#### আমার “Incredible India ”পরিবারের সকল সদস্য কেমন আছেন ? নিশ্চয়ই ভালো আছি এবং সুস্থ আছেন ।আমিও সকলের ভালোবাসা ও আর্শীবাদ নিয়ে ভালোই আছি ।অনেক তো হলো ঈদে ঘোরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া, আত্মীয়-স্বজনের সাথে প্রিয় সময়টুকু কাটানো ।
এই ছুটির দিনে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার খেয়েছি ।সে খাবার গুলো দেখতে অনেক আর্কষনীয় এবং অনেক সুস্বাদু ছিল । আত্মীয় স্বজনের বাসাতেও আমরা গিয়েছিলাম । সেখানে বাসায় তৈরি করা খাবারগুলোও কিন্তু অনেক সুস্বাদু ছিল ।এই খাবারগুলো যেমন সুস্বাদু ছিল তেমনি আমাদের সাহায্যের জন্য উপকারী ছিল ।
রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো আমরা তৃপ্তি করে খাই কিন্তু এগুলো কিভাবে তৈরি করা হয় তা আমরা জানিনা ।কতটা স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই খাবারগুলো তৈরি করা হয় তাও আমরা বলতে পারি না । তারপরেও এগুলো খেতে আমাদের খুবই ভালো লাগে ।আমরা বিভিন্ন সময় আমরা আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে নামি-দামি রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যাই ।আমরা জানি এ খাবারগুলো খাওয়া আমাদের পক্ষে ততটা ভালো না , যতটা কম খাওয়া যায় ততটাই ভালো।
বাসার তৈরি খাবারের সাথে রেস্টুরেন্টের খাবারের কোন তুলনাই হয় না। মা-মাসীরা বাসায় খুব যত্ন করে খাবার তৈরি করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে এবং খাবারের গুণগতমান দেখে তৈরি করে থাকে। রেস্টুরেন্টে দেখা যাচ্ছে যে তারা যে তেল দিয়ে চিকেন ফ্রাই করছে সেই তেল হয়তোবা অনেক দিনের পুরানো। অনেক দিণের তেল পুরে কালো হয়ে গেছে তাতেই ফ্রাই করছে ।
তারপরও রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার জন্য আমরা সব সময় আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। কোন শুভ সংবাদ পেলেই আমরা বলে থাকি যে, কবে ট্রিট দিবা ? আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও বন্ধুদেরকে নিয়ে নামিদামি রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকি।
এই মুখরোচক সালাদ বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানে নুডুলস , ম্যাটারনিন, মাশরুম, বিভিন্ন ফল, মেয়নিস ও বিভিন্ন ধরনের শশ্সহ অনেক গুলো উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। সত্যি সালাদগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল।
কিন্তু এই সালাদে ব্যবহারকরা উপকরণগুলো কতদিন আগে কেটে রেখেছিল তা আমাদের জানা নেই ।আমরা না জেনে খুব মজা করে খাচ্ছি। পিজা নিয়েছিলাম, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সুস্বাদু ছিল , সেট মেনু অসাধারন ছিল । আমরা সকলে তৃপ্তি করে খেয়েছি। এখানে ব্যবহৃত চিকেনগুলো কতদিনের আগের তাআমরা জানিনা।
আমি খাবার খেতে ততটা পছন্দ করি না কিন্তু রান্না করতে খুবই ভালোবাসি এবং অন্যকে খাওয়াতে ভালবাসি । তবে আমি চাইনিজ খাবারটা যতটা পছন্দ করি কিন্তু আর্মি বাবু একদমই চাইনিজ খাবার পছন্দ করেন না ।তিনি পুরোপুরি বাঙালিয়ানা। তিনি বাংলা খাবারই বেশি পছন্দ করেন ।তার জন্যই আমার রান্না করার প্রতি ভালোবাসা বেড়েগেছে বেশি ।
মা সবসময় বলতেন, পুরুষদের যদি মন পেতে চাও তবে তাদেরকে ভালো ভালো রান্না করে খাওয়াও তবে সহজে তুমি তোমার কাজ হাসিল করতে পারবে”। আর্মি বাবু চিকেন রোস্ট একদম পছন্দ করেন না তবে বাচ্চার খুক পছন্দ করে । আর্মি বাবুর পছন্দের খাবার হল মাটন কষা ,সাদা ভাত ও হাঁসের মাংস ভুনা এবং সকল প্রকার বাংলা খাবার।
আমি রেস্টুরেন্ট এর খাবার পছন্দ করলেও ঘরে তৈরি খাবার গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে এবং এটি আমাদের জন্য খুবই স্বাস্থ্য করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময় অনলাইন সুযোগ সুবিধা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে আমরা কষ্ট করে রান্না না করেও ঘরে বসে দামী দামী রেস্টুরেন্টের খাবার অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে ঘরে বসে পেতে পারি খুব সহজে ।
তবে আমার কাছে বাসায় তৈরি খাবারই হল সবথেকে উত্তম। আপনাদের কাছে বাসার তৈরি খাবার বেশি ভালো লাগে না রেস্টুরেন্টের খাবার বেশি ভালো লাগে জানিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন।
আমি প্রথমে বলতে চাই আপনি এতো সুন্দর সুন্দর খাওয়ার বাসায় তৈরি করে রেখেছেন যে দেখে খেতে মন চাইছে অনেক এবং খাবার গুলো অনেক লোভনীয় আছে।
যাই হোক এটা ঠিক যে নিজেরা বাসায় তৈরি করে যে খাবার গুলো তৃপ্তি করে খেয়ে থাকি। আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে তৃপ্তি করে খেতে পারি অবশ্যই কিন্তু কবে তৈরি করা সেই খাবার গুলো আমরা জানি না। কিন্তু নিজেরা বাসায় তৈরি করে খেলে মনে আনন্দ অন্যরকম আসে।
আপনার মা যে কথাটি বলেছিল আসলেই একটি সত্য কথাই বলেছিল। আপনার মায়ের সেই কথা আপনি স্মরণে রেখেছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন ঘরে তৈরি খাবারের স্বাদ আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। আমরা যতই রেস্টুরেন্টে দামি দামি খাবার খায় না কেন ।বাড়িতে তৈরি খাবারের অন্য একটা সাধ আছে। তবুও আমাদের মন চায় মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে খাবার। আবার রান্না করতে ইচ্ছে না করলে মাঝে মাঝে খাবার অর্ডার করে দিতে হয়। তবে আমারও বাইরের খাবার খুব একটা পছন্দ নয়। বাইরের খাবার খাওয়া সত্যিই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
আপনি আজ আমার মনের মতো একটা বিষয় নিয়ে লেখা শেয়ার করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়া পছন্দ করি না তার থেকে বাসায় ভালো ভালো খাবার নিজেরা তৈরি করে খাওয়াটালে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
আপনি ঠিকই বলেছেন, রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে তো মজাই লাগে তবে সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি করা হচ্ছে সেটা যাচাই করে দেখি না আমরা।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
রেস্টুরেন্টে তৈরি করা খাবার আর বাসা তৈরি করা খাবারের মধ্যে, অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। তাদের খাবার দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখায়। তবে স্বাদ তেমন একটা পাওয়া যায় না। তবে আমরা যদি সেই একই খাবার বাসায় তৈরি করি। সেটা যেমন স্বাস্থ্যসম্মত হয় ঠিক তেমনি খেতেও বেশ ভালো লাগে।
আজকে আপনি আমাদের সাথে খুব মূল্যবান একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। রেস্টুরেন্টের খাবার আমরা যদি একটু চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু বাসায় তৈরি করে খেতে পারি। এবং অনেক পরিমানে তৈরি করতে পারি, আমাদের নিজের ইচ্ছে মত খাওয়া যায়। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।