আশা করি সকলে সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আমিও আপনাদের সকলের আশীর্বাদ নিয়ে ভালোই আছি ।আমি গত কালকে বলেছিলাম যে ,আজকে আমার বাসায় অতিথি আসবেন। তাই আজকে সকাল ৭টায় আমার ঘুম ভেঙে গেল এবং ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সংসারের টুকিটাকি কাজ সেরে নেই ।
স্নান করে শুরুতেই ঠাকুর পূজা দিয়ে নেই কারণ আজকে আমার রান্নাঘরে বেশি সময় কেটে যাবে । গতকাল রাতে আমি চাল ভিজিয়ে রেখেছিলাম, যেহেতু সাঁঝের পিঠা বানাতে হবে । সেই চাল গুলো আগে পানি ঝড়িয়ে নেই এবং ব্যালেন্ডারের সাহায্যে আমি চালগুলো গুড়ো করে নেই ।সাজের পিঠা বানিয়ে তা আবার শিরায় ভিজিয়ে ফেলি ।যেহেতু আমি সবকিছু আজকে রান্না করতেছি। আমি কোন কিছু গতকাল রান্না করে রাখিনি ,আজ সব ফ্রেশ রান্না করব ।
আজকে কি রান্না হবে গতকাল রাত্রে সব কিছু ভেবে রেখেছিলাম। রান্নার শুরুতেই আমি সবকিছু কেটে, মসলা তৈরি করে নেই ।ইতোমধ্যে সকাল ১০:৩০ মিনিটে আর্মি বাবু চলে আসলেন ।অবশ্য ঢাকা থেকে বরিশালে আসতে ৩ঘন্টা থেকে ৩:৩০ ঘণ্টা সময় লাগে । আজকে আমার বাসায় কলকাতা থেকে অতিথি আসবেন।
তারা হলেন আমার পিসাত ননদের ছেলে , ছেলে বউ ও ননদ ।তাই আর্মি বাবু তাদের সাথে দেখা করার জন্য দু’দিনের ছুটি নিয়ে আসলো । তাকে পিঠে খেতে দিলাম । তিনি এই পিঠে অনেক পছন্দ করেন ।দুপুরের রান্নার সবকিছু আয়োজন শুরু করি । আজকের খাবারের তালিকায় ছিল ,শুরুতে তাদের দিব সাজের পিঠা এবং ভেজিটেবিল নুডুলস। দুপুরের খাবারের তালিকায় ছিল বেগুনি, চিংড়ি মাছের দোপেয়াজি ,সরষে ইলিশ, চিকেন রোস্ট , মাটনকারী , সফট ড্রিং ও ডেজার্ট হিসেবে ছিল আইসক্রিম ।
দুপুর ১২ টার সময় মেহমান চলে আসলেন । তারা আমার বাসা চিনেন না , আর্মি বাবুকে ফোন করেন এবং আর্মি বাবু গেট থেকে তাদেরকে নিয়ে আসেন। ওরা কলকাতায় থাকলেও আমাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ওরা খুবই আন্তরিক ।আমরা যখন ২০২৩ সালে জুন মাসে কলকাতা গিয়েছিলাম তখন ওরা আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছিল । ডাক্তার দেখানোর ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছিলেন ।সত্যি বউটা অনেক ভালো ।
তখনও আমার সম্পূর্ণ রান্না হয়নি ।ওরা আসার পরে আমি ভেজিটেবল নুডুলস রান্না করে নিলাম তবে আমি সব সবজি আগেই কেটে রেখেছিলাম ।ওরা আসার পরে রান্না করে গরম গরম পরিবেশন করলাম । আমি গতকালকে কোন কিছু রান্না করিনি। আজকে সবকিছু রান্না করব । ওরা আসার আগে আমার সরষে ইলিশ ,চিংড়ি মাছের দোপেয়াজি এগুলো রান্না হয়ে গিয়েছিল এবং রোস্টের মাংস প্রায় ভাজা হয়ে এসেছে।
আর্মি বাবু আজকে অনেক সাহায্য করেছেন । তিনি খাবার পরিবেশন করতে অনেক সাহায্য করেছেন ।মসল্লা বিট করতে সাহায্য করেছেন তবে তিনি অনেক চেষ্টা করে আমাকে সাহায্য করার জন্য কিন্তু তাতে আমার কাজ কমার থেকে আরও কাজ বাড়িয়ে দেয় । তার এই আন্তরিকতা খুবই ভালো লাগে ।এমনিতে সে কিছু করেনা কিন্তু বাসায় কোন অতিথি আসলে তখন আমার হাতে হাতে অনেক কাজ করে দেয়। তাদেরকে পিঠে ও ণুডুলস্ খেতে দিলাম । খাবার পরিবেশন করে আমি এক এক করে সবকিছু রান্না করে নিলাম।
রান্না শেষ হতে আমার প্রায় তিনটা বেজে গেল ।আমি টেবিলে সবকিছু সাজিয়ে দিয়েছি । আমি রান্নার করতে ভালোবাসি । নিজে অতটা খেতে ভালবাসি না কিন্তু অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসি। খাবার খেয়ে যদি প্রশংসা করে তখন আরো বেশি ভালো লাগে । আমি চেষ্টা করি খাবারের টেবিল পরিপাটি করে সাজিয়ে দিতে ।সাজানো দেখে কাকা খুবই খুশি হন এবং সে ভিডিও কলের মাধ্যমে তার কলকাতার বন্ধুদের কে দেখাচ্ছে ।
আমরা খাওয়া-দাওয়ার পরে অনেক গল্প করলাম এবং তারা আমার রান্নার খুব প্রশংসা করলো। সত্যি মেহমান বাসায় আসবে সেই যে একটা আনন্দ আনন্দ ভাব ,চলে গেলে কষ্টই লাগে ।প্রচলিত কথা আছে,” দেখলে মায়া না দেখলে ছায়া”।প্রবাদ তারা সন্ধ্যা ৬টায় চলেগেছেন । সন্ধ্যেকালের প্রার্থনা করে নিলাম ,অনেক ক্লান্ত ছিলাম তাই গত কালকে আর পোস্ট করতে পারিনি।
আজ আমার গতকালের দিনলিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এখানিই বিদায় নিচ্ছি ।স্টিমিট প্লাটফর্ম সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পরুক এবং সবার সাথে আমাদের আরো যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে । শুভ সন্ধ্যা ।
| Thank You So Much For Reading My Blog |
|---|
https://twitter.com/muktaseo/status/1755192423897002369
আপনার বানানো সাজের পিঠাগুলো দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। আসলে বাসায় মেহমান আসলে কখন রান্না বান্না করে শেষ করবো। এই টেনশন থাকে সবার আগে। এবং অনেক বেশি আনন্দের কারণে কখন যেসব কাজ করে সম্পন্ন করে ফেলি বুঝতেই পারি না। আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
সব মিলিয়ে আজ খুব সুন্দর এবং ব্যস্তময় একটি দিন কাটিয়েছেন।
আমার কাছে নুডুলস রান্নাটা বেশ পছন্দ হয়েছে এবং দেখতেও বেশ লোভনীয় ও লাগছে।
বাসায় মেহমান আসলে অন্যান্য দিন থেকে একটু ব্যস্ত বেশি থাকতে হয়।। আজ বাসায় মেহমান আসবে সেজন্য একটু ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন।। অন্যান্য দিন থেকে আজকে একটু বেশি রান্নাবান্না করেছেন।। তারপরও বাসায় মেহমান আসবে একটু মনের মধ্যে আনন্দ কাজ করতে ছিল।।।
বাসায় কোনো মেহমান আসার কথা হলে আমার তো আগের দিন থেকে ঘুমই হয় না।
যাইহোক একা হাতে পাকা রাধুনীর মতো সমস্ত কিছু আয়োজন করেছেন,বিষয়টা অনেক ভালো লাগলো।
সারাদিন এত কাজের পরে ক্লান্তি লাগা স্বাভাবিক।
রান্না আমার সখ বলতে পারেন । মেহমান আসলে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের রান্না করা হয় তাই সেই রান্না গুলোর প্রাক্টিস আরেকবার করে নিতে পারি ।অসুস্থ না হলে আমি রান্না করতে ভয় পাই না। আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু কাজ করেছিলেন তারপর স্নান করে পূজা দিয়েছিলেন। আমার মাও সকালে স্নান করে পূজার কাজ সেরে নেয়। সত্যি বলতে পিঠাগুলো দেখতে খুব লোভনীয় হয়েছে। সরষে ইলিশ আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রিয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।