Betterlife with steem ||The diary game|| 29 July, 2024

in Incredible India12 days ago
সবাইকে সালাম, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জনিয়ে শুরু করছি
20240730_094423.jpg
কভার ফটো

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা কেমন আছি তা আর নতুন করে বলার অপক্ষা রাখেনা। প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে আমাদের এক একটা দিন পার হচ্ছে।

প্রতিদন ভোর হয়, সূর্য ঊঠে। মনে হতে পারে সব কিছু হয়তো ঠিকঠাক আছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে একটা গুমোট অন্ধকার পুরো দেশকে ঢেকে রেখেছে। তো এইরকম আরো একটা দিন কিভাবে পার করলাম তাই এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে ফজরের নামাজ আদায় করে বিছানায় শুয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। এখন ভোর আর সকালের মধ্যে অনেক কম সময়ের দুরত্ব। একটু পরেই দেখলাম চারিদিক সাদা হতে শুরু করেছে। বেলকনিতে গিয়ে পশ্চিম আকাশের একটা ছবি ক্যাপচার করলাম।

20240729_051516.jpg

সকালের আকাশ

সামনের মাসে সি.এ এক্সাম। তাই আবারো পড়ার টেবিলে বসার অভ্যাস করছি। ঘন্টা খানেক পড়ালেখা করে স্নান করে অফিস যাবার জন্যে প্রস্তুত হলাম। গিন্নি আগের রাতের বাসি ভাত তেলানি করেছিল। ডিম দিয়ে বাসি ভাত তেলে ভেজে খাবার অন্যরকম একটা মজা আছে।

অফিসে এলে কাজের মধ্যে ডুব দিতে হয়। সময় কিভাবে যে কেটে যায় বলতেই পারি না। মাঝে যহরের নামাজ আর দুপুরের খাবারের জন্য ১ ঘন্টার বিরতি পাই। এই বিরতীর মধ্যেই নিজেকে একটু রিফ্রেশ করে আবার ও কাজ শুরুর প্রিপারেশন নেই। দুপুরে লাঞ্চের পর হটাত খবর এলো রাজধানীতে আবারো ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হচ্ছে। মিরপুর, পান্থপথ, সাইন্সল্যাব মোড়ে ছাত্র পুলিশ ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলছে, আবারো ইন্টারনেট স্লো করে দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় অফিস ও আজকে আগে ভাগেই ছুটি দিয়ে দিল।

অফিস থেকে যত দ্রুত পারলাম বাসায় ফিরে এলাম। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছে মেহেকের চোয়ালের একটা দাতে হালকা ফুটো হয়েছে। এই নিয়ে গিন্নিকে অনেক বকা দিয়েছি, যে ডেন্টালে এত এত পড়া লেখার পরেও কিভাবে নিজের মেয়ের দাত নষ্ট হয়? গিন্নিও আমার উপর দোষ চাপালো, যে রোজ চকলেট নিয়ে এলে এমনই হবে। কি আর করার মেয়েকে নিয়ে চেম্বারে গেলাম।

20240729_190210.jpg

গিন্নি অনেকদিন ধরে চেম্বার করে না, তবে তার সব জানা, ডাক্তারকে গিয়ে পারমানেন্ট ফিলিং করে দিতে বললো। ডাক্তার এর সাথে আগে থেকেই পরিচয় ছিল, গিন্নি আর ডাক্তার মিলে মেয়ের দাত ফিলিং করে দিলো। মেয়ে শান্ত হয়ে শুয়ে ছিল, দেখে আমি একটু অবাক হলাম, অন্য বাচ্চারা এমন সময় কান্নাকাটি করে চেম্বার মাথায় তুলে।

20240729_192237.jpg

চেম্বার থেকে ফেরার পথে ডাল পুরি কিনে নিলাম, বিকেলের নাস্তা হিসেবে। গরম গরম ডাল পুরি খেতে দারুণ। মেয়ে খাবার খেয়ে লুকোচুড়ি খেলতে শুরু করলে। তাকে সারা ঘর খুজেই পাচ্ছিলাম না।

20240729_202020.jpg20240729_202054.jpg

বাবা-মেয়ের লুকোচুরি খেলা

পরে দেখি লাগেজের ভেতর ঢুকে আছে।তার সাথে দুষ্ট মিষ্টি সময় গুলো অনেক মিস করেছি, তবে এখন সে বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ।

সন্ধ্যা বেলা গিন্নি রুটি বানাতে বসলে মেয়ে এসে বেলন দখলে নিলো। ভাবটা এমন যে সে খুব ভালো রুটি বানাতে পারে। মা-মেয়ে মিলে এক সপ্তাহের রুটি বানালো।

20240729_202455.jpg

প্রতিদিন দোয়া করি যেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়, আবারো যেন সুন্দর ভাবে সবাই আমরা বাচতে পারি। জানিনা আল্লাহ আমার এই মোনাযাত কবুল করবেন কি না।

Post Details

CameraSamsung M31
LocationDhaka,Bangladesh
Sort:  
Loading...
 12 days ago 

আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন বাসি ভাত খেতে সত্যিই ভালো লাগে। এখনকার দিনে বাচ্চারা এত পরিমাণে চকলেট খায়। প্রত্যেকটা বাচ্চারই প্রায় দাঁতের সমস্যা ধরে গেছে। বাড়িতে এরকম একটা ছোট্ট বাচ্চা থাকলে এমনি সময় কেটে যায়। আসলে ছোটবেলার এই দুষ্টু মিষ্টি মুহূর্তগুলো সত্যিই খুব সুন্দর হয়।

 12 days ago 

বাবা-মেয়ের সুন্দর মুহূর্তগুলো আসলে অসাধারণ হয় আপনার মেয়ের সাথে লুকোচুরি খেলা দৃশ্যটা অসাধারণ।

লাগেজের ভিতরে মেয়ে পুরোপুরি পরিবেশ করতে পারছে । ছোটবেলায় মনে হতো যে যদি কেউ লাগেজে করে আমাকে বিদেশে নিয়ে যেত তাহলে ভালোই হতো। আপনাদের বাবা মায়ের কাণ্ডটা দেখে ভালোই লাগলো। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য। আপনার পরবর্তী দিন লিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61038.67
ETH 2626.98
USDT 1.00
SBD 2.62