Better life with steem || The Diary Game || 7th February

in Incredible India6 months ago

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন
My Diary

জন্ম নিলে মরতে হবে এর থেকে বড় সত্য আর নেই। প্রতিটি মানুষের জন্ম- মৃত্যু পূর্ব নির্ধারিত। স্বাভাবিক মৃত্যুকে মানুষ সহজে মেনে নিতে পারলেও আকস্মিক কোন দূর্ঘটনায় মারা গেলে সে মৃত্যুকে মেনে নেয়া খুব কঠিন। অনেক সময় আমাদের নিজেদের খামখেয়ালি বা আশেপাশের অন্য কারোর খামখেয়ালির কারণেও মৃত্যুর মত বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

হয়তো আপ্নারা ভাবছেন, কি ব্যাপার ডায়েরি লিখতে বসে আমি এসব লিখছি কেন?

আসলে আমি যে পথ দিয়ে প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসা করি সেটাকে মৃত্যুফাঁদ বল্লেও খুব একটা যে ভূল বলা হবে তা নয়। আমি যে পথ দিয়ে আসি সেটি যে শুধু এমন তা কিন্তু নয়, ঢাকা শহরের সব গুলো অলিগলির একই অবস্থা।

20240207_085623.jpg

ঢাকার রাস্তায় নীচে নির্মাণসামগ্রীর স্তুপ উপরে কোন রকম সেফটি ব্যবস্থা ছাড়া নির্মাণ কাজ, এ যেন মৃত্যুফাঁদ

প্রতিদিন এমন ফাঁদ এর পাশ দিয়ে আমাকে হেটে হেটে অফিসে আসতে হয়। আগে একটা গলি দিয়ে আসতাম, একদিন উপর থেকে সিমেন্ট মাখা বালি এসে মাথায় পড়েছিল, হতে পারত সেটা একটা ইটের ৪ ভাগের এক ভাগ অংশ, তাহলে হয়তো আমি এখন উপরে চলে যেতাম।

সেই থেকে আগের ওই পথ পরিবর্তন করে অন্য পথে আসা শুরু করি, কিন্তু আজকে অফিসে আসার সময় দেখি এই পথেও একটা বিল্ডিং এর কাজ শুরু হয়েছে, এভাবে আপনি যেদিকেই যাবেন দেখবেন বেশিরভাগ গলিতে কোন না কোন বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ চলছে। কেউ সেফটি ব্যবস্থা করে কেউ যেন একেবারে উন্মুক্ত। দেখার কেউ নেই।

এমন একটা পথ পাড়ি দিয়ে আজকেও অফিসে এলাম। আসার পথে শুধু হাতিরঝিল এর লেকপাড়টাই মন্দের ভালো আমাদের জন্যে। অথচো পথচারীদের পারাপারের জন্যে এরকম পথ আরো বেশি বেশি থাকা দরকার ছিল।

20240207_090537.jpg

হাতিরঝিল লেকপাড়ে এই পথ দিয়ে হাটতে সব সময়ই ভালো লাগে

অফিসে গিয়ে যথারীতি কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া। মাঝে এক বার চা এর বিরতিতে গিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় ১০-১৫ মিনিট কলীগদের সাথে আড্ডা দেয়া, এভাবেই সকাল টা কেটে গেল।

দুপুরে একবার অফিসের নীচে নেমেছিলাম। দেখলাম নাম না জানা একটি ফুল গাছে খুব সুন্দর ফুলের কলি এসেছে। হয়তো দু একদিন ই পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হবে, তখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।

নাম না জানা ফুল

এদিকে জোহরের নামাজের সময় পার হয়ে যাচ্ছে, পেটেও ক্ষিদা। ভাবলাম আগে লাঞ্চ করে পরে নামাজ পড়বো। ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। লাঞ্চ করে লিফটে করে সোজা ছাদে। ততোক্ষণে জামাত শেষ। তাই একা একা নামাজ পড়ে নিলাম। যদিও জামাতে নামাজ আদায়ে সওয়াবের পরিমাণ অনেক বেশি,তার পরেও মাঝে মাঝে পড়া হয়ে ওঠে না।

20240207_135804.jpg

বিকেল টা খুব ব্যস্ততায় কেটে গেলো। ফ্রি হলাম ৫ টার পর। ছাদে গিয়ে ব্যাডমিন্টন খেল্লাম ১৫ মিনিটের মত। মাগরীবের নামাজ পড়ে এসে ফাইল পত্র গুছিয়ে বাড়িতে চলে এলাম।

বাড়িতে এসে মেয়েকে নিয়েই সারাটা সময় চলে যায়। সামনে একটা এক্সাম আছে, কিন্তু পড়ার সুযোগ নেই। মেয়ে সব সময় বই নিয়ে টানাটানি করে।

আজকে সন্ধ্যার পর হটাৎ তার গহনার শখ জেগেছে, সে কান ফুটো করে দুল পড়বে। অনেক বুঝিয়ে তাকে মালা আর চুড়ি দিয়ে শান্ত করলাম। সেগুলো নিয়ে সে খেলতে থাকলো।

20240207_205945.jpg

এদিকে কমিউনিটির টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিল, ঠিক সময় ক্লাসে উপস্থিত হলাম। এডমিন ম্যাম অনেক নতুন তথ্য শেয়ার করলেন, পাশাপাশি আমাদের কাছে থেকে ফিডব্যাক চাইলে হাসনেহেনা আপু ডাবল সিক্স হাকিয়ে টিউটোরিয়াল ক্লাসকে জমিয়ে তুললেন।

ক্লাশ শেষ করতে অনেক দেরি হওয়ায় ক্লাসের মাঝেই আমি রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। ক্লাশ শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।

আর এভাবেই আরো একটা দিনের সমাপ্তি হলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে ❤️

Sort:  
Loading...
 6 months ago 

সৃষ্টিকর্তা যখন এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তখন আমাদেরকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেই হবে। সেটা যে কোন মুহূর্তেই হোক না কেন। ঢাকা শহরের প্রত্যেকটা অলিগলিতে চলতে গেলে, আমার কাছে অনেক বেশি ভয় লাগে। কেননা মনে হয় এই কোন চিন্তাই কারী আমার সামনে আসলো, আর আমার কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গেল।

আপনার মেয়ে গয়না পড়ে, কিন্তু তাকে বেশ ভালই লাগছে। তার ইচ্ছাটা আপনারা পূরণ করেছেন। সেই সাথে টিউটোরিয়াল ক্লাস আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

জন্মিলে মরিতে হবে এটাই নিয়ম, কিন্তু অপমৃত্যু বা আকস্মিক মরণ কারোরই কাম্য নয়। এটি কেয়ামতের একটি আলামত।

এ থেকে বাচার জন্যে আমাদের বেশি বেশি দোয়া পড়তে হবে, আল্লাহর কাছে চাইতে হবে যেন সাভাবিক মৃত্যু দান করে।

 6 months ago 

আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় ঢাকার শহর আমাদের রাজধানী না এটি আমাদের মৃত্যুর ফাঁদ মনে হয় ।কারণ, আমরা যে রাস্তাতেই যাই না কেন বা যে গলিতে যায় না কেন খোঁড়াখুরী কাজ সারা বছর ধরে লেগে থাকে।
এমনিতে ঢাকায় লোক সংখ্যা বেশি তার উপরে যানবাহন বেশি । এই খোঁজাখুরির কাজ কখনোই বন্ধ হয় না ।অলি-গলি থেকে শুরু করে মেইন রোড পর্যন্ত এর থেকে কখনই মুক্তি পায় না ।

আমাদের সবসময় সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে হয় ।মাঝে মাঝে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে ।
অজানা ফুল গুলো দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর ।আশা করি ,ফুল ফোটার পরে আপনি এই গাছের ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি অফিসে বসেও আপনার ধর্ম পালন করেছেন, দেখে খুবই ভালো লাগলো ।

মেয়েরা সাজুগুজু করতে ভালোবাসে তাইতো আপনার ছোট্ট সোনা মামনি ও কান ফোড়াতে চাচ্ছে এবং নতুন কানের দুল পড়তে চাচ্ছে । ভাইয়া এখন শীতের সময় আছে এখন ভালো একটি দিন দেখে কান ফরাতে পারেন ।আপনাদের পরিবারের জন্য রইল শুভকামনা ।

 6 months ago 

হ্যা, আপু ঢাকায় থাকা মানে কি যে এক যন্ত্রণা। সব জায়গায় অশান্তি, তার অওরেও জীবিকার তাগিদে এখানে থাকতে হয়। চেষ্টা করি যতটুকু পারা যায় সাবধানে থাকার। তার পরেও কখন যে কার সাথে কি হয় বলা মুশকিল।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 6 months ago 

ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য
নাম অজানা ফুলের ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে ।

ঠিক বলছেন ভাই গতকাল টিউটোরিয়াল ক্লাসে আমরা অনেক কিছু নতুন ইনফরমেশন পেরেছি যা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

ধন্যবাদ ভাই। এই ফুলটা মূলত রাতের বেলা ফোটে, আর খুব সুগন্ধি ছড়ায়। যখন এই কলি থেকে ফুল ফুটবে, তখন চেষ্টা করবো এটির ফটোগ্রাফি করে সবাইকে দেখানোর।

 5 months ago 

ভাই আমরা অপেক্ষায় রইলাম আপনার হাতের ওই ফুলের সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টের সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য

 5 months ago 

আপ্নাকেও ধন্যবাদ ভাই, অনেক বেশি ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

Welcome

 6 months ago 

নাম না জানা ফুলটি দেখতে খুবই চমৎকার। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। ঢাকা শহরের প্রতিটা অলিগলিতে চলাচল করা যেন মৃত্যুকে হাতে নিয়ে চলা। সেদিনও এক মহিলা মারা গেলেন মাথার উপর ইট পড়ে। তাই সাবধানে চলাচল করবেন। আর গতকালের টিউটোরিয়াল সত্যিই অনেক বৈচিত্রময় ছিল।

 5 months ago 

এই ফুলটি দেখলাম আর ফুটলোই না, তবে সন্ধ্যে বেলা দারুণ ঘ্রাণ পেয়েছি। মূলত রাতেই এটি গন্ধ বিলিয়ে দেয়। আর ফুল এভাবেই থাকে।

 5 months ago 

জন্ম নিলে মৃত্যু হবে এটা স্বাভাবিক। আমরা যারা পৃথিবীতে এসেছি তাদের প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আপনার পোস্টগুলো পড়লে সবসময় ভালো লাগে কারণ আপনি শত ব্যস্ততার মাঝে হলেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করেন।

 5 months ago 

ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন। আর এভাবে সাপোর্ট করবেন সব সময়।

 5 months ago 

মৃত্যু কখন কার কোথায় হবে সেটা আমরা কেউই জানিনা।। আর হ্যাঁ ঢাকা শহরে চলাচল করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ।। যেকোনো সময় যেকোন বিপদ ঘটে। অনেক খবরই দেখা যায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় উপর থেকে অনেক কিছু পরে অনেকেই মৃত্যবরণ করছে।। ভাই যেখানেই থাকেন সাবধানে থাকবেন।।

 5 months ago 

আসলে যেখানে মানুষের চাপ বেশি থাকে সেখানেই ভালো মানুষের আড়ালে খারাপ মানুষ লুকিয়ে থাকে, পাশাপাশি সব ধরনের বিপদের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই অবস্থায় যেহেতু আমাদের এখানেই থাকা লাগে তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্যে

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

একদম বাস্তব কথা বলেছেন ভাই।। খুবই ভালো লেগেছে আপনার কথাটা।।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 66996.66
ETH 3235.91
USDT 1.00
SBD 2.63