Betterlife with steem||My Saturday Diary, A Day Well Spent||13th June
![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। শনিবার মানেই আরো একটা সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই শনিবারের কাটানো দিনটি কিভাবে কাটালাম তারই দিনালিপি এখন শেয়ার করতে চলেছি।
সকাল বেলা ঘুম ভাঙলে গিন্নির ফোন কলে। ঘুমের ঘোরে কি বলেছি, মনে নেই, একি তো ছুটির দিন তার উপর গতরাতে কায়া সিনেমা দেখে ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সকাল ১০ টায় আমার ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে ঊঠে কি নাস্তা করবো খুজে পাচ্ছিনা। বাসায় তেমন কিছুই নেই, তাই বাধ্য হয়ে বাসার নীচে গেলাম কাঠাল কিনতে।
![]() |
---|
অনেকদিন হলো হাটাহাটি করা হয় না, বাসার সামনের বড় মাঠটায় দেখলাম কয়েকজন হাটাহটি করছে। এই ঈদগাহ মাঠটা অনেকটা পার্কের মত। একদম নিরিবিলি, ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় সারাক্ষণ। আমি হেটে একবার পুরো মাঠ ঘুরতেই হাপিয়ে গেলাম। মাঠের দক্ষিণ পাশে বসার যায়গা আছে। সেখানে ৫ মিনিটের মত বিশ্রাম নিলাম।
![]() |
---|
যেখানে বসে আছি তার উপরে বড় বড় তিনটা নিম গাছ আছে। নিম গাছের নীচে সব সময় অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে। এখানে বসেই সব ক্লান্তি যেন দূর হয়ে গেল।
এই ঈদ গাহ মাঠে দুইটা সৌদি খেজুরের গাছ আছে। একটাতে বড় বড় খেজুর ধরেছে। আমি আর কোথাও এমন গাছ দেখি নি। খেজুর গুলো খেতে পারলে ভালো হতো, অন্তত বুঝতে পারতাম স্বাদ কেমন, কিন্তু সেটা আর হয়ে ঊঠে না।
![]() |
---|
![]() |
---|
এখান থেকে বাজারে এসে একটা মিডিয়াম সাইজের কাঠাল কিনলাম। দাম চাইলো ৯০ টাকা, আমি ৫০ টাকা বললাম, দোকানদার এমন করে তাকালো যেন আকাশ থেকে পরছে। আমি হাটা দিলাম অমনি পেছন থেকে ডাকাডাকি। পরে ৫০ টাকাতেই দিয়ে দিল।
![]() |
---|
বাসায় এসে ভাত রান্না করে ভাত খেলাম, কেননা কাঠাল টা একটু শক্ত ছিল। ফ্রিজে ঢেড়স ছিল, ঢেড়স ভাজি করলাম। সবথেকে সহজ রান্না। রান্না শেষ করে মেয়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বললাম।
দুপুর বেলা গোসল করে আরো একটা মুভি দেখতে বসলাম। বাসায় কেউ না থাকলে মুভি দেখেই বেশি ভাগ সময় পার হয়। এর মাঝে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আসরের নামাজের পর একটা ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে ঊঠে বারান্দায় গিয়ে আকাশ দেখলাম। পশ্চিমকোণে সূর্য তখন ডুবুডুবু ভাব, তবে মেঘের কারণে দেখা যাচ্ছে না।
![]() |
---|
সন্ধ্যা অব্দি দাঁড়িয়ে থাকলাম বেলকনিতে। মাগরিবের আযান হলে বাসাতেই নামাজ পড়ে নিলাম। দুপুরের রান্না করাই ছিল সেগুলোই রাতে খেলাম। ৯ টার মধ্যেই খাওয়া কম্পলিট। মনে পড়লো এত বড় কাঠাল আনলাম এখন থেকে খাওয়া শুরু না করলে এটা তো শেষ হবে না।
![]() |
---|
কাঠাল টা ভাঙার পর এর কালার দেখে মনে মনে ভাবলাম জিতেছি। খেতেও দারুণ ছিল। তবে, কাঠাল খাবার সময় এর ভেতরের বিচির উপরের যে প্রলেপ থাকে তা কখনোই খাওয়া উচিৎ নয়। মূলত এটি খাবার কারণেই অনেকের পেটে সমস্যা হয়।
![]() |
---|
কাঠাল খেলে এমনিতেই ভালো ঘুম হয়, যদিও বা গরম একটু বেশি লাগে, তবে এখন আবহাওয়া একটু ভালো, তাছাড়া লোডশেডিং ও কম হচ্ছে। ঘুমটা ভালোই হয়েছে সারা রাত।
তো এই ছিল আমার কাটানো শনিবারের দিনটি। কেমন লাগলো আমার দিনালিপি অবশ্যই মতামতে জানাবেন। ভালো থাকবেন।
Camera | Samsung M31 |
---|---|
Location | Dhaka,Bangladesh |
সকাল বেলায় গিন্নিকে ঘুমের ঘোরে এমন কিছু বলেন নাই যাতে মার খেতে হয়।
কাঠাল কিনতে গিয়ে খানিকটা হেটেও এসেছেন। জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর।
কাঠাল কিনে এনে ভাত আর ঢেরশ ভাজি করেছেন। আসলেই পৃথিবীর সবচেয়ে রান্নার একটা।
আপানার বারান্দা থেকে তোলা ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।আকাশ খুব ভালো লাগে আমার।
কাঠাল খেলে শুধু ভালো ঘুমই হয় না, গরমও লাগে অনেক।
আসলে ঘুমের ঘোরে কিছু বললে সেটার দোষ থাকে না। তাই এটা নিয়ে আর কিছু হয় নি।
কাঠাল আমার পছন্দের ফল, সুযোগ পেলেই কিনে খাই, যদিও একটা কিনলে সেটা শেষ হতে চায় না।
আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল, এখন গরমের সময় কাঁঠাল খুব পাকছে, কাঁঠাল খেতে অনেক সুস্বাদু হয়, আপনি ৯০ টাকার কাঁঠাল ৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন, খুব ভালো লাগলো, অনেক দোকানদার আছে যারা বেশি দাম চেয়ে থাকে অল্প দামে দিতে চায় না পরবর্তীতে অল্প দামেই দিয়ে দেয়, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আসলে কাঠাল মোটেও ৯০ টাকার না। দোকানদার দাম চায় সব সময় ডাবল। ধরেন ২০ টাকার জিনিস চাইবে ৪০ টাকা। এবার যা পাবে তাই লাভ। এই কাঠালের বেলাতেও আসলে সেটাই হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই।
আমিও একটা সময় রাত জেগে মুভি দেখতাম কিন্তু বর্তমান সময়ে আর দেখার সৌভাগ্য হয় না।। অনেকদিন পর হাঁটাহাঁটি করলাম দিলে ভালো লাগলো আসলে মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করলে ভালই লাগে আমি প্রতিদিনই একটু হলেও হাটাহাটি করি।। অনেকেই আছে দামাদামি করা ছাড়াই অনেক জিনিস নিয়ে থাকে আপনি ৫০ টাকা দিয়ে কাঁঠাল কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো।।
রাত জেগে মুভি দেখা একটা নেশা, বিশেষ করে হরর মুভি দেখা। পারলে এই কায়া মুভি টা দেখবেন। ভালো লাগবে আশা করি।
হাটাহাটি অনেক কমে গিয়েছে। আবারো শুরু করবো ভাবছি।
আপনার ছুটির দিনটি কিভাবে কাটিয়েছেন তা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকালবেলা হাটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার ।
আপনি সকালবেলা হেঁটে এসেছেন তার সাথে কাঁঠাল কিনে নিয়ে এসেছে। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল আর সকালবেলা কাঁঠাল খাওয়া আমাদের স্বাস্থে্যর জন্য অনেক ভালো।
সত্যি আপনার বাজার করার ধরনটি অনেক সুন্দর ছিল। দোকানদার জাই দাম বলুক না কেন আপনার পছন্দের দাম আপনি বলে যেই হাটা দিবেন, কিছুসময় পরে দোকানদার সেই দামেই আপনাকে পণ্যটি দিয়ে দিবে ।কাঁঠাল বিক্রেতাও তাই করলেন ।
ভাবি বাসায় না থাকায় আপনাকে রান্না-বান্না সহ সমস্ত কাজে একা হাতে সামলাতে হচ্ছে ্ আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা ।