Wonderland Amusement Park Visit|Part-1
সবাই কেমন আছেন? |
---|
![]() |
---|
Edited by Canva
Hello..
আমরা সবাই কমবেশি ঘুরতে পছন্দ করি। খাবার খেলে আমাদের যেমন পেট ভরে তেমনি মন ভরাতে ভ্রমণের বিকপ্ল নেই। সবারই উচিৎ অবসর পেলে কাছে হোক বা দূরে, ভ্রমণ করা। ভ্রমণে মন প্রফুল্ল হয়, আর মন ভালো থাকলে শরীর ও ভালো থাকে। আগে একটা সময় প্রতিমাসেই কম বেশি লম্বা সফরে বের হতাম, তবে এখন পরিবার হওয়ায় চাইলেও দূরে যাওয়া সম্ভব হয় না।
তাই বলে ভ্রমণ যে থেমে আছে তা কিন্তু নয়। প্রতি মাসেই কম বেশি ঘুরতে বের হই। এইতো গেল শুক্রবার ঘুলে এলাম সাতারকুল ১০০ ফিট এ অবস্থিত ফুলের রাজ্য Wonderland Amusement Park থেকে। আজকে সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এক পর্বে সম্পূর্ণ শেষ করলে সেটা অনেক বড় হয়ে যাবে বলে আমি এটি আলাদা আলাদা পর্ব করে প্রকাশ করছি। আজকে প্রথম পর্ব শুরু করছি।
![]() |
---|
গত শুক্রবার আমার ছোট ভাই, বোন ও বোনের জামাই আমাদের বাসায় বেরাতে আসে। তো তাদের নিয়ে সন্ধ্যেবেলা আমি ঘুরতে বের হই। অনেকদিন ধরে এই পার্কে যাবো যাবো করেও যাওয়া হয় না, অবশেষে আমার সুযোগ এলো।
আমরা সন্ধ্যার পরে ওয়ান্ডারল্যান্ড এমিউজমেন্ট পার্ক এর মেইন ফটকের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। সেখানে টিকিট কাউন্টার একদম ই ফাকা। মূলত সবাই আগেই এখানে প্রবেশ করে ফেলেছে, আমরাই মনে হয় সবার শেষে এসেছি। টিকিট কাউন্টার এ গিয়ে খোজ নিয়ে দেখলাম টিকিটের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। আমরা ৫ জন গিয়েছিলাম এবং সাথে আমার মেয়ে ছিল, তাই ৫ টা টিকেট কাটতে হয়েছিল। বাচ্চাদের টিকেটের প্রয়োজন নেই।
![]() | ![]() |
---|
টিকেট দেখিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সবার প্রথম আপনার নজর পড়বে কৃত্রিম ঝড়নার। কৃত্রিম হলেও এটি দেখতে ভীষণ সুন্দর। পানির শব্দটাও আপনার কানে আসবে শুরুতেই। ঝড়নার পাশেই ৩০-৪০ টা টবে পিটুনিয়া ও গাদা ফুল দিয়ে সাজানো। ফুলের গন্ধে মন মাতোয়ারা হয়ে যাবে নিমিষেই।
![]() |
---|
![]() |
---|
ঝরনার সামনে সবার ছবি তোলা শেষ হলে আমরা এবার বাম পাশের রাস্তা ধরে সামনের দিকে এগুতে থাকি। ভেতরে গিয়ে আমাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো, এ তো রীতিমতো ফুলের রাজ্য। যতদূর চোখ যায় শুধু ফুল আর ফুল। পার্কের ভেতরের রাস্তার দুপাশে ফুল, উপরে সাদা মরিচ বাতির ঝলকানি। এই পথ একদম পার্কের মাঝামাঝি চলে গিয়ে একটি ফোয়ারার কাছে গিয়ে ঠেকেছে। দূর থেকে ফোয়ারা টা চোখে পড়েছিল।
আমরা আস্তে আস্তে এই পথ দিয়ে ফোয়ারার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর ছবি তুলছি। ফুলের ঘ্রানে চারপাশ মৌ মৌ করছে। যদিও এখনো বসন্ত আসে নি, কিন্তু এখানে যেন বসন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে ভ্যালেন্টাইন ও পহেলা ফাগুন কে জাকজমকভাবে বরণ করার উদ্দেশ্যে যেন এই পার্ক সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
আমরা হাটতে হাটতে পানির ফোয়ারার সামনে চলে এলাম। এখানে পানির শব্দ আরো বেশি। ফোয়ারার চারপাশে ফুল আর ফুল, উপরে রঙ বেরঙ এর লাইট। সব মিলিয়ে দারুণ কাটবে সময়।
![]() |
---|
![]() |
---|
পানির ফোয়ারার পাশেই বড় একটা টবে অনেকগুলো পিটুনিয়া ফুল দেখে ফটোগ্রাফির লোভ সামলাতে পারলাম না। মনে মনে আফসোস হলো দিনের বেলা এলে এই ছবি গুলো আরো সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দী করা যেত।
আমরা সেখান থেকে বাঁদিকের পথ ধরে সামনে এগুতে লাগলাম। কিছুদূর গিয়েই দেখলাম পাথর দিয়ে বানানো খুব সুন্দর বসার জায়গা, পেছনে অসংখ্য ফুল। এটা মূলত সেল্ফি জোন। সবাই এখানে ছবি তুলে। আমরা এখানে বসে কিছু ছবি ক্যাপচার করলাম।
এই সেল্ফি জোন থেকে মেয়ে একটা রাইড দেখে ঊঠবে বলে চিল্লাতে লাগলো। এখানে পাশেই ট্রেনে ওঠার রাইড। ভাব্লাম মেয়ে যেহেতু ঊঠতে চাচ্ছে তাহলে ওখানে যাই। সেখানে গিয়ে আবার দেখলাম আলাদা টিকেট করা লাগবে। রাইডের ফি আবারো ১০০ টাকা। জানতে পারলাম যতগুলো রাইড আছে সব গুলোতে আলাদা করে টিকেট করা লাগবে, প্রতি রাইড ১০০ টাকা, শুনে তো পুরাই হতাশ।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন নতুন পার্ক উদ্বোধন হচ্ছে। আজকে আপনি ওয়ান্ডারল্যান্ড এমিউজমেন্ট পার্ক
এর মধ্যে ঘুরতে গিয়েছেন। আসলে আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পার্ক অনেক সুন্দর। ওখানে গিয়ে অনেক বেশি মজা করেছেন। অবশ্যই টিকেট কাটার ব্যবস্থা থাকতে হয়। তা না হলে অনেকেই টিকেট না কেটেই ভিতরে প্রবেশ করে। ধন্যবাদ আনন্দঘন মুহূর্তের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম ইবসত্য, এখন বিনোদনের জন্যে অনেক কেন্দ্র গড়েবতোলা হচ্ছে। বিশেষ করে শহরে এর সংখ্যা বাড়ছে। নাগরিক জীবনে একটু বিনোদনের আশায় মানুষ ও এসব জায়গায় ভিড় জমাচ্ছে। তেমনি একটি কেন্দ্র ঘোরার অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে কিন্তু সময়ের অভাবে হয় না।। আজকে সময় বের করে ঘুরতে বের হয়েছে।। আর সেখানে তারা কি কি দেখেছেন সবকিছুই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।। খুবই সুন্দর একটি দিন পার করেছেন আজকে।।
সময় ও সুযোগ সব সমিয় হয় না, এর মাঝেও সময় বের করে সুযোগ করে নিতে হয় ভ্রমণের জন্যে। ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট অওড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই ভাই আপনি একদম সঠিক কথা বলছেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝেমধ্যে একটু ঘোরাফেরা করা প্রয়োজন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য মন সবই ভালো থাকে। আপনিও শত ব্যস্ততার মাঝেও বাইরে ভ্রমণ করার জন্য গিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আনন্দের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ভ্রমণ মানেই মজা, এটি আত্মার খোরাগ যোগায়। তাই যত পারবেন সুযোগ পেলেই ঘুরতে বের হবেন। টাকা পয়সা এক সময় হবে কিন্তু ঘোরার সময় পাওয়া যাবে না, তাই এখনই সময় ঘোরাঘুরি করার।
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মতামতের জন্য