টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ||নেপাল বাঁধা পেরিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। কেমন আছেন সবাই। ঈদের ব্যস্ততার কারণে গত দুই দিন প্ল্যাটফর্মে আসা হয় নি। ঈদের দিনে বাংলাদেশ বনাপ নেপালের খেলা ছিল। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটের লড়াই টিকে থাকতে এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিল সকল বাঙালি। আজকে আমি এই খেলার রিভিউ নিয়ে চলে এলাম।
খেলা শুরু হবার আগে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি বেজে উঠলো, সাথে সাথে প্রতিটি খেলোয়ার থেকে শুরু করে বাংলাদেশি দর্শক, সবাই গলা ছেড়ে নিজ দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া শুরু করলো। কি সুন্দর মুহূর্ত।
টিভির পর্দায় তাদের কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে দেখে মন থেকে সম্মান জানাতে ইচ্ছে করলো, জানিনা তাদের অনুভূতি টা কত সুন্দর ছিল, কেননা অন্য দেশে গিয়ে এভাবে সবার সাথে নিজ দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার সুযোগ তো কালে ভদ্রে পাওয়া যায়।
বোলিং সহায়ক উইকেটে নেপাল অধিনায়ক টসে জিতে ব্যাটিং এ পাঠায় বাংলাদেশকে।
উইনিং কম্বিনেশন না ভেংগে বাংলাদেশ আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই খেলতে নামে।
নেপাল তরুণ দল হলেও তাদের বেশ কিছু তরুণ বিগ হিটার ব্যাটসম্যান রয়েছে, যাদের দখলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ও আছে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন লিটন কুমার দাস ও তরুণ তানজিদ তামিম। খেলা শুরুর আগেই ভাবি এই বুঝি উইকেট গেল। চিন্তা আর বাস্তবতার কোন ফাড়াক না রেখে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন তানজিদ তামিম।
এর পর ব্যাটসম্যান দের যেন অনেক তাড়া, তারাতারি মনে হয় কোরবানি দিতে হবে এরকম অবস্থা।
তাদের আসা যাওয়ার মিছিলে খেই হাড়িয়ে ফেললো টিম বাংলাদেশ, নেপাল মাতলো আনন্দে, যেন জেতার আগেই জিতে গিয়েছে।
ইনিংসের হাফ মানে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ালো ৫৭ রানসাথে নেই ৫ উইকেট।
তখনো ক্রিজে বাংলাদেশের প্রাণ ভ্রমর সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ এর সাথে ভুলবুঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার পর সাকিবের চোখে মুখে যেন বেদনার ছাপ।
নেপালের স্পিন বোলারের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হাড়িয়ে ফেললো দ্রুত। নেপালের সান্দিপ লামিচান আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ২য় দ্রুততম ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলল। সান্দিপের খেলা নিয়ে কত জল্পনা কল্পনা। ধর্ষণ মামলার কারণে কারাগারে ছিলেন অনেকদিন, কেন জানিতো তিনি আবারো নিজেকে নির্দোষ প্রমান করে ক্রিকেটে ফিরবেন।
শেষদিকে রিশাদ আর তাসকিনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে পারে ১০৬, এই স্লো পিচে রান অন্তত আরো ২০ টা কম হয়ে গিয়েছে, তার পরেও আমার মত অনেকেই আশায় ছিল, হয়তো এই রানেই আটকানো যাবে নেপাল কে।
নেপালের শুরুর ওভারটা ভালো হলেও তানজিম সাকিবের করা স্পেলে নেপাল ইনিংস এ ধ্বস নামে। তানজিম সাকিবের ইনসুইং আর আউটসুইং এর সামনে নেপালের ব্যাটসম্যানরা খাবি খেতে থাকে। দ্রুতই চার চারটে উইকেট হাড়িয়ে প্রথমেই ব্যাকফুটে চলে যায় নেপাল।
এর পরে নেপাল খেলায় ফিড়লো, একটা সময় মনে হচ্ছিল তাদের জয় হাতের কাছেই। কিন্তু মুস্তাফিজের করা স্পেলে নেপাল আবারো শেষ হয়ে যায়। টানা ডট সাথে উইকেট বিলিয়ে দিতে থাকে।
নেপালের ইনিংস এ শেষ পেরেক ঠুকে দেয় সাকিব আল হাসান। ছোট রান তাড়া করতে নেমে তারা হেরে যায় ২১ রানে। বাংলাদেশ পায় দারুণ এক জয়।
৪ ওভার বল করে ৭ রানের বিনিময়ে নেপালের ৪ টি উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন তানজিম সাকিব।
শ্রেণী | Sports |
---|---|
ডিভাইস | Samsung M31 |
স্ক্রিনশট | ইউটিউব |
লোকেশন | ঢাকা |
পোস্টে ব্যবহৃত সকল ছবি মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
এই জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোন প্রকার বাধা ছাড়াই পৌছে গেল সুপার এইটে। যেখানে বাংলাদেশকে লড়তে হবে অস্ট্রেলিয়া, আফগান ও ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ দলের জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত শেষ করছি।
টি-টোয়েন্টির ম্যাচ মানেই হচ্ছে অন্যরকম একটা উত্তেজনা। আর এই ম্যাচে ওভার অনেক কম হয়। যার কারণে খেলা অনেক বেশি জমে ওঠে। ২০ ওভারের খেলায় জমজমাট ভাবেই উত্তেজনা নিয়ে খেলা শুরু হওয়ার মাধ্যমে, অনেক বেশি রান করার একটা চিন্তাভাবনা থাকে। তবে বাংলাদেশ এ খেলায় জিতে গিয়েছে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। বাংলাদেশ একটু একটু করে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি বিশ্বকাপে তারা নিজেদের কাপ নিয়ে আসতে পারবে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাংলাদেশ এর ব্যাটার রা আসলে টি-২০ খেলার জন্য পারফেক্ট না, দুই একজন ছাড়া। যা ম্যাচ জিতে সব গুলো বোলারের ভালো বলিং এর কল্যানে। কবে যে আমরা ইন্ডিয়া বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত বিগ হিটার পাবো আর বড় বড় ম্যাচ গুলো জিতবো? আক্ষেপ থেকেই যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন, জানিনা কবে ইন্ডিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ভালো ব্যাটসম্যান আমরা পাব। তবে তার অপেক্ষায় আমরা অবশ্যই করতে পারি। আমার মনে হয় কোচ এবং খেলোয়াড় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে, অবশ্যই ভালোভাবে দেখে শুনে ভালো খেলোয়াড় গুলো নির্বাচন করা উচিত। এতে করে অন্ততপক্ষে বড় বড় ম্যাচ আমরা জিততে পারবো এবং নিজেদের মনের ইচ্ছে গুলো পূরণ হবে। এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ের ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় ফরমেট হচ্ছে টি২০। আর এই বছর টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্স তুলনামূলক ভালো। গত ম্যাচে নেদারল্যান্ড এর সাথে জিতে আগেই অনেকটা সুপার ৮ নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু তবুও নেপালের সাথে হারলে আবার সমীকরণের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। প্রথম ইনিংক্স দেখে ভেবেছিলাম বাংলাদেশ আজ বুঝি আর পারবে না। কিন্তু আমাদের ভুল প্রমাণ করে ঈদের আনন্দ দ্বিগুন করে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। ব্যাট হাতে কেউ সফলতা বা দেখলেও তানজীম সাকিবের বল ছিলো অসাধারণ। সব মিলিয়ে দারুণ ছিলো ম্যাচটি।আপনি অনেক সুন্দর শব্দচয়নের মাধ্যমে খুব সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপ্নার মত সবাই ভেবেছিল বাংলাদেশ হেরে বিদায় নিবে, কিন্তু বোলারদের দারুন বলিং এ বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে যায়, চলে যায় সুপার এইটে, যদিও এর পর বাংলাদেশ রীতিমত হতাশ করেই চলেছে,
বাংলাদেশ শেষ ম্যাচগুলো জয় লাভ করেছে এবং সুপার এইটে পৌঁছে গিয়েছে এবং আজ মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যদিও ম্যাচটা অনেক কঠিন হবে তবে আশা করি সকলে ভালো পারফর্ম করলে জেতা সম্ভব। শুভকামনা রইল বাংলাদেশ দলের জন্য। ভালো থাকবেন।
বাংলাদেশ আসলে কিভাবে যেন সুপার এইটে ঊঠে গেল। তবে সুপার এইটের খেলায় রীতিমত হতাশ করে চলেছে, অথচো আফগানিস্তান দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে ভয় ডর হীন ক্রিকেট হেলে বিজয় সিনিয়ে নিতে হয়। আশা করি বাংলাদেশ আফগান্দের হারিয়ে এবারের আসর এর শুভ সমাপ্তি করবে,