The Dairy Game || Village adventures || 16th June 2024
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। গ্রামে এসে গ্রামীন পরিবেশে সময় যে কিভাবে পার হয়ে যাচ্ছে বুঝতেই পারছি না। আজকের দিনটি কিভাবে কাটালাম সেটি এখন সবার সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। সকাল বেলার ঝুম বৃষ্টিতে কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম থেকে ঊঠে নিচতলায় এসে দেখলাম সবাই মিলে পিঠা বানাচ্ছে। আমার ছোট বোন এসেছিল আজকে বোন আর বোনজামাই চলে যাবে তাদের বাসায়, মেয়ের বাসায় পিঠা দিতে হবে, তাই আমার মা গতকাল রাত থেকে পিঠা বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল।
গিন্নি আর ছোট বোন মিলে কানমুছরি পিঠা বানাচ্ছিল, এগুলোর ভালো নাম পুলি পিঠা৷ পিঠার ভেতরে মাংস, নারিকেল বা ক্ষীর দেয়া হয়। খেতে দারুণ লাগে। আমি গিয়ে পিঠার ছাচ খুজে বের করে তাদের কাজ সহজ করে দিলাম।
পিঠা বানানো হয়ে গেলে চলে গেলাম ক্রিকেট খেলতে। বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমা হয়ে ছিল, তাই আমার চাচার ঊঠানে শটপিছ ক্রিকেট খেললাম। এই খেলার নিয়ম অনেক অদ্ভূদ। তবে খেলা খেলতে জানলে দারুণ খেলা জমে।
আমার ৮ ওভার করে প্রায় ৬ টা ম্যাচ খেললাম। একবার খেলা শুরু হলে নেশা শুরু হয়ে যায়। খেলা ফেলে কোথাও আর যেতে মন চায় না। মনে পরে ছোট বেলার কত শত স্মৃতি।
গ্রামে যারা ক্রিকেট খেলেছে তারা জানে এই খড়ের পালা গুলো আমাদের কত বড় শত্রু। কত বল যে এই পালায় হারিয়েছি তার ইয়াত্তা নেই। একবার বল ঢুকে গেলে খুজে পাওয়া বড় মুশকিল ব্যাপার।
খেলা শেষ করে ছাদে গেলাম মেহেদি পাতা তুলতে। আমার বাসার ছাদে প্রায় সব ধরনের গাছ রয়েছে। ছোট মেহেদি গাছে পাতায় ভরপুর ছিল। মেহেদি পাতা চুলের জন্যে দারুণ উপকারি। তাই ছোট ভাই কে সাথে নিয়ে অনেক গুলো মেহেদি পাতা তুলে আনলাম।
আগে দেখতাম মেহেদি পাতা শিলপাটায় বাটা হতো, তবে এখন সবাই ব্লেন্ড করে। আমিও কাজ সহজ করতে ব্লেন্ড করে নিলাম।
বয়স বাড়ছে, সাথে বাড়ছে পাকা চুলের সংখ্যা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত সাদা চুল গুলোকে আড়াল করতে চুলে মেহেদি দিয়ে বসে ছিলাম প্রায় এক ঘন্টা।
এদিকে মেহেক আর ইহফাজ মেহেদি দেখে তারাও হাতে দেবার বাহানা করলো। তাদের দুজনকে মেহেদি পড়িয়ে দিলাম। তবে তাদের ধৈর্য্য কম, একটু পরেই দেখি মেহেদি তুলে হাত ধুয়ে ফেলেছি। মেহেদি দেয়ার পর তুলে ধুয়ে ফেললে সেভাবে রঙ ধরতে চায় না। অন্তত আধা ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেললে আরো ভালো রঙ হতো। তার পরেও ছোট দের হাতে সব সময় ই ভালো রঙ ধরে। টিউব মেহেদি না দিয়ে বাচ্চাদের গাছের পাতার মেহেদি দেয়া ভালো, এতে কোন সাইড ইফেক্ট নেই।
বিকেল বেলা বাসার আম গাছের নীচে নেট বেধে দিলাম। দুদিন ধরে শুধু পাকা আম গুলো পড়ে পড়ে ফেটে যাচ্ছিল। তাই ভাব্লাম নেট বেধে দিলে পাকা আম গুলো পড়ে নেটে আটকে যাবে, আর থেতলে যাবে না।
রাতে বাসায় রান্না হচ্ছে দেখলাম। মা জিগেস করলো রাতে কি খাবো, টানা মাছ-মাংস আর খেতে ভালো লাগছে না, তাই মাকে বললাম করোলা ভাজি আর ডাল খাবো রাতে। মা গিন্নিকে নিয়ে রান্না শুরু করলো।
রাত ৯ টায় কমিউনিটির হ্যাংআউট ছিল। যদিও গ্রামে ইন্টারনেটের সমস্যা তার পরেও জয়েন করলাম।
যদিও অনেকেই ঈদের কারণে জয়েন হতে পারে নি তবে যারা জয়েন করেছিলাম সবাই মিলে দারুণ একটা সময় পার করেছি। @sampabiswas দিদি রীতিমতো যেন লাভগুরু হয়ে গেলেন, দারুণ সঞ্চালনায় হ্যাংআউট জমে ক্ষীর।
এভাবেই আজকের সুন্দরতম দিনটি কেটে গেল। সবাইকে আবারো ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
অর্গানিক মেহেদী গাছ থেকে তুলে তারপর শিলের ওপর ফেলে বেটে হাতে দেওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। এটা ছোটবেলার স্মৃতি বললে ভুল হবেনা মাঝেমধ্যে আমিও এখনো এমনটাই করি।
ঈদের সবথেকে বেশি আনন্দ হল সন্ধ্যা বেলায় ছোট বাচ্চাদের হাতে মেহেদি দিয়ে দেওয়া বিভিন্ন ফুলের ছবি হাতের তালুতে অঙ্কন করা।
আজকে হ্যাংআউটের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছিলাম তবে আমার কথা কেউ শুনতে পারছিল না আপনার বিয়ের বিষয়টা জানতে পেরেছি অনেক ভালো লাগলো আপনাদের ভেতরে এমন ভালোবাসা অটল থাকুক এই দোয়াই করি।
আসলে গাছের পাতা বেটে মেহেন্দি মাখার আনন্দ টা আমরা সেই ছোটবেলায় পার করে এসেছি। কাঠিতে নিয়ে কত কষ্ট করে হাতের তালুতে ডিজাইন করা হতো, এখঙ্কার ছেলে মেয়েরা সেটা বুঝবে না, তারা সব রেডিমেট পাচ্ছে। টিউব কিনে ইচ্ছেমতো ডিজাইন করছে।
আজকে শুরুটা হয়েছিলো বৃষ্টির শীতল পরিবেশের মধ্যে এবং তারপর পিঠা পুলি বানানোর মুহুর্ত নিয়ে। এগুলো আমি পুলি পিঠা নামেই চিনে থাকি। আপনি পিঠা বানানের কাজে হাত লাগিয়েছিলেন, আর এমনিতে আপনি রান্নার কাজ তো ভালো পারেন সেটা আমরা জানি। আপনারও সাদা চুলের সমস্যা রয়েছে জেনে খারাপ লাগলো আবার হাসিও পেলো কারন আমার নিজেরও একই সমস্যা রয়েছে। তাই এখানে আমারও একজন সঙ্গি পেয়েছি। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।
আসলে সাদা চুলের সমস্যায় প্রত্যেক ছেলেই পড়ে, এটাই নিয়ম, এটা আমাদের বয়স বাড়ার কথা স্মরণ করে দেয়। ৩ বছর আগেও যেখানে আমার মাথায় সাদা চুল ছিলনা, সেখানে এখন গুনে শেষ করা যায় না। তাই আফাতত মেহেন্দির উপর ভরসা
এখন বয়স কোনো ব্যাপার না অল্প বয়সেও অনেক মানুষের চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে আবার অনেকের পড়ে যাচ্ছে। এটা ভিটামিন এর অভাবে হচ্ছে। আমি নিজেও চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছি তবে যে তেলের কথা আপনাদের বলেছিলাম সেটায় উপকার হয়েছে। আমার ৬ মাস আগেও চুল সাদা ছিলো না তবে হঠাৎ করেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই আপনাকে ও পরিবারের সকলকে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনার পাশাপাশি মেহেক ও গ্রামে গিয়ে অনেক মজা করছে। মেহেদী পরা ছোট্টো হাতদুটো দেখেই আদর করতে মন চাইছে। কম সময়েই এতো ভালো রঙ ধরেছে আরও কিছু সময় রাখলে আরও ভালো হতো। আপনার মতো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কৌশল এখন আমরা সকলেই করি ☺। মাংসের পুর ভরা পুলি পিঠে কখনো খাইনি। তবে দেখে লোভনীয় লাগছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সারাদিনের গল্প শেয়ার করার জন্য পাশাপাশি আমাকে একটি নতুন নাম দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
গ্রামে গেলে আসলে সবারই সুন্দর সময় পার হয়, মীক তো গেলে আর আস্তেই চায় না। গাছের মেহেদী পাতা এই কারণেই সেরা, এটি যেমন রঙ হতে সময় নেয় তেমনি অনেকদিন স্থায়ী ও হয়। মাংসের পুর দিয়ে বানান পুলি আমাদের এই দিকে অনে জনপ্রিয়। একদিন বানিয়ে খাবেন, ধারণা পালটে যাবে।
গ্রামে গিয়ে যে আপনার দারুন সময় পার হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। আমাদের এখানে ওই পিঠার নাম পুলি পিঠা। কানমুছরি পিঠার নাম প্রথম শোনা হলো। আসলে এলাকাভেদে এক এক জায়গায় এক ধরনের নাম রয়েছে। আপনার ক্রিকেট খেলা দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কতদিন হয়ে গেছে খেলাধুলা করা হয় না। মেহেদী যে চুলের জন্য উপকারী সেটি আমিও জানি। বাচ্চারাও গাছের মেহেদি দিয়ে খুব খুশি হয়েছে। এটি খুব ভালো কাজ করেছেন কারণ টিউব মেহেদীতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকে। ভালো লাগলে আপনার দিনলিপি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাড়িতে গেলে আর কিছু হোক বা না হোক পিকনিক আর খেলাধূলা হয় কাজিন্দের সাথে নিয়ে। এই ঈদের সময়ই বছরে একবার আমরা সবাই এক সঙ্গে হই, অন্য সময় যে যদিকে ব্যাস্ত থাকে। যদিও এবার আমি বেশি দিন বাড়িতে থাকতে পারি নি।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোশট পড়ে সুন্দর মতামত দেবার জন্য।
আপনাকে প্রথমেই জানাই ঈদের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা বাড়িতে পিঠে ,পুলি বানিয়েছেন দেখতে তো বেশ ভালই লাগছে। বাচ্চারা মেহেন্দি পাতা দিতে হাতে দিয়ে মেহেন্দি করেছে ।তবে মেহেন্দি পাতা দিয়ে চুল কালো করা যায় সেটা জানা ছিল না। ছোটবেলায় আমরাও মেহেন্দি পাতা দিয়ে হাতে মেহেন্দি করতাম। তবে দোকানে মেহেন্দি কিনে নিয়ে পড়ার থেকে। পাতা বেটে নিয়ে পড়া অনেক ভালো। তবে আপনার পোস্টে পিঠাপুলির নাম গুলো নতুন শুনলাম।
আসলে মেহেন্দি পাতা দিলে চুল যে কালো হয় সেটা নয়, তবে কালো চুলের মাঝের দু চারটে সাদা চুল থাকলে এবং তখন চুলে মেন্দি দিলে সেই চুলটা লালচে হয়, তখন কালো চুলের ভীরে সেটাকেও কালো মনে হয়। মানে সাদা চুলকে লুকানো যায়।
অবশ্যই দোকানের কেনা মেহেন্দি থেকে গাছের পাতা বাটা মেহেন্দি শতগুন ভালো
এটা আবার একেবারেই বাস্তব টিউব মেহেদী রং চাইতে বাটা মেহেদি রং অনেকটাই স্বাস্থ্যকর এবং পাতা মেহেদী আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু টিউব মেহেদী আমাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের স্কিনের সমস্যা রয়েছে। তাদের জন্য তোর টিউব মেহেদী ব্যবহার করা, একেবারেই মারাত্মক একটা অপরাধের মতো।
গ্রামে এসে সবার সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করছেন আপনার মেয়ের হাতে মেহেদি দিয়েছে, অনেক বেশি খুশি। তাকে দেখে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। একদমই ঠিক বলেছেন আমরা সবাই অনেক বেশি মজা করেছিলাম। হ্যাংআউট এর মধ্যে সম্পা দিদি একেবারেই লাভ গুরু হয়ে গেছেন। উনি যেহেতু নিজেও লাভ ম্যানেজ করে বিয়ে করেছেন। তাই হয়তোবা এইদিক থেকে ওনার অনেক কিছু জানা ধন্যবাদ। একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
লাভ গুরু হতে হলে যে লাভ ম্যারেজ করতে হবে বিষয়টা কিন্তু এমন না, আমরা প্রত্যেকে প্রেমে পড়ি, কেউ বিয়ের আগে, কেউ বিয়ের পড়ে। তাই আমরা সবাই এই বিষয়ে এক্সপাত, তবে শম্পাদির প্রকাশ ভংগী টা আলাদা ছিল, এবং উনি পয়েন্ট গুলো ভালো ভাবে ফাইন্ড আউট করতে পেরেছিলেন, তাই উনাকে এই নাম দেয়া।
ও আচ্ছা তাহলে বিষয়টা আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ রিপ্লাই দিয়ে বিষয়টা আমাকে অবগত করার জন্য। এটা ঠিক আমরা সবাই প্রেমে পড়ি। কেউ বিয়ের আগে অথবা কেউ বিয়ের পরে। তবে সবাই সবকিছু জানে না, এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে দিদির মধ্যে অন্যরকম একটা এক্সপেরিয়েন্স আছে। ভালোবাসা সম্পর্কে, যার জন্যই হয়তো বা তিনি পয়েন্টগুলো সঠিকভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরতে পেরেছেন। ধন্যবাদ রিপ্লাই দেয়ার জন্য।