Betterlife with steem ||The diary game|| 31 July, 2024

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। খুশির সংবাদ হচ্ছে আমাদের দেশে মোবাইল ইন্টারনেট আবারো সচল হয়েছে, যদিও ইন্টারনেটের ধীরগতি এখনো কাটিয়ে ঊঠতে পারে নি।

নিয়মিত পোস্ট লিখতে গিয়ে এই নিয়ে ভালো বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে। তার পরেও আজকে লিখতে বসেছি। আজকে আমি শেয়ার করবো জুলাই মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই রোজ বুধবারের দিনালিপি।

সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে নামাজ পড়ে পরার টেবিলে ১ ঘন্টা সময় পার করলাম, এ দিকি গিন্নি আমার সকালের নাস্তা বানিয়ে ডাক দিল। আমি স্নান করে সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম। আজকে সকালের নাস্তায় ছিল গমের রুটি, মিষ্টি আর সবজি হিসেবে ঢেড়স ভাজি। এত দিন গিন্নি বাসায় না থাকায় সকালের এই নাস্তাটা খুব মিস করেছি, বেশির ভাগ দিন বাহিরের খাবার খেতে হতো।

সকালের খাবার খেয়ে অফিসে চলে এলাম। অফিস এখন পুরোদমে চলছে। অফিসে এসে ডিপার্টমেন্ট হেডের কাছে থেকে আমাদের ইনক্রিমেন্ট সংক্রান্ত চিঠি পেলাম। এই বিপদের দিনে এমন একটা চিঠি পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহর কাছে শুকড়িয়া।

দুপুরের দিকে গুলশান ১ এর সিটি ব্যাংকে গেলাম। মাসের শেষ দিন হলেও ব্যাংকে তেমন ভীড় নেই। এখন বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোতে টাকা তুলতে গেলে অনেক সময় লাগে। তবে, আজকে আমার কাজ তারাতারি সেড়ে নিলাম।

বিকেলে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে লক্ষ্য করলাম রাস্তায় অনেক জ্যাম। কারফিউ শিথিল থাকায় মনে হচ্ছে ঢাকার মানুষ একসাথে সবাই বেরিয়ে পড়েছে। আসলে এতদিন বাসায় আটকে থেকে মানুষের দম বন্ধ হবার উপক্রম। আজকে থেকে অফিস গুলো আগের নিয়মে চলছে।

অফিস থেকে ফেরার পথে টুকটাক বাজার করতে গেলাম ডেইলি শপে। অনেকদিন এখানে আসা হয় না, আসলে বাসায় কেউ ছিল না বলে বাজার করাও হতো না, এখন আবার প্রতিদিন বাসায় ফেরার পথে বাজার নিয়ে ফিরতে হবে। একটা ফ্লোর ক্লিনার আর মেয়ের জন্যে চিপস কিনে বাসায় ফিরলাম।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে দেখলাম সুন্দর একটা পুডিং বানানো। ম-মেয়ে আমার অপেক্ষায় ছিল ,পরে মেয়ে সেটাকে কেটে আমাদের খাওয়ালো। দারুন হয়েছিল খেতে। যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা আছে কিন্তু দুধ ডিম খেতে চায় না তারা পুডিং বানাতে পারেন, বাচ্চাদের দুধ ডিম দুটোই খাওয়া হয়ে যাবে।

রাতে খাবার খেয়ে আমার মা কে কল দিলাম। গ্রামে থাকে আর ছেলেদের জন্যে সারাক্ষন চিন্তা করে। প্রতিদিন কথা বলে আশ্বস্থ করি যে আমরা ঠিক ঠাক আছি। মেয়েও তার দাদির সাথে কথা বললো। কথা শেষে রাতের খাবার খেয়ে আমরা এই দিনটির ইতি টানলাম। তো এই ছিল আমার বুধবারের দিনলিপি। আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।