Better life with steem || The Diary Game || 29th May, 2024 ||
কেমন আছেন সবাই? আশা করি যে যেখান থেকে আমার আজকের ডায়েরি পড়ছেন সবাই অনেক অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আমি এখন গতকালের কাটানো দিনটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
![]() |
---|
প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ঊঠে রোজ অফিস যেতে আর ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে মনে হয় দুই মাসের ছুটিতে কোথাও গিয়ে অবকাশ যাপন করে আসি। এ দিক থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর চাকুরী অনেক ভালো। তারা টানা যেমন ডিউটি করে তেমনি একটানা ছুটি পায়।
কিন্তু আমাদের মত জবহোল্ডারদের রোজ একই রুটিন, একই কাজ। আর সপ্তাহের শেষের দিকে এই একঘেয়েমিটা আরো বেশি লাগে। বুধবার সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে যথারীতি রোজকার সকালের আবশ্যিক কাজ গুলো সেড়ে সকালের নাস্তা করতে বসলাম। আজকে রুটির সাথে পায়েশ ও ডিম পোচ ছিল।
![]() |
---|
নাস্তা করার পরে মনে হলো আজকে বাগানে পানি দেয়া হয় নি। তারাতারি পানির স্প্রে নিয়ে বেলকনির গাছ গুলোতে পানি স্প্রে করে দিলাম। সাকুলেন্ট এর পাতা থেকে করা চারাটা মাটিতে খুব সুন্দর ভাবে বড় হচ্ছে।
![]() |
---|
সকাল ৯ টা বাজার আগেই যথারীতি অফিসে চলে গেলাম। অফিসে গিয়ে ডেস্ক ক্যালেন্ডার এ চোখ পড়তেই মনে হলো এই মাসটাও প্রায় শেষ। দেখতে দেখতে এ বছরের ৫ টা মাস অতিবাহিত হয়ে গেল। মনে পড়লো আগামী মাসের ৬ তারিখ গিন্নি আর মেয়েকে বাসায় রেখে আস্তে হবে। কোরবানির সময় বাস ট্রেন সব জায়গায় অসম্ভব ভীড় থাকে। তাই এক সপ্তাহ আগে তাদের রেখে আসবো। জলদি বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকেট কেটে ফেললাম।
গত রোজার ঈদ ঢাকায় কাটিয়েছি, একদম বাজে ঈদ কেটেছে, তাই এবার বাড়ি যেতেই হবে। মেহেক তার দাদুবাড়ি যায় নি প্রায় ৮ মাস হয়ে গেছে।
![]() |
---|
এবার ঈদের ২ দিন পর শশুর বাড়িতে একটা বিয়ের অনুষ্টান আছে। ঈদের ছুটি ৫ দিন। এখন থেকে ক্যালেন্ডারে চোখ সবার। মাঝের দু দিন ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি। এই ধরনের ছুটির জন্য পুরো অফিস হা করে থাকে। বসকে আগে আগেই জানিয়ে রাখতে হবে, জানিনা ছুটি পাবো কিনা।
![]() |
---|
দুপুরে লাঞ্চ করে সোজা অফিস ছাদের মসজিদে গিয়ে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। ইদানীং এতটাই ক্ষিদে লাগে যে প্রতিদিন আগে খাবার খাই, তার পর আর নড়াচড়া করতে পারি না, নামাজ পড়তেও কষ্ট হয়।
সন্ধ্যা বেলা বাসায় ফেরার পথে বাড্ডা বায়তুল মামুর মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষে ব্রেড কিনে সোজা বাড়ির পথে রওনা হলাম। মেয়ে একটু অসুস্থ হলে পাউরুটি ছাড়া কিচ্ছু খেতে চায় না।
![]() |
---|
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটা ওয়ালমেট সেট করলাম। অনলাইন এ বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফারে কিনেছিলাম। ভালোই হয়েছে অবশ্য। একটা ড্রয়িং রুমে আর আরেকটা মেয়ের রুম সেট করলাম। এগুলো পিভিসি বোর্ডের উপরে প্রিন্ট করা।
![]() |
---|
রাতে টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন হলাম। প্রথম দিকে কো এডমিন ম্যাম ও পরে এডমিন ম্যাম জয়েন করে আমাদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বললেন। পাশাপাশি দারুণ একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। আশা করি উদ্দেশ্য সফল হবে।
ক্লাস শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে কয়েকটা পোস্ট পড়লাম। পাশাপাশি বেশকিছু পোস্টে ভোট দিলাম। ভোটিং সি এস আই মেইনটেইন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আশা করি সবাই এই বিষয়ে নজর রাখবেন। অনেক অনেক ভালো থাকবেন সবাই। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
আপনি দেখছি নাস্তায় লাল আটার রুটি নিয়েছেন। ছোটবেলায় আমি রেশনের আটা খেয়েছি।এখন লাল আটা দেখলে প্রচন্ড বিরক্ত হই। আমার কাছে মোটেও স্বাদ লাগেনা। তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ইদানিং এটিকে বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
ঈদের ছুটির পরিকল্পনা আপনার এখনই শুরু হয়ে গেছে। খুবই চমৎকার ভাবে ঈদ কাটানোর পরিকল্পনা করছেন। নয় দিনের ছুটি সত্যিই দারুণ ব্যাপার।
ওয়ালমেট টি ও দেখতে বেশ অভিনব লাগছে। ইদানিং বাই ওয়ান গেট ওয়ানের অফার বেশ বেড়েছে। ঠিকমতো চুজ করতে পারলে লাভবানই হওয়া যায়।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
প্রতিদিনই একই কাজ। প্রতিদিন অফিসে যেতে ভালো না লাগলেও বাধ্য হয়ে যেতে হয় কারন এটাই জীবিকা নির্বাহের ও চাহিদা মেটানোর উৎস। আর মাস শেষে বেতনটা হাতে পেলে মন এমনিতেই খুশি তখন সকল ক্লান্তি দুর হয়ে যায়।
বাসার গাছগুলোকে জল দিয়ে প্রতিদিনের মতো অফিসে রওনা হলেন। আমার কাছে আপনার ওয়ালমেট এর ডিজাইনটা খুব সুন্দর লেগেছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে ভাই কিছু করার নাই কর্মজীবন সবসময় আনন্দের থাকলেও মাঝে মাঝে বিরক্তকর লাগবে এটাই স্বাভাবিক।। প্রতিদিনের মতো আজকে অফিসে গিয়েছিলেন, আসলে ভাই জীবিকার তাগিদে অনেক কিছু করতে না চাইলেও করতে হবে।। এ বছর ঢাকায় ঈদ করলেও এবার গ্রামে বাসায় ঈদ করবেন জেনে ভালো লাগলো।
আপনার রুটিটা সবার আগে নজরে পরলো। পরে মনে হলো এটা নিশ্চয়ই আপনার সেই বিটরুটের রাত রুটি।
বাংলাদেশ এর মাঝে সবচেয়ে বাজে চাকরি সম্ভবত প্রাইভেট ব্যাংকে যারা কাজ করে তাদেরটা।ঈদের আগে একদিন আর ঈদের পরে একদিন ছুটি। বিশ্বাস নাই কোন বছর যেন বলে বসে যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন এখনো দেয়া হয়নি তোমরা এবার ঈদের দিনও ছুটি পাবেনা।কোভিদের সময় নিয়ম হয়েছে হজ্জ আর চিকিৎসা ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবো না, সেটা এখনো বহাল আছে।
দেশে ঈদের আনন্দই আলাদা হয়।ওয়ালমেটটা নজর কাড়লো। কই থেকে নিলেন এত সুন্দর জিনিসটা।
ভালো থাকবেন সবসময়।
বর্তমানে প্রত্যেকটা চাকরির ক্ষেত্রেই ছুটির যে অবস্থা বেহাল দশা তবে আমার কাছে সেনাবাহিনীর ছুটি এবং অন্য দিকগুলো ঠিক আছে,,,
ঈদে ছুটি নেওয়া পরিকল্পনা করছেন,,, ঈদের আগে সব চাকরি জীবীদের মনে একটা আনন্দ কাজ করে তাহলে কবে বাড়ি ফিরবো।।
তবে এবার আর মনে হয় আমার হাজব্যান্ড ছুটিতে পাবে না যে কারণে, আমার ঈদটা কাটবে এই চার দেয়ালে মাঝে। যাই হোক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে এবং আপনার ওয়ালমেট টি দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর হয়েছে,,,।।
আসলে এই শহরে ঈদ করার মাঝে কোন আনন্দ নেই, যেটা আমি গত রোজার ঈদে হারেহারে টের পেয়েছি, তাই এবার আগে ভাগেই বাড়ি পাঠাচ্ছি, পরে ঈদের আগে আগে আমিও যাবো।
আপনি ঢাকায় ঈদ কাটাবে যেনে কষ্ট লাগছে, কি আর করার ভাইয়ার যেহেতু ছুটি নেই। দোয়া করি ভালো কাটুক আপনার ঈদ।
আসলেই চাকরিজীবীদের একটানা ছুটি নেই। আপনার তাও দেখি সপ্তাহে দুই দিন আছে, আমার তো সেটাও নেই। যাইহোক, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাজকর্ম সেরে নাস্তা করেছেন। রুটির সাথে পায়েস অন্যরকম একটা স্বাদ। আপনার বেলকনির লাগানো কাজগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আসলেই সময় যেন কোন দিক দিয়ে চলে যায় বুঝতেই পারা যায় না।
সারাদিনের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আসলে সপ্তাহে এই দুই দিনই যা ছুটি পাই, অন্যদিন দম ফেলানোর সুযোগ নেই, সেদিক থেকে আপনি রিলাক্সে জব করেন, প্যারা কম। তাই ছুটি কম ,মেনে নেয়া যায়। রুটি পায়েশ সত্যি অনেক মজার,। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।