Betterlife with steem||Sports Joys, Shopping, and Family Moments||29th June
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। কেমন আছেন সবাই? আপনাদের সবাইকে নতুন আরো একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শনিবারের কাটানো দিনালিপি শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
শনিবার, আরো একটি ছুটির দিন। ছুটির দিন গুলি সবসময় একটু আলাদা হয়। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। খুব ভোর বেলা ঊঠে ব্রাজিল এর খেলা দেখতে বসলাম। এত সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠতে মনে না চাইলেও প্রিয় দলের খেলা তো আর মিস করা যাবে না।
আগের ম্যাচে ব্রাজিলের গোলশূন্য ড্র মনে চিন্তা ধরিয়েছিল এই ম্যাচে যদি অঘটন ঘটে তাহলে কোপা থেকে সবার আগে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু প্রিয় দল এবারে আর হতাশ করে নি। ব্রাজিল জিতেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। সকাল সকাল এমন খেলার ফলাফল সকালটাকে মধুর করে দেয়।
সকালে নাস্তা করে ছোট ভাগ্নে মিল কে রুবিকস কিউব মেলানো শেখাচ্ছিলাম, যদিও বা আমি নিজেই এখনো শিখছি। বাচ্চারা আমাদের থেকে কুইক লার্ণার হয়। সে খুব তারাতারি প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল।
সকাল থেকেই এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে। ভেবেছিলাম একটু বাহিরে বের হবো, কিন্তু বৃষ্টির কারণে আটকা খেলাম। প্রায় ১ ঘন্টা পর বৃষ্টি একটু কমলে ভাগ্নেকে নিয়ে বাসার নিচের এক্সপোর্ট কাপড় বিক্রি করে এমন একটা দোকানে গেলাম। এখানে প্যান্ট এর দাম কিছুটা কম ঢাকার তুলনায়।
আমি এখান থেকে একটা জিন্স প্যান্ট কিনলাম, দাম নিল ৬০০ টাকা। এদিকে আবারো বৃষ্টি শুরু হলে আমরা একটা খাবার হোটেলে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। সেখানে গরম গরম সিংগাড়া ভাজতে দেখে ২০ পিছ সিংগাড়া কিনে নিলাম। এখানে এখনো ৫ টাকায় সিংগাড়া পাওয়া যায়। সিংগাড়া পেয়ে বাসার সবাই খুশি। সবাই মিলে মজা করে খেয়ে সাবাড় করলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে ৩ টার দিকে বের হলাম আমার আর বড় ভাগ্নের চোখের ডাক্তার দেখাতে। আমি বেশকিছুদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছি। আমার এক ভাতিজা উত্তরার গাক চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত। সরাসরি তার কাছে গেলাম। সে আমাদের চোখ দেখে তার সিনিয়র স্যারের কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার চোখ দেখে পাওয়ার চেক করালো, আমার চোখের পাওয়ার আগে ছিল মাইনাস ২ তবে সেটা এখন ১.৫ নেমেছে, তবে চোখ অনেক ড্রাই থাকে তাই আমাকে আর্টিফিসিয়াল টিয়ার নামের একটা চোখের ড্রপ দিতে বললো টানা ৩ মাস।
১ টানা কম্পিউটারে ১ ঘন্টার বেশি কাজ করা যাবে না, কিছুক্ষণ পর পর ২-৩ মিনিটের বিরতি নিয়ে চোখ বন্ধ রাখতে হবে, তার পর আবারো কাজ করার পরামর্শ দিল। তবে ভাগ্নের চোখের অবনতি হয়েছে। তার আগে ছিল মাইনাস ১.৫ সেটা বেড়ে এখন ২.২৫ হয়েছে।
ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফেরার পথে উত্তরার নর্থ টাওয়ারের ফ্লাইওভারের উপর উঠে উপর থেকে ঢাকা শহরের আকাশ দেখলাম। এই যায়গাটা খুব সুন্দর নিড়িবিলি। তবে সাবধানে এখানে চলাফেরা করতে হয়।
বাসায় ফেরার পথে চেরাগ আলীতে নেমে বড় ভাগ্নে দিল এর জন্যে চশমা বানাতে দিলাম। আমার পাওয়ার চেঞ্জ হয়েছে তবে আমারটা আমি পরে বানাবো।
চশমা বানাতে দিয়ে বাসায় যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেল। মাগরিবের নামাজ পড়ে নাস্তা করতে বসলাম। ছোটবোন হালিম বানিয়েছে, একদম দোকানের মতই স্বাদ।
নাস্তা খেয়ে টিভি দেখতে বসলাম। টি-২০ বিশ্বকাপে ইন্ডিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকার ফাইনাল ম্যাচ টি উপভোগ করলাম। শেষ দিকে ইন্ডিয়ার বোলার আর ফিল্ডারের দারুণ নৈপুণ্যে ১৭ বছর পর আবারো ইন্ডিয়া টি-২০ বিশ্বকাপ জিতলো। অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া।
খেলা দেখা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। কেননা পর দিন সকাল সকাল অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার দিনালিপিটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই।
ভাই আপনি তো দেখি আনার মতো, যতে যাই হোক ব্রাজিলের ম্যাচ দেখা মিস দেওয়া যাবে না৷ যদিও আমি সচারাচর সকালে উঠি না তবে ব্রাজিলের ম্যাচ থাকলে অন্য কথা। আমিও সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ম্যাচ শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। ভালো লাগলো যে ব্রাজিল ম্যাচটা জয় লাভ করেছে না হলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়ে যেত। রুবিকস কিউব মিলাতে আমিও পারি৷ সর্বোচ্চ ৪৩ সেকেন্ড এ মিলানোর রেকর্ড আছে আমার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ব্রাজিল খন অব্দি কোন রকম টিকে আছে। জানিনা ৭ তারিখ সকাল ৭ টায় এই টিমের উপর কি ঝড় বইবে। উরুগুয়ে এখন অনেক শক্তিশালী টিম, ব্রাজিল নিন ভুলের এই প্রতিপক্ষ পেয়েছে। তার পরেও আসায় আছি উরুগুয়েকে হাড়িয়ে ব্রাজিল সেমিতে যাবে।
ছুটির দিনগুলো সত্যিই একটু আলাদা হয়। সারাদিন নানারকম ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিনগুলো কেটে যায়। আমাদের বাড়িতেও এখন খেলা দেখার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমার বর টিভিতে খেলা দেখতে না পারলেও ।পরে ফোনে হাইলাইট দেখার জন্য ব্যস্ত হয়। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হাইলাট দেখার ভেতর আসলে সেই মজাটা নাই। কারণ খেলা দেখতে বসার আগেই যদি ফলাফল জানা হয়ে যায় তাহলে সেই খেলা দেখে আর মজা পাওয়া যায় না। তাই যত রাতই হোক খেলা আমাকে দেখতেই হবে, বিশেষ করে এই টুর্নামেন্ট গুলো, যেগুলো অনেক দিন পর পর হয়।
শনিবার ছুটির দিন সকাল সকাল খেলা দেখেছেন আর নিজের পছন্দের দল জিতলে আসলেই ভালো লাগে।। বছর এখনো খেলা দেখা হয়নি ফুটবল খেলা খুব একটা দেখি না আর কোন দলের সাপোর্টার নিজেই জানিনা।।।
ছুটির দিন থাকায় একটু ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম ভাগিনাকে প্যান্ট কিনে দিয়েছেন।। এছাড়া ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন চশমা ঠিক করেছেন সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় দিন পার করেছেন।
হ্যা, প্রিয় দল অনেক কষ্টে জিতে এখন অব্দি খেলছে। তবে নেক্সট ম্যাচে মনে হয় উরুগুয়ের কাছে ধরা খাবে। ফুটবল খেলা না দেখলে চলবে। এমন খেলা ২ বছর পর পর আসে, তাই সব ফেলে খেলা দেখতে বসি।
জি ভাই আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে তারাও প্রতিটা খেলা দেখে থাকে কোন খেলায় মিস করে না কিন্তু এ বছর আমি দেখছি না অনেকটা ইচ্ছা করে বলা যেতে পারে।।
অতিরিক্ত কম্পিউটারের সামনে থাকলে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। এটা একেবারেই বাস্তব তবে আপনাকে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এবং আপনার ভাগ্নে কেউ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চশমা নিয়েছেন বিকেল বেলা বাসায় সবাই মিলে হালিম খেয়েছেন, দেখতেই তো অনেক বেশি লোভনীয় আর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম ই তাই, সারাদিন ই অফিসে কম্পিউটার এর সামনে বসে থাকি আবার সেখান থেকে বাসায় ফিরে মোবাইল বা টিভি নিয়ে বসে থাকি। চোখের তো সমস্যা হবেই। তার পরেও যতটুকু পারা যায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করছি। বাকি টা আল্লাহ ভরসা।