Contest of January by @sduttaskitchen| My locality in five pictures.
সবাইকে সালাম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি। প্রথমেই এডমিন ম্যামকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আমরা যেখানে বাস করি সএই যায়গার প্রতি আলাদা একটা ভালোলাগা, ভালোবাসা কাজ করে। সেই নিজ এলাকা নিয়ে যখন লেখার সুযোগ পাওয়া যায় তখন কে চাইবে সে সুযোগ মিস করতে। আমিও চাই নি। তাইতো এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আমার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছি।
আমি ঢাকার বেরাইদে বসবাস করি। এই জায়গার প্রতি আমার অন্যরকমের একটা মায়া কাজ করে। আমি চেষ্টা করবো প্রতিযোগিতার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার মাধ্যমে আমার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থাপনা ও তথ্য শেয়ার করতে। তাই আর দেরি না করে চলে যাচ্ছি মূল পর্বে।
|
---|
আমার এলাকা আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর ও মূল্যবান। একজন ধর্মপ্রিয় মুসলিম এর কাছে দুনিয়ার সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম মসজিদ। আমি যেই এলাকার থাকি সেখানে ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অন্তত ১২-১৫ টি মসজিদ আছে। আর এই কারণেই এই জায়গাকে বলা হয় মসজিদের গ্রাম। বুঝতেই পারছেন কেন আমার এলাকা অন্য এলাকার থেকে মূল্যবান আমার কাছে।
শুধু যে মসজিদ আছে তা কিন্তু নয়। মসজিদের পাশাপাশি অন্তত ৮-১০ টি মন্দির রয়েছে। এত গুলো মসজিদ ও মন্দির পাশাপাশি থাকলেও কোন দিন কোন বিভেদ দেখি নি, সম্প্রীতির বন্ধনে এলাকাবাসী এতটাই আবদ্ধ যে ধর্ম কোন বিভেদ হয়ে দাড়াতে পারে নি। এই কারণেই আমার এই এলাকা আমার কাছে শ্রেষ্ট। পুরো পৃথিবীতে এত হানাহানি, এত বিভেদ, এই সবের বাইরে থেকেও যে সুন্দর ভাবে জীবন পরিচালিত করা যায় তার উৎকৃষ্ট উদহরণ এই বেরাইদ গ্রাম। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বালু নদীর মনোরম পরিবেশ ও ঠিকানার মতো ফুলের রাজ্য আপনি আর কোথায় পাবেন?
|
---|
এখন আমি আমার এলাকার ৫ টি ছবি আমি প্রদর্শন করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথমেই আমি আপনাদের আমার এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখাতে চাই। এই যে ছবিটি দেখছেন এটি ঢাকার পূর্ব পাশের শেষে বালু নদীর তীর। ঢাকার অন্যান্য নদীগুলোর পানি বিষাক্ত ও কালো হলেও এই বালু নদী ভিন্ন। এর পানি স্বচ্ছ। এই নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট বড় রেস্তোরা। দূর থেকে মানুষ ঘুরতে ভীড় জমায় এখানে। এখানেই গ্রামীন হাট বসে। পাশাপাশি এই নদীতে নৌকায় করে ঘুরার মজাই আলাদা।
আগেই বলেছি আমার এলাকার নাম মসজিদের গ্রাম। আর এই মসজিদের গ্রামের সব থেকে সুন্দর ও আধুনিক মসজিদ হচ্ছে পূর্ব পাড়া জামে মসজিদ। এখানেই আমি নামাজ আদায় করি। ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ও আধুনিক স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন এই মসজিদ। মসজিদের সামনেই সুবিশাল খেলার মাঠ ও পাশে লেক। এই মসজিদের সুবিশাল সিড়িতে দাড়ালেই বাতাসে মন জুড়িয়ে যায়।
এখন যে ছবি দেখছেন এটি আমার এলাকার অন্যতম সুন্দর যায়গা ঠিকানা রিসোর্ট এ। ঠিকানা কে বলা হয় ফুলের রাজ্য। কত রকমের ফুল দেখতে চান সব পাবেন পাশাপাশি ফুল দিয়ে বানানো শহীদ মিনার দেখলে যে কেও অবাক হতে বাধ্য। ফুল দিয়ে কত কারুকাজ করা যায় তা ঠিকানা না গেলে বুঝবেন না।
আপনি যদি সবুজ ভালোবাসেন এবং সবুজের মধ্যে নিজেকে হাড়িয়ে ফেলতে চান তাহলে আপনাকে আমার বাড়ির পাশের এই জিকজ্যাক গ্রীন জোনে আসতে হবে। এটি আমার এলাকা থেকে ২-৩ কি:মি দূরে জলসিড়িতে অবস্থিত। ভীষণ সুন্দর একটি জায়গা।
আমার এলাকা থেকে চমৎকার সূর্য অস্থ দেখা যায়। এর জন্যে বেশি দূরে যেতে হবে না। বালু নদীর নতুন ব্রীজের উপরে ঊঠলেই চমৎকার ভিউ দেখতে পাবেন। গোধূলী দেখার জন্যে এখানে অসংখ্য মানুষের আগমন হয়। এখান থেকে সূর্য ডুবার অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
আমি আমার এলাকার ও আশেপাশের বেশ কিছু জায়গার ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এবং পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। আশা করি আপ্নারা খুব শীঘ্রই এগুলো ভিজিট করতে আসবেন। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
|
---|
হ্যা, আমি এই প্রশ্নের সাথে সহমত। আমার কাছে মনে হয় আমার এলাকা আমার প্রাণ। পাখিরা যেমন সারাটা দিন বাধন হারা আকাশে ঘুরে বেড়ালেও সন্ধ্যে নামলেই নিজ নীড়ে ফিরে আসে মানুষও ঠিক তেমন ই। যেখানেই যাক নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য মন ছটফট করে। নিজের এলাকা যেন নিজের কলিজা। তাইতো আমি এই এলাকার বাইরে গেলে কেমন যেন ফাকা ফাকা অনুভূতি কাজ করে। মনে হয় কবে ফিরবো প্রিয় এলাকায়। আর এরবপ্রধান কারণ দীর্ঘদিন এখানে থাকা। এখানের সব কিছুই যেন আমার অনেক আপন।
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার @sayeedasultana @muktaseo @hasnahena বন্ধুদের কেও আমন্ত্রণ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
Twitter share link
https://twitter.com/Mukit_Salafi/status/1746912157063856372?t=0wyVD14rBt0w-YffxqU8MA&s=19
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এবং আমাকে নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য। তবে ভাইয়া আমি এই প্রতিযোগিতার বিষয়টি এত সুন্দর ছিল যে ,আমি আগেই এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে ফেলেছি। সত্যি এবারের বিষয়টি অনেক সুন্দর যা আমাদের মনের সমস্ত ভাষা গুলো প্রকাশ করার সুযোগ দিয়েছে ।
আপনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আছেন। সেই রাজধানী সকল সৌন্দর্য আপনার ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ।
মামণির মিষ্টি হাসি অনেক সুন্দর লাগছে ।ওর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল ।সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ।আমরা যে যার ধর্মই হই না কেন সবার প্রথমে আমরা মানব জাতি।তাই আমাদের আর্মি তো একটা কথা আছে ”আমরা যে অঞ্চলের হই না কেন ,যে ধর্মের হই না কেন আমরা সকল সৈনিক ভাই ভাই ” ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
ধন্যবাদ দিদি আমাকে এভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্যে।
এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি আপনার এলাকার বেশ কিছু স্থানের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এবং অসম্ভব অসাধারণ কিছু ছবি তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটি প্রশ্ন খুবই সুন্দরভাবে এবং গুছিয়ে তুলে ধরেছেন।আপনার পোষ্টের পাঁচটি ছবি যেরকম সুন্দর সেরকম সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ব্যাখ্যা দিয়ে।
থ্যাংক ইউ এ প্রতিযোগিতা খুব সুন্দর ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
ধন্যবাদ আপ্য সুন্দর মতামত এর জন্যে। অনেক অনেক ভাল থাকবেন।
সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আজকের এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।। আর আপনাদের এলাকায় ১২ থেকে ১৫ টা মসজিদ রয়েছে শুনে একটু আশ্চর্য হলাম।। আর এই কারণে নামও দিয়েছে মসজিদ পাড়া।। আরো রয়েছে বেশ কিছু মন্দির আপনি কখনো কারো মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখেননি শুনে বেশ ভালো লাগলো।।
আপনি ঠিকানা রিসোর্ট সম্পর্কে বলেছেন আর সেখানে সব ধরনের ফুল রয়েছে শুনে আমার দেখতে খুব ইচ্ছে করছে ।। সেই সাথে সবুজ ঘাসের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার মত একটা জিকজ্যাক গ্রীন রয়েছে।।
খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের কনটেস্ট পোস্টটি পড়ে আর আপনাদের গ্রাম সম্পর্কে অনেক তথ্য পেলাম।
্ধন্যবাদ ভাই, ঢাকায় এলে আমার এখানে ঘুরে যাবেন। ভালো থাকবেন,।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি যদিও এখন অংশগ্রহণ করি নাই তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনের ভেতর অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা জেগে উঠলো। আপনি বাংলাদেশের ঢাকা রাজধানীতে থাকেন। বাংলাদেশের রাজধানীর কিছু কিছু ছবি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে আপনি তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ ভাই, আশা করি আপ্নিও দ্রুত অংশ নিবেন। ভালো থাকবেন
আপনার এলাকার প্রত্যেকটা জায়গা অসম্ভব সুন্দর। তবে সবচাইতে বেশি সুন্দর লেগেছে ঠিকানা রিসোর্ট। যেখানে রয়েছে হাজারো রকমের ফুল। আসলে ফটোগ্রাফি টা ভালোভাবে দেখে আমার তো মন ভালো হয়ে গেল। সেই সাথে আপনি সূর্যাস্ত দেখার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যেটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এলাকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। এবং প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর চমৎকার ভাবে দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠিকানা আসলেই অনেক সুন্দর বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসে এই জায়গায় ফুলের শহীদ মিনার বানানো হয়,এটি দেখতে সবাই ভীড় জমায়।
ধন্যবাদ আপু
নিজের এলাকার প্রতি সবারই একটা আত্মিক টান থাকে। ঘুরতে বা কোন কাজে এলাকার বাইরে গেলে কিছুদিন পরই মনটা আকুলি-বিকুলি করতে থাকে যে কত দিনে আমি আবার আমার নিজের এলাকায় ফিরব। আপনার এলাকা সত্যিই বড় সুন্দর, কত সবুজের সমারোহ,আবার স্বচ্ছ পানির বালু নদীও আছে।
নিজ এলাকা বা যেখানে আমরা অনেক দিন ধরে থাকি তার প্রতি অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। হ্যা, ঢাকা শহরের একদম কাছে গ্রামীন পরিবেশ কিন্তু এটাও সিটি।
*প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এইপ্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে আপনার এলাকার প্রসিদ্ধ পাঁচটি ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনি খুব সুন্দর ভাবে
উপস্থাপন করেছেন বিষয়টিকে। আপনার প্রত্যেকটা ছবি অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো একেবারে বাস্তব লাগছে। বালু নদীর পাড়ের সূর্যাস্তের দৃশ্য টিঅতি মনোরম। খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে আপনার এলাকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটি ধারণা পেলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। ঠিকানা রিসোর্টে আমিও গিয়েছিলাম। একেবারে ফুলের রাজ্য। যেদিকে তাকাই ওদিকে ফুলের সমারহ। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ আপু, আমার পোশট পড়ে এত সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
*আপনাকে পুনরায় ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আপনার এলাকার ছবি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য.। বেশ ভালো লেগেছিল আপনার পোস্টটি পড়ে ছবিগুলো অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল তোলা।