ করেছেন ৷ তারপর সবাই মিলে পূজার কার্যক্রম গুলো শুরু করে দেন ৷
তারপর বিকেল বেলা বেশ কিছু খাবার দিয়ে ইফতার সেরে ফেলেন ৷ বেশ ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
We support quality posts anywhere and with any tags.
Thank you, Sir.
সরকারি চাকরিতে ক্ষেত্রে এমনটাই হয়, কারণ এর ভুক্তভোগী আমিও। তবে এটা আমার কাছে আনন্দ লাগে। আজ আপনার মেয়ের পরীক্ষা ছিল এবং পরীক্ষার মাঝে খুব সুন্দর একটা সময় কেটেছে আপনার।