Better life with steem || The Diary Game || 31st march|| Share Wonderful memories with school Alumni
৩১ মার্চ,২০২৪
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। দেখতে দেখতে রমাজান মাস শেষের দিকে, কয়েকদিন পরই ঈদ,ঈদের আমেজ বাসা থেকে শুরু করে অফিস, রাস্তা সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে।
রোজা শুরুর পর হতে প্রতিদিন কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। আজকের দিনেও ঘুম থেকে ঊঠেই দেখি প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস। বাতাসের কারণে আমার বেলকনী বাগানের একটি গাছ টব সহ বারান্দায় পড়ে আছে। যারা শুধু আমার সখের বাগানটুকু দেখেন তারা হয়তো জানেন না এর পেছনে কত কষ্ট করতে হয়। বিশেষ করে প্রতিবার বৃষ্টির পর বারান্দার অবস্থা একদম গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তায় রূপ নেয়। যাইহোক, সকাল সকাল বারান্দা পরিস্কার করে আমি অফিসের পথে রওনা হলাম।
বাসা থেকে বের হবার সময়ই ভাব্লাম আজকে বিএমডব্লিউ ছাড়া বের হওয়া যাবে না। প্রচন্ড বৃষ্টি। আমি আমার বিএমডব্লিউ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ভাববেন না আবার যে,আমার দামী গাড়ী আছে, আমি যে ছাতা ব্যবহার করি সেটার নাম বিএমডব্লিউ।
ঢাকা শহরে একটু বৃষ্টি মানে গলি গুলোতে কাদার প্যাক জমে যাওয়া। আমাকে যেহেতু অনেকটা পথ হেটে যেতে হয়, তাই খুব ই বিপত্তি ঘটে৷ বিশেষ করে জুতো জোড়া নষ্ট হয় পাশাপাশি প্যান্টের পেছন পাশে কাদা লাগে। তাই যতদূর সম্ভব কচ্চপ গতিতে পা টিপে টিপে হেটে অফিসে এলাম।
বৃষ্টি হবার আগ মুহূর্ত ও বৃষ্টি শেষ হবার পর মুহূর্ত, এই দুই সময়েই আকাশ দেখতে সুন্দর মনে হয়। আমি যখন লেকপাড় দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম তখন লেকের পানি আর আকাশের রঙ একই রকম মনে হচ্ছিল।
ঈদের আগে আমাদের অফিসে কাজের চাপ একটু বেশি থাকে, এর বাইরে আছে ব্যাংকের ডিউটি। ব্যাংকে অতিরিক্ত মানুষের চাপের পাশাপাশি আছে রাস্তায় অসহ্য জ্যাম। আমি গুলশান ১ থেকে বনানী গিয়ে ফিরে আসতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় শেষ।
জোহরের নামাজ পড়ে সাপ্লায়ার বিল গুলো দ্রুত এন্ট্রি করতে করতে বিকেল হয়ে গেল। আজকে আবার আমাদের এলামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল। অফিস শেষে পাঠাও কল করে সোজা চলে গেলাম ল্যাবএইড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে। সেখানে আমাদের এলামনাই এসোসিয়েশন এর চীফ পেট্রোনের অফিস।
অডিটোরিয়াম ভরা বন্ধু আর ছোট ভাইদের নিয়ে দারুণ সময় পার হলো। আমাদের স্কুলের এসোসিয়েশন এমনই শক্তিশালী যে একটা ডাক দিলে সবাই এক ছাতার নীচে চলে আসে। দেখে খুব ভালো লাগলো, অনেক দিন পর সবার সাথে দেখা হলো। আলোচনা হলো। কিভাবে আমাদের এসোসিয়েশন কে আরো শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে কথা হলো।
ইফতারিতে আমাদের কে ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, সালাত ও বিভিন্ন ফল দেয়া হলো। সব মিলিয়ে খুব ই সুন্দর ও গোছানো আয়োজন।
ইফতারির পর আমরা প্রায় রাত ১০ টা অব্দি আলোচনা করলাম, আড্ডা হলো সবার সাথে। আমাদের স্কুলে নতুন প্রিন্সিপাল নিয়োগ পেয়েছেন, উনার সাথে আমাদের সবার পরিচয় হলো। আগামী ২০২৫ সালে স্কুলের রজত জয়ন্তী পালিত হবে, সেই লক্ষ্যে এখন থেকে আমাদের কাজ করার আহবান জানালেন।
একটা স্কুলের এলামনাই খুব ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি ছাড়া হয়তো আমরা ব্যাচমেটদের মনে রাখতে পারি, বা হ্যাংআউট করতে পারি, কিন্তু এলামনাই এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে যেকোন সময় সাবেক ও বর্তমানদের সাথে যোগাযোগ করা যায়, একজনের বিপদে আপদে পাশে পাওয়া যায়।
ইফতার প্রোগ্রাম শেষ করে আবারো পাঠাও রাইডে বাসার পথে রওনা হলাম। গুলশান ২ এর চত্তরে আসতে আসতে প্রায় ১০:৩০ বেজে গেল। রাতের বেলা ঢাকা অদ্ভূদ রকমের ফাকা মনে হলো। শুধু লাইটের ঝলকানি, না আছে গাড়ীর জানজট, না আছে ট্রাফিক সিগন্যাল। এরকম ঢাকা যদি ২৪ ঘন্টা থাকতো!
বাসায় যেতে যেতে আমার প্রায় ১১ টা বেজে গেল, ততোক্ষণে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। ডেকে ডেকে তুললাম ঠিকই কিন্তু বউ মশারী হাতে নিয়ে গেট খুলে বল্লো ছাদে গিয়ে ঘুমাতে। ততোক্ষণে অবশ্য আমার মেয়ে ঊঠে পড়েছে। মেয়ের হস্তক্ষেপে কোনরকম বাসায় প্রবেশ করতে পারলাম। বাসার গিন্নীরা আসলে আমাদের অফিস শেষের প্রহর গুনে, কোন কারণে দেরি হলেই এনাদের মাথা বিগড়ে যায়। তাই যতটুকু সম্ভব এই সময় পরিস্থিতি বুঝে কথা বলতে হয়। তাদেরকে রিড করতে না পারলে বিপত্তি। সব থেকে ভালো হতো একটা গোলাপ সাথে নিয়ে আসতে পারলে।
বাসায় এসে তারাতারি ফ্রেশ হয়ে সবার প্রথম নামাজ পড়ে নিলাম, মা-মেয়ে ততোক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমিও চুপিসারে ঘুমিয়ে পড়লাম।
কয়েকদিন আগে আমাদের এদিকে এরকম আবহাওয়া খারাপ ছিল। আপনার ছাতার নাম বিএমডব্লিউ দেখে অনেকটা অবাক হলাম। আপনার এক জায়গায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন ছিল। ল্যাবএইড হাসপাতালের অডিটরিয়ামে গিয়ে ইফতারের জন্য সেখানে সামিল হয়েছেন। ধন্যবাদ সারাদিনের কার্যক্রম গুলো তুলে ধরার জন্য।
জি ভাই, এই বিএমডব্লিউ নিয়ে অনেক ফানি পোস্ট পাবেন ইউটিউব বা ফেসবুকে। সেখান থেকে আমার মাথায় এটা এসেছিল, তাই একটু মজা করলাম। ল্যাবএইড এ আমাদের ইফতার মাহফিল এ আমরা অনেক মজা করেছি, ভালো সময় পার হয়েছে আমাদের।
X promotional link
https://twitter.com/Mukit_Salafi/status/1775025298171671008?t=Mx5b6Vc31FLCQdTMs_35nw&s=19
বৃষ্টি হলে বেশ ভালই লাগে গরমের পরিমাণটা একেবারেই কম থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই দুইদিন প্রচন্ড গরম। আপনাদের স্কুলের এসোসিয়েশনের সবাই মিলে একসাথে হয়েছেন। আসলে এই ধরনের উদ্যোগ গুলো যদি সবাই মিলে গ্রহণ করে এবং সবাই মিলে পালন করে, তাহলে বেশ ভালই হয়। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ আপু আমার ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়ে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার বিএমডব্লিউ ছাতার লেখাটা পড়ে সত্যি হাসি পেয়ে গেলো। আমাদের মতো মানুষের বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে তো বেরোতে পারবো না তাই বিএমডব্লিউ ছাতা নিয়েই বেরিয়ে মনকে শান্ত করতে হবে।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
একদম মনের কথা বলেছেন গাড়ি নেই তো কি হয়েছে রাস্তায় বেরিনোর মত বিএমডব্লিউ তো আছেজ। হাহা....