Better life with steem || The Diary Game || 29th March-Jummah Mubarak
২৯ মার্চ,২০২৪
দেখতে দেখতে এবছরের রমজানের দিনগুলি কেমন দ্রুত চলে যাচ্ছে। আজকে ১৯ রমাজান। রমাজান মাসের শুক্রবার মানেই আমার মত অন্য সব মুসলিমদের কাছে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। আজকের এই দিনটি কিভাবে কাটালাম সেটিই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সেহরি করে নামাজ পড়ে অন্যদিনের মত আজকেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ৭:২৫ এ মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম ভাঙলো। আগামীকাল আবারো আমার মায়ের ডাক্তার দেখাতে হবে, তাই সকাল ৭ টা ৩০ এর মধ্যেই পদ্মা ডায়াগনস্টিক এর কল সেন্টারে কল দিয়ে সিরিয়াল নিলাম, এবং জীবনে এই প্রথম এক নাম্বার সিরিয়াল পেলাম।
সিরিয়াল নিয়ে আবারো ঘুম, এক ঘুমে ১০ টা। ঘুম থেকে ঊঠে মেয়েকে নাস্তা করালাম। দোলনায় ঢুলতে ঢুলতে সে নাস্তা খেল। ডাক্তার ২ ঘন্টা পর পর তাকে খাওয়াতে বলেছে।
মেয়েকে নাস্তা করিয়ে একটা সেদ্ধভডিম ধরিয়ে দিলাম। সে টিভি দেখতে দেখতে সেটা খেয়ে নিল। তাকে খাবার খাইয়ে
বাসার কিছু টুকটাক কাজ করতে করতেই নামাজের সময় হয়ে গেল। শুক্রবার, তাই চেষ্টা করলাম যত তারাতারি মসজিদে যাওয়া যায়। মসজিদে যাবার পথে দেখলাম রাস্তায় দোকান গুলোতে তরমুজ দিয়ে ভরা।
বাংলাদেশের মানুষ এখন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভালোই লড়াই চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে বেশি দামে তরমুজ না কেনার আহবান জানানো হয়, সাধারণ মানুষও তাতে সাড়া দেয়। এরই ফলে তরমুজের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে, এখনো মানুষ সেভাবে কিনছে না। এভাবে চলতে থাকলে মজুদদাররা এমনিতেই লোকসান গুণবে।
আমিও পণ করেছি দাম ৩০-৪০ টাকা কেজি না আসলে কিনবো না। যাই হোক, আমরা বাবা মেয়ে মিলে মসজিদে চলে গেলাম।
নামাজ শেষে বাসায় চলে এলাম। আজকে ঈদের কেনাকাটার জন্য বের হলাম ৩ টার পর। পরিচিত এক ছোট ভাই নতুন কাপড়ের দোকান দিয়েছে। তার দোকানে গিয়ে আমার জন্যে একটা জিন্স আর বউ একটা থ্রি-পিস নিলো। আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম বসুন্ধরা জে-ব্লকে, সেখানে সোফার দোকানে সোফা দেখলাম। কিন্তু দাম অনেক চড়া তাই আর কেনা হলো না।
এদিকে সন্ধ্যাও হয়ে যাচ্ছে, তাই তারাতারি বাসায় চলে এলাম। আসার পথে মেয়ের জন্যে একটা পেস্টি আর আমাদের জন্যে কিছু ইফতারি নিলাম। আজকেই প্রথম বাহিরে থেকে ইফতার কিনলাম।
ইফতারি করে আমি বাসার নিচে নামলাম। এলাকার সাপ্তাহিক টাকা জমা দেবার একটা সমিতি আছে যেখানে প্রতি সপ্তাহে ১০০ টাকা জমা দিতে হয়। আমার ২ টা একাউন্টে ১০ সপ্তাহের টাকা বাকি ছিল, ২০০০ টাকা জমা দিলাম। ৫০ সপ্তাহের জমানো এই ১০০ টাকা ৫০০০ টাকায় রূপ নেয়, ঈদের আগে সেই টাকা দিয়ে ৫ কেজি গরুর মাংস, ৫ লিটার তেল, ২ কেজি পোলার চাল, ১ কেজি চিনি, মসুর ডাল ও সেমাই এর প্যাকেজ দেয়া হয়। প্রায় ৩০০ জনের মত মানুষ এই সমিতি চালায়। খুব ই ভালো একটা উদ্যোগ, ঈদের সময় এই বাজার টা সবার উপকারে আসে।
রাতে বাসায় ফেরার পথে আমি শশা, কলা আর সজনে কিনে বাসায় ফিরলাম।
রাতের খাবার খেয়ে ডিস্কোর্ডের জরুরি মিটিং এ জয়েন করলাম। সম্পা দিদি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন৷ চেষ্টা করবো সেগুলো মেনে চলার।
মিটিং শেষে নামাজ পড়ে পোস্ট লিখে ফেললাম। তারাতারি ঘুমোতে হবে, কালকে আবারো হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
ছোট বাচ্চাদের প্রতিদিন ডিম খেতে দেওয়া উচিত। কারন ডিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে যেটা বাচ্চাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে দেশি মুরগির ডিম বেশি উপকারি তবে এগুলো গ্রামের দিকে পাওয়া গেলেও শহরের দিকে সচারাচর পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।।।
হ্যা ভাই, আমি আমার মেয়েকে দুধ ডিম আর কলা প্রতিদিন খাওয়ানোর চেষাতা করি, তব্র প্রতিদিন খেতে চায় না। বাচ্চাদের খাওয়ানোটা বিশাল এক ঝামেলার কাজ। এখন শহরে ফারমের ডিম দিয়ে ভরা, দেশি গুলো পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। মিটিংয়ে নিজের ছবি দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সমিতিতে টাকা জমানো বেশ ভালো। আমারও এ ধরনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অলসতার কারণে কখনো চেষ্টা করা হয়নি।
ধন্যবাদ ভাই, আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। আসলে সমিতি ব্যাপারে আমিও আগে উদাসীন ছিলাম তবে লাস্ট দুবছরে আমি এসব থেকে অনেক টাকা জমা করতে পেরেছি, সঞ্চয়ের খুব সহজ ও ভালো মাধ্যম এটি।
শুক্রবার হলো আমাদের মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজের দিন। বর্তমানে তরমুজের যে দাম বেড়ে গিয়েছিল যা বলার বাইরে। আপনি এবং আপনার মেয়ে মিলে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। বিকেলবেলা কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে গিয়েছেন। ধন্যবাদ সারাদিনের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তরমুজের দাম এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন ১৫০-২০০ টাকাতেই ৪-৫ কেজির তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এটা অবশ্যই সম্ভব হয়েছে সবার জোড়ালো প্রতিবাদের কারণে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।