Better life with steem || The Diary Game || 27 January
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWU9zk1YkyyTD7SzopVaZHg2BuRhXZr89w7RSCKEHQXWn/20240127_194633.jpg)
২৭ জানুয়ারি,২০২৪- শনিবার। আরও একটা ছুটির দিন। অলস সকাল, ছুটির দিনে অন্য দিনের তুলনায় আগেই ঘুম ভেঙে যাবে এটাই যেন নিয়ম। তবে এবার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সকাল ৯ টার আগে বিছানা ছাড়বো না। ৯ টার পর বিছানা ছেড়ে নবাবের মত ঊঠলাম। তবে আজকে আর নবাবী ভাব বেশিক্ষণ থাকবেনা। আজকে অনেক কাজ।
সকালে মেয়ে স্যান্ডউইচ খাবে বলে বাহানা ধরেছে। ব্রেড বাসাতেই ছিল, আমরা গাজর দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়েছিলাম। দারুণ হয়েছিল খেতে।
![]() |
---|
নাস্তা শেষ করে আমরা লাল চা বানিয়ে খেলাম। শীতের সকালে লাল চা খুব ই স্বাস্থ্যকর। আর আমরা চিনির বদলে আজকে মধু দিয়ে চা বানিয়েছি।আমাদের সাথে আমার মেয়েও প্রতিদিন চা খায়। যদিও বাচ্চাদের চা দেয়া উচিৎ নয়, কিন্তু সে খাবেই। তাকে অল্প করে দেয়া হয়।
![]() |
---|
চা খেয়ে আমি মেয়েকে নিয়ে বাহিরে গেলাম। বাইকে করে বালু নদীর ৩০ ফিট রাস্তায় গেলাম। এই জায়গাটাতে এলে গ্রামীন একটা পরিবেশ পাওয়া যায়। এক পাশে নদী আরেক পাশে বিলের মতো, মাঝ খনে ইট বাধানো রাস্তা, রাস্তার দু পাশে বড় বড় গাছের সাড়ি। এখানে এলেই মন ভালো যায়।
![]() |
---|
আমরা সেখান থেকে চলে এলাম বাসার সামনের খেলার মাঠে। সেখানে মেয়েকে দৌড়াতে বলে আমিও হাটলাম। মিষ্টি রোদে বসে ছিলাম অনেকক্ষণ। মেয়ে আগেই জেমস চকোলেট নিয়েছিল। সেগুলো আমার হাতে দিয়ে দিলো। আমি কালার এর নাম বললাম আর ও সেই রঙ এর টা তুলে তুলে খেল, এটাই তার খেলা।
![]() |
---|
বাসায় এসে বাগানের গাছ গুলোতে পানি দিয়ে, ঘর মুছে দিলাম। বারান্দা অনেক ময়লা হয়ে গিয়েছিল, পাখি এসে আমার গাছের পাতা খাওয়ার সময় টবের মাটি ফেলেছে। তাই বারান্দা ভালো করে পরিস্কার করলাম। আজকে রোদে বসে এখানেই আমরা দুপুরের খাবার খাবো। বারান্দায় দুপুরের পর অনেক রোদ আসে। আজকে দুপুরের রান্না করার সময় আমি হোম মিনিস্টার কে মাছ ভাজতে সাহায্য করলাম। দুপুরে গোসল করে আমরা খেতে বসলাম। আজকে বাগানের শাক সবজি-ডাল দিয়ে রান্না হয়েছে, সাথে শিম ভাজি,মাছ ভাজা ও সালাত।
![]() |
---|
আমরা দেশি জাতের মাছের থেকে সামুদ্রিক মাছ বেশি খেতে পছন্দ করি। যেমন আজকে ছিল সুরমা মাছ, এই মাছে আয়োডিনের উপস্থিতির পাশাপাশি এতে আছে ভিটামিন ডি, এবং এই মাছে ওমেগা থ্রি নামে উপাদান আছে যা এলার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে।
খাবার খেয়ে আমরা ঘুমিয়েছি ১ ঘন্টার মত। মেয়ের চোখে ঘুম নেই, সে আমাদের ডেকে ডেকে তুলে চিকেন ফ্রাই খাবার জিদ ধরলো। বাসায় মুরগী নাই, পরে বিকল্প হিসেবে মেয়ের মা ফুলকপি ফ্রাই করে দিলো। আমরা সবাই মিলে মজা করে খেলাম। যদিও মেয়ে বুঝতে পেরেছে এটা চিকেন নয়, তবে সস পেয়ে সে চিকেনের কথা ভুলে গিয়ে ফুলকপি ফ্রাই খেয়ে নিলো।
![]() |
---|
সন্ধেবেলা মেয়ে তার মায়ের সাথে রুটি বেলতে বসছে। খুব মনযোগ দিয়ে সে রুটি বানাচ্ছে। আমি রুটি গুলো হাফ সেকে দিলাম। এগুলো কালকে থেকে আমার সকালের নাস্তা। এক সপ্তাহের টা এক দিনেই বানানো হয়।
![]() |
---|
রাতে মেয়ে রুটি খেয়ে নিলো। আমি আমার মায়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলাম,মেয়েও ছুটে এসে ওর দাদিমার সাথে ভিডিও কলে কথা বললো। কথা শেষে আমরা নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ শেষে মেয়ে আজকে ৯ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লো। আমরাও রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। আর কম্বলের ভেতরে ঢুকে এখন ডায়েরি লিখে যাচ্ছি। আজকে পোস্ট করেই ঘুমিয়ে পড়বো, কেননা কালকে থেকে আবারো অফিস শুরু।
ছুটির দিনটা আপনার আনন্দের মাধ্যমেই কেটে গিয়েছে। মেয়ের সাথে অনেকটা সময় পার করতে পেরেছেন। আপনি না শুধু আমরা সবাই নিজেদের দেশের মাছের চাইতে। সামুদ্রিক মাছগুলো অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার মেয়েটি রুটি তৈরি করছে সত্যিই দারুণ লাগতেছে। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ছুটির দিন গুলি আসলেই অনেক সুন্দর। এভাবেই কাটাতে চাই জীবন। দোয়া করবেন।
গতকাল আমিও ভেবেছিলাম যে আজকে কোনমতেই নয় টার আগে বিছানা থেকে উঠবো না।
কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে ভোরবেলা ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। আর অনেক চেষ্টা করার পরও আর ঘুমাতে পারি নাই। যার কারনে মনটাই খারাপ হয়ে গেছিল এটা ভেবে যে, ছুটির দিনটাই নষ্ট হয়ে গেল।
আপনি ভালো নদীর ৩০ ফিট রাস্তায় গিয়েছিলেন। রাস্তাটা দেখে চোখ জুড়িয়ে গিয়েছে আমার। সম্ভব হলে একবার বেড়াতে যাব এখানে।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনাদের সবার জন্য।
৩০ ফিট এ এলে চেষ্টা করবেন বরষার সময় আসার। তখন এই জায়গা বেশি সুন্দর লাগে দেখতে।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্যে
ছুটির দিনটি আপনি অনেক ভালো ভাবে কাটাতে পেরেছেন। মেয়েকে নিয়ে খুব সুন্দর সময় কেটেছে আপনার।
আপনার মতো আমিও ছুটির দিনটাতে গাজরের স্যান্ডউইচ তৈরি করেছিলাম।
ভালো লাগল আপনার পোস্টটি পড়ে।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই, আমার পোস্টে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে
আজ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সকাল ৯ টার পরে উঠবেন আর ঠিক নয় টার পরে উঠেছেন। আর উঠে মেয়ের জন্য স্যান্ডউইচ বানিয়েছেন।। তারপর মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরতে গিয়েছিলেন।। আর আজ ভাবি বিকল্প ভাবে ফুলকপি ফ্রাই তৈরি করেছিল।।
যাইহোক ছুটির দিন আজ বেশ ভালই কেটেছে।।
জি ভাই ছুটির দিন গুলি সব সময়ই ভালো কাটে। ধন্যবাদ ভাই
ছুটির দিন মানেই ঈদের দিন খুব সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছেন আপনি মেয়ের সাথে বসে রোদে সময় কাটিয়েছেন।
এই চকো বিন চকলেট গুলো, আমার বেশ পছন্দ মাঝেমধ্যে মেয়েকে কিনে দিলে থেকে বেশি আমি খাই।
আমারো এগুলো দারুণ লাগে। তবে মেয়ের কাছে থেকে এখন চেয়ে চেয়ে নিতে হয়, যদি মন চায় সে দেয়, তখন খাই।
জন্য।বালু নদী ৩০ ফিট রাস্তায় মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন মোটামুটি ভালই কেটেছে আজকের দিনের বিকেলটা।
প্রতিদিনই বানাই। বাস্তবতা খুবই নিষ্ঠুর।
আপনার মা কে রুটি বানিয়ে খাওয়াতে পারলে আপনার হয়তো আর ও ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ আপু
মাকে মানুষ আজীবন ই মিস করে। মায়ের আসলে তুলনা হয় না কখনোই।
দাদাভাই আপনার মেয়ের প্রতিভা দেখে তো আমি পুরো অবাক। এই বয়স থেকে সে রুটি বানানো শিখছে। ছোট বাচ্চারা এমন কিছু করলে তুই ভালো লাগে।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যা, ভাই মেয়ে একটু আধটু সব কাজ শেখার চেষ্টা করে। অবশ্য এই বয়সেই এমন করবে, বড় হলে আর কাজ করতে চাইবেনা।