Betterlife with steem ||The diary game|| 26 July, 2024

in Incredible India15 days ago
সবাইকে শুভেচ্ছা জনিয়ে শুরু করছি
20240727_053345.jpg
কভার ফটো

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। দেশের ইন্টারনেট স্বাভাবিক না থাকায় চাইলেও সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জীবন পার করছি। যতটুকু ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। দেশের পরিস্থিতি কবে যে ঠিক হবে তার নেই ঠিক। এমন পরিস্থিতিতে নতুন ব্লগ লেখাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। এর পরেও লেখা চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছি। শুক্রবারের দিনটি কিভাবে কাটালাম তাই এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে গিন্নিকে কল দিলাম। আজকে তাদের ঢাকা আসার কথা। ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেক দিন ধরে আন্দোলনের কারণে তারা আটকে পড়ে আছে। এদিকে ট্রেন ও বন্ধ। অবশেষে গতকাল অনেক খোজাখুজির পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর একটি টিকেট পেয়েছি। ১২:২৫ এর ফ্লাইট। সেটিতে চেপেই তাদের আসার কথা।

20240726_113722.jpg

তাদের সাথে কথা শেষ করে রান্না চাপালাম। কারণ একটু পর আমাকেও বের হতে হবে তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে এয়ারপোর্টে থেকে। আমি ভাত, ডাল, ভুড়ি ভাজি আর কচুরমুখী ভর্তা করলাম।

রান্না শেষে বেলকনির গাছ গুলোতে পানি দিতে গিয়ে আবিস্কার করলাম, যে গাছটাতে কয়েকদিন আগে ফুল ফুটেছিল, ভেবেছিলাম ধুন্দল গাছ, সেটাতে ফল এসেছে। বুঝতে পারলাম এটা আসলে তরমুজের গাছ। বেশ অবাক হলাম, অনেক দিন আগে বেলকনিতে তরমুজ খেয়ে বিচি গুলো একটা টবে ফেলেছিলাম, সেখান থেকেই এই গাছ আর এখন ছোট একটা তরমুজ ও ধরেছে।

20240726_113827.jpg

বেলকনির টবের গাছে তরমুজ ধরেছে

বেলকনি থেকে ফিরে ঘর গুলো গুছিয়ে স্নান করে বেরিয়ে পরলাম ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডমেস্টিকে। আগে থেকেই একটা সিএনজি নিয়ে রাখলাম, কেননা ভেতর থেকে সিনেনজি নিলে ভাড়া ডাবল চায়।

20240726_143157.jpg

১:৪০ এ তাদের রিসিভ করে সিএনজি করে বাসার পথে রওনা হলাম। রাস্তায় কারফিউ শিথিল থাকলেও যেখানে সেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমাদের সিএনজি ৩০০ ফিট হয়ে যাবার পথে চেকপোস্টে আটকালে এয়ার টিকিট দেখালাম, তার পর ছেড়ে দিল। আমরা ৩০০ ফিট দিয়ে জলসিড়ি হয়ে বাসায় আসতে আসতে ২:৩০ বেজে গেল।

বাসায় এসে খাবার খেয়ে সবাই মিলে দিলাম একটা ঘুম। ঘুম থেকে ঊঠে বিকেলে মেয়েকে নিয়ে গেলাম খেলার মাঠে। নানা বাড়ি থেকে এই বন্দী জীবন তার কখনই ভালো লাগার কথা না,

20240726_182322.jpg

বাহিরে বের হলেই দেখি কিছু শরবতের দোকানে মানুষ কত আয়েশ করে শরবত খায়। এই গরমে একটু আরামের আশায়, কিন্তু এই শরবত গুলোতে যে বরফ দেয়া হয় তা টাইফয়েডের কারণ হতে পারে। পাশাপাশি সারাদিন রাস্তার ধূলোময়লা তো আছেই। তাই এসব থেকে যতটুকু পারা যায় দূরে থাকাই ভালো

20240726_131213.jpg

ঢাকার মানুষের অত্যন্ত প্রিয় শরবত গুলো

মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফিরে মাগরীবের নামাজ পড়ে তাকে গল্প শুশোনালাম। তার খেলনা গুলো অনেকদিন পর পেয়ে সে খুব খুশি। সেগুলো নিয়েই সারাক্ষণ ব্যস্ত। বাসাটাতেও যেন অনেকদিন পর প্রাণ এসেছে।

Post Details

CameraSamsung M31
LocationDhaka,Bangladesh
Sort:  
Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61110.96
ETH 2649.39
USDT 1.00
SBD 2.58