The diary game|| Better life with steem || হঠাৎ বোনের বাসায় যাওয়া ||
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আমি আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে ভালো আছি। আজ শুক্রবার , একতো ছুটির দিন তারপর আবার বাড়তি পাওনা হলো বৃষ্টি তাই সকালে ওঠার কোন তারা ছিল না ।
সকাল বেলা খুব অলস সময় কাটিয়েছিলাম । সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ওদের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করি । মেয়ে ঘুম থেকে উঠতে চাচ্ছিল না। ওকে জোর করে ঘুম থেকে উঠানো হলো ।সকালের খাবার খেতে খেতে সকাল ১০:৩০ মিনিট বেজে গেল ।
মেয়েটা তার ছোট মায়ের বাসায় যাওয়ার জন্য খুব বায়না করছিল। অনেকদিন তার ছোট ভাইকে দেখা হয়নি। আজ তার বাবার ছুটি আছে তাই যাবার জন্য খুব বায়না করছে।কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিল তাই যাব কি যাব না সে নিয়ে দোটানায় পরে গেছিলাম ।ঢাকার শহরে বৃষ্টি হলে তো কোন কথাই নেই ।
আজকে ঢাকা শহরের কিছু কিছু রাস্তার অবস্থা। ল্যাপটপ থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে তোলা ছবি |
---|
সমস্ত রাস্তাঘাট নদীতে পরিণত হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তাঘাট পানিতে থৈ থৈ করে। যেহেতু কালকে রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছিল । কিছু কিছু রাস্তাঘাট পানিতে থৈ থৈ করছে ।সকালে হালকা হালকা বৃষ্টি পরছিল একবার ভাবছিলাম , আজকে আর যাব না অন্য একদিন যাবো ।
কিন্তু মেয়েটা ওর বাসায় যেতে চাচ্ছে ।বোনটা বারবার ফোন দিয়ে বলতেছে আসার জন্য । বোন বলল ,ওদের এলাকায় পানি হয়নি কোন সমস্যা হবে না। দুপুর ১ টার সময় আমরা বাসা থেকে বের হই । আমাদের বাসার সামনে পানি না হলেও গলির মাথায় অল্প কিছু জায়গা হাটু সমান বৃষ্টিরপানি জমে আছে। দেখে মনে হচ্ছে ছোট একটা নদী ।
আমরা রাজধানীতে আছি না গ্রামে আছি কিছুই বুঝতে পারছি না ।এখানে পানি পারা-পার করার জন্য নৌকা নেই তবে রিকশায় করে পানি পারাপার করে দেয় ।এক মিনিট সময় লাগে পানি পারাপার করতে তাই জন প্রতি ২০ টাকা করে নিয়ে থাকে। আমরা পানি পার হয়ে সিএনজি করে ওদের বাসায় চলে আসি। তবে মেইন রাস্তায় কোন পানি ছিল না । দুপুর ১:৩০মিনিটে ওদের বাসায় চলে আসি।
দেখি বোনটা রান্না করতেছে আর ছোট্ট বাবুটা দুষ্টুমি করতেছে। অনেকদিন পরে আমাদের দেখেছে তাই প্রথমে আমাদেরকে চিনতে পারছিল না ।এমনকি আমাদের কাছে আসতে চাচ্ছিল না ,আমার কোলে নিলে কান্না করে। আসলে ছোট বাচ্চাদের এমনই হয়। কিছুদিন না দেখলেই তারা ভুলে যায় এবং কিছু সময় তাদের সাথে থাকার পরে আবার বন্ধু হয়ে যায় ।
কিছুক্ষণ পরে আমাদের সাথে তার বন্ধুত্ব হয় । আমি বোনের রান্নায় কিছু সাহায্য করেছিলাম ।বাবুটা ঘুমিয়ে পরে । দুপুর তিনটার সময় আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নেই ।অনেক কিছু আয়োজন করেছিল । বাবুটা ঘুমিয়ে ছিল তাই আমরাও সকলে একটু ঘুমিয়ে নিলাম ।মজার বিষয় হলো , সে ঘুম থেকে উঠে আমার মাথায় কাছে এসে আমাকে ডাকছিল ।
তার সাথে খেলতে হবে। তার সাথে আমাদের খুব ভাব হয়ে গেল ।সন্ধ্যা কালের প্রার্থনা করে নিলাম ।বোন পিজা অর্ডার করলো । সন্ধ্যেবেলার নাস্তা করার শেষে আমরা সকলে মিলে গল্প করছিলাম । মেয়েটা ছোট মায়ের বাসায় থাকার জন্য বায়না করছে। ভাইয়ের সাথে থাকতে পারবে কিছু দিন।
ওকে রেখে আমরা রাত ৯ টার সময় বাসায় চলে আসছি । আমাদের থাকতে বলেছিল কিন্তু আর্মিবাবুর আগামীকাল অফিস আছে তাই আমরা রাতে বাসায় চলে আশি ।এই ছিল আমার আজকে দিনলিপী । আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ।আর আপনাদের দিনগুলো কেমন কেটে গেছে তা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। শুভ রাত্রি ।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
X:-
https://x.com/muktaseo/status/1811841728904855881
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে ভাল লাগল, বোনের বাসায় যাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম, ছোট বাচ্চারা কিছুদিন না দেখলে ভুলে যায়, আবার যখন তাদের সাথে একটু সময় দিয়ে খেলা করা যায় তখন তারা বন্ধু হয়ে যায়, তারা আর ছাড়তে চায় না। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সারাদিনের দৈনন্দিন কাজকাম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
বৃষ্টির দিনে সব দিকেই অসুবিধা হয়ে থাকে আপনার মেয়ে ছোট মায়ের বাসায় যাওয়ার জন্য বাইয়া করেছিল। বৃষ্টির কারণে না যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল পরবর্তীতে যান।। আসলে প্রতিটা গাড়চালোকে সুযোগে সৎ ব্যবহার করতে চায় তাই তো একটু ভাড়া বেশি নেয়।।