The Diary Game || 5th May|| Busy day at my office
![]() |
---|
সপ্তাহের প্রথম অফিশিয়াল দিন সব সময়ই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। টানা দু দিনের ছুটির পর রবিবার অফিস করাটা সব সময় কষ্টের ব্যাপার। সকাল বেলা ঘুম ভাংতেই মন চায় না। শরীর কেমন যেন অচল থাকে।
সকাল বেলা কোন রকম ঘুম থেকে ঊঠে চোখ ডলতে ডলতে অফিসে যাবার মত অবস্থা। তবে অফিসে এসেই কাজের প্রেসারে যেন আমি মেশিনের মত হয়ে যাই। এই যেমন সকালে অফিসে গিয়ে গত মাসের কাজের সামারি রিপোর্ট রেডি করা, আবার এরই ফাকে ব্যাংকে গিয়ে টোকেন নিয়ে কাজ শেষ করা, পার্টি লেজার গুলো আপডেট করা, সব কিছু যত দ্রুত সম্ভব শেষ করলাম।
![]() | ![]() |
---|
দুপুরের দিকে আবারো গুলশান ২ এর স্টেট ব্যাংক ওব ইন্ডিয়াতে যেতে হলো। এটি গুলশান ২ এর অনাবিল টাওয়ারে অবস্থিত। খুব ই সুন্দর আর আধুনিক বিল্ডিং, সামনে গাছ দিয়ে সাজানো। দেখলেই মন ভরে যায়।
![]() |
---|
ব্যাংকের কাজ শেষে অফিসে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খেয়ে যথারীতি জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষে আবারো কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া।
বিকেলে দারাজ থেকে কল এলো। একটা পাওয়ার ব্যাংক এর কেসিং অর্ডার করেছিলাম। ল্যাপটপের পুরাতন ব্যাটারি লাগিয়ে এই কেসিং দিয়ে পাওয়ার ব্যাংক বানালাম।
![]() |
---|
সন্ধ্যেবেলা অফিস থেকে বাসায় ফিরবো আর বাজার নিবোনা এমনটা সচারাচর খুব কম ই হয়। প্রতিদিন কিছু না কিছু কেনাকাটা থাকেই। এই যেমন আজকে আটা, বিটলবণ, শ্যাম্পু, মসলা আর ইস্পির প্যাকেট কিনে নিলাম। বড় শ্যাম্পুর বোতল কিনতে ভয় হয়, মেয়ে গোসলের সময় অযথা শেষ করে দেয়, তাই এই মিনিপ্যাক গুলো কেনা।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে মেয়ের সাথে কতক্ষণ খেল্লাম। সে নতুন গাড়ি পেয়ে খুব খুশি। সব সময় এটি নিয়ে খেলা করে। যদিও সে এখনো রিমোট দিয়ে এই গাড়ি কন্ট্রোল করতে শিখে নাই।
![]() |
---|
রাতের খাওয়া শেষ করে মেয়েকে ওষুধ খাওয়ালাম। কয়েকদিন ধরেই কাশি, লুমানা খেয়েও কাজ হচ্ছে না, পরে ডাক্তারের পরামর্শে একটা সিরাপ খাওয়ানো শুরু করেছি।
![]() |
---|
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। যদিও এখন আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা, তবে ওইযে গরমে ঘামের কারণে ঠান্ডা লেগে গেছে সেটা আর সাড়ছে না। এই সময়টাতে একটু বাড়তি সতর্ক থাকি। বিশেষ করে বাচ্চাদের দিকে ভালো করে খেয়াল রাখি। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে সাথে সাথেই সেটা মুছে দিতে হবে, অনেকেই এই সময় পাউডার মাখিয়ে দেয়, তবে ডাক্তাররা মাখাতে নিষেধ করে, এতে করে শরীরের লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে আরো খারাপ হতে পারে। বাচ্চাদের বেশি বেশি পানি খাওয়ান, প্রয়োজনে শরবত বা ট্যাং গুলিয়ে খাওয়াতে পারেন৷ তো এই ছিল আমার আজকের ডায়েরি, আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Tbanks for your support
হ্যা ভাই, এই ছুটির দিনের পর অফিস করতে ভীষণ কষ্ট হয়। মনে হয় আর একদিন যদি ছুটি বারতো। এভাবেই কাটছে দিন।
কেনাকাটা এখন অনেক সহজ হয়েছে এসব অনলাইন সপের কারণে।
ভাই আপনার ডায়েরি পড়ে ভালো লাগলো। কর্মময় প্রতিটি দিন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ব্যক্তিগতভাবে যতটা পারেন পরিবারকে সময় দেন এবং সকলের খোঁজখবর খুব ভালো করেই নেন। হাজারো ব্যস্ততা আমাদের যতটা গ্রাস করে এবং মানসিক যন্ত্রনা দেয়, পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটালে সবকিছু এক নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। বিশেষ করে সন্তানের সাথে কাটানো মহুর্তগুলো সত্যি দারুণ হয়।
যাইহোক ভাই এই সময়টায় আপনি ও আপনার পরিবার নিরাপদে থাকুন সেই দোয়া করছি। ভালো থাকবেন।
আমি যেখানেই থাকি বা যেই কাজই করি না কেন দিন শেষে আমাকে আমার পরিবারের কাছেই ফিরে আস্তে হয়। আপনার মন্তব্যে আপনি যথার্থই বলেছেন, যেকোন মানসিক যন্ত্রণা পরিবারের সাথে সময় ব্যয় করলে কেটে যায়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Yeah, it must be hectic day as you did a lot of works today. You visited bank, made food in the kitchen and took care of little baby. The bank of your country is so well maintained. Toys make life easier and fun. We should be thankful to almighty who gave stability in our life. Thank you for sharing your awesome day with us.
Thanks a lot for your valuable comment and supporting me
সপ্তাহে দুই দিন ছুটি কাটানোর পর অফিসে যেতে ইচ্ছে করে না। তারপরও কি আর করার অফিসে গিয়েছেন।
কিন্তু সাপ্তাহিক দুদিন ছুটির পর অফিসে গিয়ে কাজের ব্যস্ততা অনেক বেশি থাকে।
বাহ! আপনি তো খুব ভালো একটি কাজ করেছেন পুরাতন ব্যাটারি দিয়ে পাওয়ার ব্যাংক বানিয়েছেন।
অফিস থেকে বাসায় আসার সময় কিছু জিনিস কিনে নিয়ে এসেছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছুটির দিন গুলির আলসেমা ছুটি শেষ অব্দি থেকে যায়, তাই অফিসে যেতে ইচ্ছে করে না, তাই বলে তো আর জীবন থেমে থাকেনা। মাঝে মাঝে টুকটাক ইলেকট্রনিক এর কাজ গুলো আমি নিজেই করি, যেমন এই পাওয়ার ব্যাংক বানানোটা।
দুই দিনের ছুটি কাটিয়ে তৃতীয় দিন অফিসে যাওয়াটা একটু কষ্টকর, এটা স্বাভাবিক আমিও বিশ্বাস করি।কিন্তু তারপরেও কিছুই করার নেই। যাইহোক অফিসের কাজ গুলো সম্পন্ন করে দারাজ থেকে নিজের জন্য একটা পণ্য কিনে নিয়েছেন। সত্যি কথা বলতে আপনার পাওয়ার ব্যাংক কেসিং টা দারুন লাগছে।
আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হলেও একটু পরে গরম, যার কারণে শিশুরা বয়স্করা খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি নিজেও আজকে প্রায় অনেক দিন ধরে কাশি নিয়ে পড়ে আছি।এত পরিমাণে ওষুধ খেয়ে কিছুই ভালো লাগছে না। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া করি। সে যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যা আপু, এটা একদম সত্য ছুটির দিনের পর ছুটির রেশ থেকে যায়, ঠিক স্কুল এর সময় টাতেও এমন হত। ছুটি শেষ হবার পরদিন স্কুলে যেতে ইচ্ছে করতো না।