Incredible India monthly contest of March #1|Three tasks I like, and three I dislikes.

in Incredible India6 months ago

Edited in Canva

সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। প্রিয় কমিউনিটির চলমান প্রতিযোগিতায় অনেকদিন ধরে অংশ নিবো নিবো করেও নেয়া হচ্ছিলনা। অবশেষে আজকে লিখতে বসলাম। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আমার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছি, পাশাপাশি প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী @sayeedasultana @rakibal এবং @hasnahena দের আমন্ত্রণ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্যে।

ভালোলাগার ঠিক উল্টোপাশেই খারাপলাগা বিরাজমান। জীবনে চলতে গেলে ভালো লাগা ও খারাপলাগা এই দুইটিকে সাথে নিয়েই বাচতে হবে। একটিকে দূরে ঠেলে অন্যটি নিয়ে চলতে গেলে আমাদের জীবন আরো বেশি কঠিন হয়ে যাবে,স্থবির হয়ে পড়বে।


দৈনন্দিন জীবনে কত কাজই তো করতে হয়, আর এই কাজগুলোর মধ্যে পছন্দ ও অপছন্দের তালিকা করতে গেলে সেটা অনেক লম্বা হবে। তবে যেহেতু তিনিটি বেছে নিতে হবে তাই আমি পছন্দের ও অপছন্দের মধ্যে উপরের কাতারের তিনটি নিয়ে আলোচনা করবো

Which Three tasks you love to do, and three jobs you avoid in your daily life. Describe the reasons behind.
20230616_092638.jpg

আমার বারান্দা বাগানের ক্যাকটাস

আমার পছন্দের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে আমার বারান্দা বাগানের গাছগুলোর পরিচর্যা করা। প্রতিদিন ঘুম থেকে ঊঠে নামাজ শেষে বারান্দায় গিয়ে গাছে পানি না দিলে আমার সারাটাদিন মনে হবে কি যেন করিনি, কি যেন করিনি। এ নিয়ে অবশ্য আমাকে বউ এর থেকে অনেক কথা শুনতে হয়, মাঝে মাঝে এমন ও শুনি যে বউ এর থেকে তোমার গাছগুলোই বেশি প্রিয়।


২য়, পছন্দের কাজটি হলো নতুন কিছু রান্না করার চেষ্টা। আমি সুযোগ পেলেই নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করি। আর এর জন্যে আমাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হয়, কিন্তু নিজের রান্না সব সময় নিজের কাছে সেরা মনে হয়। আলাদা একটা শান্তি লাগে, হোক সেটা ডিম ভাজি করে খাওয়া বা বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়া।

20231114_205823.jpg

৩য়, পছন্দের কাজটি হলো ফটোগ্রাফি। আমি প্রতিদিন কিছু না কিছুর ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। হোক সেটা ক্যামেরা বা মোবাইল দিয়ে। ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন ছিল তবে তার ধারেকাছেও যেতে না পারার আক্ষেপটা মাঝে মাঝেই আমাকে ভীষণ রকমের যন্ত্রণা দেয়, তার পরেও আমি ফটোগ্রাফি ছাড়তে পারি নি, আর মনে হয় না পাড়বো। ফটোগ্রাফি রিলেটেড কিছু দেখলেই আমার আগ্রহ বেড়ে যায় বহুগুণ। তাইতো ফটোগ্রাফি আমার নিত্যদিনের সাথী।

DSC_0970.jpg

আমার করা প্রিয় একটি ফটোগ্রাফি



আগেই বলেছি ভালো লাগা আর খারাপ লাগা দুটিই একটি অপরটির পরীপূরক। পছন্দের কাজ গুলো তো জানানো হলো চলুন এবার অপছন্দের কাজ গুলো জানা যাক

আমার অপছন্দের কাজগুলোর মধ্যে সবার উপরে থাকবে প্রতিরাতে মশারি টানানো। এর থেকে বাজে কাজ মনে হয় আর নেই। যদিও এই কাজ অনেক সহজ, ২-৩ মিনিট সময় ব্যয় হয়, তবে কেন জানিনা এটি আমার কোন কালেই পছন্দের ছিলনা।

20240312_215140.jpg

মশারি টানানো সবথেকে অপছন্দের কাজ

এখন অবশ্য কিছুটা রক্ষা, কেননা বউ মাসে ১৫ দিন মশারি টানিয়ে দেয়, আরেকটা বউ থাকলে বাকি ১৫ দিন নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হতো না, অবশ্য ওই যে বলেছি ভালোর উলটো দিকে আবার খারাপ থাকে, কাজেই এই ১৫ দিনের বাড়তি সুখ লাভের আশায় সারাজীবনের সুখ বিসর্জন দেবার আফাতোত কোন ইচ্ছে নেই।

20240216_163504.jpg

আমার ২য় অপছন্দের কাজ হচ্ছে পানির ফিল্টার পরিস্কার করা ও পানি দেয়া। শহরে একটু শান্তি করে পানি খাবো তার উপায় নেই, এই পানি খেতে গেলে আগে ফিল্টারে দিতে হবে, এর পর পানি ফিল্টার হলে তখন খাওয়া যাবে, এর উপর বাড়তি হিসেবে এই ফিল্টারকে খুলে বারংবার পরিস্কার করার ঝামেলা তো আছেই।

আমার ৩য় অপছন্দের কাজ হচ্ছে আমার মেয়েকে খাবার খাইয়ে দেয়া। ছুটির দিন আর প্রতিদিন রাতের বেলা খাওয়ানোটা আমার কাজ। কিন্তু বাচ্চাদের ভাত খাওয়ানো যে কতটা কষ্টকর তা যারা এ কাজ করে আসছে তারাই জানে।

20220330_213024.jpg

বাচ্চাদের মুড মিনিটে মিনিটে সুইং করে। এই মাছ খাবে তো খাওয়ার মাঝেই বলবে ডিমপোচ করে নিয়ে আসো, এবার ডিম এনে দিবেন তো বলবে দুধ দিয়ে ভাত খাবো, মানে যাচ্ছেতাই অবস্থা। এর পাশাপাশি নাচ, গান, অভিনয় সব কিছুই শিখতে হয় এই ভাত খাওয়ানোর জন্যে।



Do you think tasks that we avoid in our daily lifestyle are equally essential to perform? Justify.
DSC_0395.JPG

এই প্রশ্নের বেলায় আমরা একটাই উত্তর, অবশ্যই। দৈনন্দিন জীবন পালনে যে কাজ গুলো আবশ্যক তা যত অপছন্দই হোক না কেন আমাদের করতেই হবে। এগুলো ছাড়া আমাদের জীবন অচল হয়ে পড়বে, সবথেকে ভালো হয় এই কাজগুলোকে আবশয়িক ভেবে নিজেকে অভ্যস্ত করে নেয়া। কেননা যদি কখনো আবশ্যিক কাজ গুলো অপছন্দ বলে না করেন তাহলে উলটো বড় রকমের বিপদে পড়তে হবে।



Do you ever regret avoiding things in your life? Share your experience.

প্রতিদিনের আবশ্যিক কাজ এড়িয়ে যাবার ফল কতটা ভয়াবহ তা আমি হাড়েহাড়ে টের পাই। এই ধরুন আলসেমি করে মাশারি টানালাম না,কয়েল ধরিয়ে দিলাম। পরদিন মেয়ের নাক বন্ধ হবে পরে ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হবে।

আবার দেখা গেল ফিল্টারে পানি দিতে আলসেমি করলাম, এবার ভাত খেতে বসে ডাইরেক্ট লাইনের পানি খেতে হবে,আর এর ফল কি হবে বুঝতেই পারছেন।

মেয়েকে খাওয়ানো এড়িয়ে গেলাম, দেখা গেল তার মা খাওয়ানো শুরু করলো, কিন্তু মেয়ে তো রাতে আমাকে ছাড়া খাবে না, দেখা গেল সেই রাতে মেয়ে অল্প খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বে,এম্নিতেই সে আন্ডারোয়েট, তারপর না খেয়ে ঘুমানোর পরিণতি মনে করতেই আত্মা শুকিয়ে যায়।

তাই, এসব কাজ এড়িয়ে বাচার আসলে কোন সুযোগ নেই। এগুলো আমাদের জীবনেরই অংশ। এই খারাপ লাগা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

সবার জীবন সুন্দর হোক এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

Sort:  
Loading...
 6 months ago 

লেখার উপস্থাপনাটা খুবই চমৎকার হয়েছে। পুরো লেখাটি বেশ উপভোগ্য ছিল। আমার কাছে তো পড়তে বেশ ভালো লেগেছে। মনে হয় সবার কাছেই ভালো লাগবে। এবারও আপনি প্রতিযোগিতায় জয়ীদের লিস্টে থাকবেন বলেই মনে হচ্ছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনি বরাবরই সুন্দর লেখেন, সেই আপনার থেকে যখন এমন মন্তব্য পাই তখন আলাদা একটা তৃপ্তি পাই। ধন্যবাদ আপু এভাবে উৎসাহ দেবার জন্যে। ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

শুরুতেই জানাতে চাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ৷ প্রতিযোগীতায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর গুলো সঠিক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ৷

যাই হোক আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ দিনটি আপনার জন্য শুভ হোক ৷

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপ্নাকেও ধন্যবাদ আমার এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ে মতামিত দেয়ার জন্যে। আশা করি আপ্নিও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন। ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

প্রতিযোগিতার জন্য আপনার লেখাটা খুবই সুন্দর হয়েছে।অবশ্য আপনি সবসময় খুব ভালো লেখেন। বাচ্চাদের খাওয়ানোটা এক সময় আমার খুব অপছন্দের কাজের মাঝে ছিল। আমার দুই ছেলের বয়স খুব বেশি কাছাকাছি হওয়ার জন্য দুজনকেই একসাথে খাওয়াতে হতো।বলা চলে আমার সারাটা দিনই কাটতো দূরে ছেলেকে খাওয়াতে খাওয়াতে। আর এই কাজটা আমাকে একা করতে হতো। কেন আমার হাসবেন্ড যকন বাসায় ফিরতো বাচ্চারা ঘুমিয়ে থাকতো।
আপমার লেখা পড়তে গিয়েছি পুরনো সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল।
প্রতিযোগিতার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই আপবি খুব চমৎকার ভাবে দিয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করছি। সেই সাথে আমাকে মেনশন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ধন্যবাদ আপু, আপনাদের থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা ও আপনাদের লেখা পড়ে ভালো লেখার চেষ্টা করি।
আপনি এক বারই কষ্ট করেছেন, দুই ছেলেকে বড় করেছেন, এখন শান্তি।

ভালো থাকবেন আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।। আজকের এই প্রতিযোগিতায় যে বিষয়টি ছিল তার মাধ্যমে আপনার ভালোলাগা ও খারাপ লাগা জানতে পারলাম।। আসলে আমাদের প্রতিটি মানুষের ভালোলাগা ও খারাপ লাগা রয়েছে।। খুবই ভালো লাগলো আপনার প্রতিযোগিতা পোস্টটি পড়ে ভাল থাকবেন।।

 6 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে এত সুন্দর মিতামত জানানোর জন্যে। আওনাদের এরকম মন্তব্য গুলোই অনুপ্রেরণা যোগায় কাজ করার। ভালো থাকবেন ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

প্রথমেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতা পূরণ করার জন্য। এই প্রতিযোগিতার মূল বিষয় হলো ভালোলাগা এবং খারাপ লাগা। গাছ লাগাতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আর ছোট বাচ্চাদের মূলত খাওয়াতে একটু সময় লাগবে এর স্বাভাবিক একটি বিষয়।

 6 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্যে

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 57558.50
ETH 2437.62
USDT 1.00
SBD 2.35