The Diary Game || 4th May ||Shopping at Jamuna Future Park Largest Shopping Mall in Asia
সাপ্তাহিক ছুটির দিন মানেই যেন পকেট ফাকা করার দিন। শুক্র ও শনিবার ব্যতীত অন্যান্য ছুটির দিনে পকেটে ৫০০ টাকা থাকলেই পার করে দিতে পারি। কিন্তু ছুটির দিন মানে কোন বাজেট করেই যেন কুল পাওয়া যায় না। মানুষের উপার্জন বাড়ার সাথে সাথে নাকি জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়, আর তখন জীবন যাত্রার মান বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তবে এসবই যেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন। এদেশে দাম বাড়ার জন্যে কোন কারণ লাগে না।
শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি কিভাবে পার করলাম সেটি এখন শেয়ার করতে চলেছি। আজকে, আগে থেকেই প্ল্যান করা ছিল সবাই মিলে যমুনা ফিউচারপার্কে যাবো, সকাল সকাল আমরা দুজনে বাসার রান্না থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ গুছিয়ে ফেললাম। আমি বাসায় থাকলে দেখি বাসার কাজ বেড়ে যায়, অন্যদিন গিন্নি একা যে কাজ গুলো দুপুর ১ টার মধ্যে শেষ করে আমি থাকলে সেই একই কাজ ২ টা বাজেও শেষ হয় না।
সকাল বেলার নাস্তায় আজকে ছিল কলা দিয়ে বানানো প্যানকেক। গিন্নি কোন কিছু নষ্ট হতে দেয় না, কলা এনেছিলাম যেগুলো অতিরিক্ত পেকে গিয়ে কালো হয়েছিল, সেগুলো নষ্ট না করে খাবার জন্যেই এই প্যান কেক রেসিপি। নাস্তা খেয়ে বিরিয়ানি রান্নার মিশনে নামলাম। আজকে চিকেন বিরিয়ানি রান্না হলো।
দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুরতে বের হবো কিন্তু মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো,কি আর করার ওর ঘুম ভাংগার অপেক্ষায় রইলাম। তীব্র গরমে একমাত্র বারান্দায় গেলে শান্তি পাই। বলতে পারেন বাসার মধ্যে এই বারান্দা টা আমার সব থেকে প্রিয় জায়গা।
মেয়ে ঘুম থেকে ঊঠলো ৪ টার সময়। আমরা আসরের নামাজ পড়ে যমুনা ফিউচার পার্ক এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেখানে যেতে যেতে ৫ টা বেজে গেল।
আমাদের মত মানুষের জন্যে এটি মোটেও আদর্শ জায়গা নয় কেনাকাটা করার। তার পরেও ছোট শালাবাবুকে কিছু কিনে দেয়ার পাশাপাশি শপিংমল ঘুরে দেখানোর উদ্দেশ্যে এখানে আসা। আর এখানে মেয়েও অনেক মজা পায় ঘুরতে। এসির ঠান্ডা বাতাস,মানুষের আনাগোনা কম থাকায় এখানে ঘোরাঘুরি করা অনেক আরামদায়ক।
আমরা প্রথমে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঘুরে লেভেল-১ অবস্থিত , আড়ং এ গেলাম। উদ্দেশ্য মেয়ের একটা জামা এক্সচেঞ্জ করা যেটি ঈদে সে গিফট পেয়েছে, কিন্তু মিজারমেন্ট ঠিক না থাকায় আর পড়তে পারে নি। তবে সেখানে গিয়ে হতাশ হলাম, তারা ১ মাসের মধ্যেই এক্সচেঞ্জ দেয়, এই ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না, তাই আর এক্সচেঞ্জ করা গেল না।
মেয়েকে জ্যুস কিনে দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে নবরূপায় গেলাম। মেয়ে সেখান থেকে একটা ছোট খেলনা গাড়ি কিনলো,আর গিন্নি নিল একটা কটন থ্রি-পিছ। কেনাকাটা শেষে ইনফিনিটিতে গিয়ে শালাবাবুর জন্যে একটা টি-শার্ট কিনে নিলাম। মেয়ে ঘুরতে ঘুরতে একটা হরিণ দেখে অনেক খুশি। তার কয়েকটা ছবি ক্যাপচার করে নিলাম।
আজকে যা যা কিনলাম সেগুলোর দাম সম্পর্কে একটু আইডিয়া দেই।
Product | Qty | Price(BDT) | Price(SP) |
---|---|---|---|
Three pcs dress | 1 | 1850 TK | 44.20 |
Mango Juice | 2 pkt | 60 TK | 1.43 |
T-shirt | 1 pcs | 1350 Tk | 32.25 |
Kodomo Shampo | 1 Pcs | 550 Tk | 13.14 |
Toy | 1 pcs | 200 Tk | 4.78 |
আমরা ৮ টার দিকে কেনাকাটা শেষ করে বের হলাম। বাসায় ফেরার পথে নান রুটি ও চিকেন চাপ নিলাম, কেননা বাসায় গিয়ে আর রান্না করার ইচ্ছে হবে না। প্রচুর পরিমাণে হাটাহাটিতে আমরা সবাই ক্লান্ত।
এই ছিল আমার আজকের কাটানো দিনটি। আয়ের থেকে ব্যয় দিন দিনে বেড়ে যাচ্ছে। এর মাঝেও যতটুকু পারা যায় জীবন যুদ্ধে ভালোভাবে টিকে থাকার মিশনে চলছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ছুটির দিনটা পরিবারের সাথে কাটানোই হয়ত সপ্তাহের সেরা মুহুর্ত। সারা সপ্তাহে কাজের চাপ থাকলেও ছুটির দিনে সবাই মনটা ফ্রেশ করতে কাছের মানুষগুলোকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে থাকে।
চিকেন বিরিয়ানি খেতে অধিকাংশ মানুষই হয়ত পছন্দ করে। আপনি যে রান্নার কাজে বেশ পাকা সেটা আমরা সকলেই জানি।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
রান্নায় পাকা বলা যাবে না, তবে নিজের রান্না নিজে করে খাবার মত অভিজ্ঞতা আমার আছে। ধন্যবাদ ভাই।
আপনার পোস্ট পড়ে তো মনে হয় যে আপনি রান্নায় বেশ পটু এবং এটা করতে বেশ ভালোবাসেন আপনি। নিত্য নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন এই আশা রাখি। ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post is upvoted by CCS curation trail from CCS - A community by witness @visionaer3003.
Vote for @visionaer3003 as witness.
Thanks a lot for supporing me.
ভাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি আপনি বেশ দারুণভাবে পার করেছেন। তবে ঠিক বলেছেন বাসার যে কাজগুলো আমাদের করতে দুঘন্টা বেশি সময় লাগে, আমাদের গিন্নিরা সেই কাজ এক ঘন্টায় করতে সক্ষম। যাইহোক আজ সকালে বেশ ভালো মন্দ রান্না হয়েছিলো আপনার বাসায়। যেহেতু ছুটির দিন তাই আপনি বাসায় ছিলেন এবং রান্নার কাজে সাহায্য করেছিলেন।
বিকেলে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে এবং কেনাকাটার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। সেখানে বেশ দারুন সময় পার করেছেন এবং স্ত্রী, সন্তান ও শালাবাবুকে বিভিন্ন কিছু কিনে দিয়েছেন। এমন মহুর্ত সত্যি সৃতির পাতায় অনেকদিন ধরে থেকে যাবে। ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
গিন্নিরা আসলেই যেন মেশিন। তারা যে কিভাবে দ্রুত কাজ গুলো করে ফেলে ভাবতেই অবাক হই।
হ্যা, ভাই পরিবারকে নিয়ে কাটানো দিন সব সময়ই অনেক মধুর হয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য