Better Life With Steem | The Diary game 10, August-2024
|
---|
Hello,
বন্ধুরা
অনেকদিন পর আবারো ফিরে এলাম। আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। অস্থির বাংলাদেশের অস্তিরতা দ্রুত কেটে যাচ্ছে, আশা করি খুব দ্রুতই আবারো নতুনরূপে আমাদের বাংলা সাজবে। আজকে আমি গতকালের দিনালিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি আপ্নারা উপভগ করবেন।
শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ছুটির দিনগুলিতে সাধারণত ভোর বেলা ঘুম থেকে ঊঠে ফজরের সালাত আদায়ের পর আবারো ঘুমাতে যাই। তবে আজকে ঘুম ভাংলো অনেক দেরীতে। ফজরের নামাজ আদায় করে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম, মনে হচ্ছে হালকা কুয়াশা পরছে। আকাশটাও অনেক মেঘলা।
সারারাত ডাকাতের চিন্তায় শহরবাসী ভালোভাবে ঘুমাতে না পারলেও এই মিষ্টী সকালে সবাই আরাম করে ঘুমাচ্ছে, তাই সকাল টা অনেক শান্ত মনে হচ্ছে। দূরে কয়েকটা কাক কা কা করে ডাকছে, পাখিদের কিচির মিচির ডাক আমার বাসা থেকে ভালো ভাবে শুনতে পাচ্ছি।
সকালটা উপভোগ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম তবে আর ঘুম আসলো না। তাই মোবাইল নিয়ে কিছু সময় পার করলাম,মোবাইলে ডিস্প্লে পরিবর্তন এর পর থেকে উল্টা পালটা কাজ করে। গিন্নির ঘুম, ভাংলো ৯ টার দিকে। ফ্রেশ হয়ে সে গেল পিঠা বানাতে। আজকে সে চিতই পিঠা বানিয়েছে। মাংসের ঝোল আর খেজুরের গুড় দিয়ে এই অসময়ে চিতই পিঠা যে এত মজা লাগে তা না খেলে বুঝবেন না।
নাস্তা খেয়ে আমি আর গিন্নী দুজনে ওস্তাদ হোটেল নামের একটা মুভি দেখলাম। এই মুভির মূল শিক্ষণীয় বিষয় ছিল আমরা অনেক অনুষ্ঠানে বা রেস্টুরেন্টে এত এত খাবার নষ্ট করি, অথচো অনেক মানুষ আছে যারা খাবারের অভাবে উপোষ থাকে। তাই সবার উদ্দেশ্যে পরিচালক একটা মেসেজ দিয়েছেন, অযথা একটা খাবারের কণাও যেন আমরা নষ্ট না করি।
দুপুর বেলা খাবার খেয়ে বিছানায় গেলেই দু চোখে রাজ্যর ঘুম ভর করে। কখন ঘুমিয়েছি মনে নেই, ঘুম থেকে ঊঠে আসরের নামাজ পড়ে মেয়েকে নিয়ে গেলাম খেলার মাঠে। তার সাথে ফুটবল খেলে বাসায় ফেরার পথে কিছু বাজার করলাম। ফলের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে, সম্ববত সিন্ডিকেট না থাকার কারণে।
সন্ধ্যেবেলা ফ্রিজ থেকে লিচু বের করলাম। লিচুর সিজনে এগুলো সংরক্ষণ করেছিলাম, বাহিরে থেকে দেখতে কালো হলেও ভেতরে এখনো ঠিক আছে, স্বাধেও তেমন হেরফের হয় নি।
লিচু খেয়ে নারিকেল নিয়ে বসলাম। মেয়ে নারিকেল দিয়ে মুড়ি খাবে, লম্বা করে কেটে দিলাম, এভাবে নারিকেল দিয়ে মুড়ি কি কখনো খেয়েছেন?
রাতে মেয়ের সাথে টিভিতে বসে কার্টুন দেখলাম, মেয়ে একা একা টিভি দেখবে না, বিশেষ করে বন্ধের দিনগুলিতে তার সাথে সব সময় থাকা লাগবে।
সে এখনো মাঝে মাঝে স্লোগান দেয়, তুমি কে, আমি কে? পরের লাইনটা আর বললাম না, বুঝে নিয়েন। দেশের পরিস্থিতি এখনো একটা গুমোট ভাব, যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে, জানিনা সামনের দিন গুলি কেমন আসবে, তবে আশা করাই যায় যে ভালোকিছু হবে। অন্তত আমি সেই আশায় বুক বেধে আছি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার দিনালিপিটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
@goodybest thank ypu so much mam
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দুপুরবেলায় খাবার পর মেয়েকে নিয়ে মাঠে খেলতে গিয়েছেন। আনারস খেতে আমি ভালোবাসি। কিন্তু এ বছর আনারস খাওয়াই হয়নি। আপনার সুন্দর পোস্টটি তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।