Better life with steem || The Diary Game || 24th May, 2024 ||
আজ শুক্রবার, পবিত্র জুমাদিন, সবাইকে জুমা মোবারক। মুসলমানদের জন্যে সপ্তাহের এই দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সেরা একটি দিন। আজকের এই দিনটি কিভাবে কাটালাম সেটি আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করবো।
![]() |
---|
সকাল সকাল মেয়ের ডাকে ঘুম ভাংলো। ঘড়িতে তখন ভোর ৫ টা। মেয়ের ঠান্ডা লাগছিল বলে কাথা চাইলো। গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম আবারো তার জ্বর এসেছে। সারারাত জ্বর ছিলনা। গিন্নিকে ঘুম থেকে তুলে দিলাম, মেয়ের মাথায় সে জলপট্টি করে দিল। এই সময় বাচ্চা বা বড় যে কারোরই জ্বর এলে সবার আগে ফ্যান ছেড়ে দিতে হবে, মাথায় জলপট্টি ও পাশাপাশি ভেজা কাপড় দিয়ে গা বার বার মুছে দিতে হবে। পাশাপাশি ওষুধ তো খেতেই হবে।
আমি ফজরের নামাজ পড়ে নিয়ে মেয়ের কাছে বসলাম, গিন্নি সেই ফাকে নামাজ পড়ে নিল। মেয়ে একটু আরাম পেয়ে আবার ঘুমিয়ে গেল।
৯ টার দিকে আমরা নাস্তা করে লাল চা খেলাম। এটাকে আসলে লাল চা না বলে মসলা চা বলাই ভালো। কেননা আদা, লং, তেজপাতা ও এলাচ দিয়ে এই চা বানানো হয়েছে। এই চা খাওয়া মানেই সকালটা রিফ্রেস হয়ে যায়।
![]() |
---|
চা খেয়ে বেলকনিতে গিয়ে দেখলাম নয়নতারার গাছে সুন্দর ফুল ফুটে আছে। গাছে পানি স্প্রে করে ফুলের ফটোগ্রাফি করলাম।
![]() |
---|
জুমার আজান দিলে নামাজের জন্যে মসজিদে চলে গেলাম। আজকে আর মেয়েকে সাথে নেয়া হলো না। সুস্থ থাকলে অবশ্যই সে আমার সাথে মসজিদে যাওয়ার জন্যে জিদ করতো। আজকে খুতবায় চোখের নজর সংযত রাখা বিষয়ে আলোচনা হলো। চোখের কু নজরের কারণে মানুষ আরো কত পাপাচারে লিপ্ত হয় তা সহীহ হাদীসের আলোকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন এবং এ থেকে রক্ষার জন্যে কি করণীয় সেটাও আলোচনা হলো।
নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে আনারস, লিচু আর আম কিনে নিলাম। আনারস জ্বর হলে খেতে হয়, পাশাপাশি লিচু এই সিজনে নতুন এসেছে, এখন ফলের মৌসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে, মধু মাসে আম, লিচু, কাঠাল প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। তবে, এখন আম, লিচু দুটির মূল্যই অনেক বেশি।
![]() | ![]() |
---|
![]() |
---|
Product | Qty | Price(BDT) | Price(SP) |
---|---|---|---|
Mango | 1kg | 100 TK | 2.05 |
Lichi | 50pcs | 200 TK | 4.10 |
Pineapple | 2pcs | 80 TK | 1.6 |
দুপুরে ভাত খেয়ে আম আর আনারস কেটে খেলাম। খাওয়া শেষে ঘুমাতে যাবো এমন সময় কারেন্ট চলে গেল। আজকে দুপুরের পর থেকে প্রচন্ড গরম ছিল। চার্জার ফ্যান চালিয়ে মেয়েকে নিয়ে বসে ছিলাম। মেয়ের জ্বর সকালের পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ আর আসে নি।
সন্ধ্যাবেলা বাসায় করোলা ভাজি, আলু ভর্তা আর ডাল রান্না হলো। গিন্নি রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আর আমরা তার পাশে বসে গল্প করছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
রাতে খাবার খেয়ে আরো একটা রিচারর্জেবল ফ্যান বানালাম। বড় ফ্যান মেয়ে আর মেয়ের মা দখলে রাখে। তাই আমার ভরসা এই রকম পিচ্চি দুইটা ফ্যান।
খাবার খেয়ে আইপিএল এর খেলা দেখতে বসলাম। তবে বেশিক্ষণ দেখতে পারলাম না, মেয়ে একটু পর কার্টুন দেখা শুরু করে দিল। আমিও নামাজ পড়ে লিখতে বসলাম। লিখা শেষ করে পোস্ট করে আজকের মত ঘুমিয়ে পড়বো।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ডায়েরি টি পড়ার জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
ভোর বেলায় মেয়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন যে মেয়ের আবারও জ্বর এসেছে। আপনার মেয়ের জ্বর হয়েছে এটা আগেই জেনেছিলাম। তখন ওর মাথায় জল পট্টি দিয়ে দিলেন। এই আবহাওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, আর ছেট বাচ্চাদের তো সহনশীল ক্ষমতা কম।
বেলকনিতে নয়নতারা ফুলগুলো দেখতে ভালো লাগছে। আপনার বেশ গাছপালার প্রতি আগ্রহ রয়েছে এটা আপনার পোস্ট পড়লেই বোঝা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
আসলে এই সময়টা খুব ক্লহারাপ যাচ্ছে, সবারই কম বেশি জর হচ্ছে, তবে আলহামদুলিল্লাহ মেয়ের জর এখন নেই, সে সুস্থ।
নয়নতারা ফুল আসলেও অনেক সুন্দর দেখতে, এই কারণেই আমি এই গাছটা রেখে দিয়েছি আমার বেলকনিতে।
আমি মুসলিম না হলেও শুক্রবার আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আমার জীবনে অনেকবার তা উপলব্ধি করতে পেরেছি। আপনার পোস্ট পড়ে আমি নিয়মিত শিখতে পারছি যে মেয়ের জ্বর হলে কি কি করতে হয়। এর জন্য আপনার আলাদা করে ধন্যবাদ প্রাপ্য। আজকে বাজারে গিয়ে লিচুর দাম শুনে আমি জাস্ট চমকে গেছি। কেনা আর সম্ভব হয়নি। দেখি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দু এক পিস আমার কপালে জোটে কিনা। সত্যিই সংসার জীবনে স্ত্রী আর মেয়ের জন্য যে কত কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয় সেটা শুধুমাত্র স্বামী আর বাবাই জানে।
হ্যা দাদা ভাই, বাচ্চারা ছোট বয়সে তেমন অসুস্থ হয় না, এদের বয়স এক বছর পার হলেই শুরু হয় নানা অসুখ বিসুখ। কোন রোগ হলে কি করনীয় তা সবার জানা উচিৎ, এতে করে অসুখ বিসুখের সময় অনেক উপকারে আসে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
ছোট বাচ্চাদের মসজিদে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত করা খুবই ভালো। জুম্মার দিন ছিল এজন্য অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও খুব সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করছেন। আজকের জুম্মার খুতবার বিষয়বস্তু ছিল চোখের নজর সঙ্গে তো রাখা আসলেই সোশ্যাল মিডার যোগ করার কারণে অনেকেই চোখের হেফাজত করতে পারে না।
চোখ দ্বারা অনেক গুনাহ হয়ে যায় আমাদের তাই অবশ্যই আমাদের চোখের গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই জুম্মার দিনের দিনলিপি খুব ভালো করে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবে।
হ্যা ভাই এখন চোখের হেফাজত করা অনেক কষ্টকর ব্যাপারে পরিণত হয়েছে, ফেসবুক রিলে এমন সব ভিডিও আপনি না চাইলেও চলে আসবে যে আপনার অজান্তেই পাপ করে ফেলবেন।
আমি চেষ্টা করি মেয়েকে নিয়ে মসজিদে যাবার তবে এই সপ্তাহে সে অসুস্থ হুয়ায় আর যাওয়া হয় নি।
শুক্রবারে দিনটা আমরা একটু অন্যভাবে উপভোগ করে থাকি। কেননা ঐদিন তো আমাদের জন্য সবচাইতে স্পেশাল একটা দিন। আপনিও খুব সুন্দর ভাবেই উপভোগ করেছেন। আসলে আপনার বাগানের নয়ন তারা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। বর্তমান সময়ে গরমের কারণে প্রত্যেকটা জায়গায় প্রত্যেকটা মানুষের জ্বর। তবে আপনি বেশ কিছু টিপস আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেগুলো অবশ্যই ফলো করার চেষ্টা করব।
আমাদের এখানে এক কেজি আম ১২০ টাকা আপনি তো কমেই পেয়ে গেছেন। কিছু ফল কিনে বাসায় চলে এসেছেন এবং এসে খুব মজা করে আম খেয়েছেন। আপনার তৈরি করা ফ্যান অনেক সুন্দর হয়েছে। অবশ্যই আপনাকে অনুরোধ করব, কিভাবে তৈরি করেছেন আমাদের সাথে টিউটোরিয়াল শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শুক্রবার আমাদের মুস্লিমদের জন্যে পবিত্র একটা দিন, এই দিনের তাৎপর্য ও অনেক।
এখন কার ঠান্ডা জরে কাথা মুড়ি দিয়ে না থেকে গা মুছে দিয়ে জর নামানো উত্তম, পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতিয় ফল বেশি খেতে হবে।
সকালবেলা ঘুম ভেঙ্গেছে আপনার মেয়ের ডাকে। বিগত পোস্টে অবগত হয়েছি আপনার মেয়ের জ্বর। জ্বর কিছুটা কমে গিয়েছে কিন্তু আবারো সকালবেলা জ্বর এসেছে।
ঘুম থেকে উঠে আপনার গিন্নি মেয়ের মাথায় জলপটি দিয়ে দিছে।
শুক্রবার দিন হলো আমাদের মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজের দিন। নামাজ শেষে বাসায় আসার পথে আনারস এবং লিচু নিয়ে এসেছেন।
হ্যাঁ আপনি একদম ঠিক বলেছেন জ্বরের সময় আনারস খেতে খুব ভালো লাগে।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আমার লেখাটি পড়ার জন্য। আসলে ছুটির দিন হওয়ায় এবার মেয়ের অসুস্থতায় কাছে থাকতে পেরেছি, সব সময় গিন্নিকেই সামলাতে হয়। আনারস খেলে মুখে জরের যে তিক্ত ভাবটা আসে তা কেটে যায়, এই কারণেই আমি এই ফল কিনেছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
এই আবহাওয়ার কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গরমের কারণে শরীরের ঘাম শরীরে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যাটা বেশী হচ্ছে। আশা করি আপনার মেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
শুক্রবার মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জুম্মার নামাজ আদায় করতে হয়।
আপনার ফ্যানও কিন্তু খারাপ না। একজনের জন্য ভালই বাতাস পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে দিনলিপি উপস্থাপনের জন্য।
মেয়ের হটাত অসুস্থতায় একটু ভয় পেয়েছিলাম, কেননা এখন ডেংগুর সিজন চলছে, ঢাকায় থাকা মানে এমন শংকা সব সময় মনের ভেতর কাজ করে, তবে ভালো খবর হচ্ছে মেয়ে এখন সুস্থ।
হ্যা, এই ফ্যানটা খুব ই কাজের । ৪-৫ ঘন্টা ব্যাক আপ পাচ্ছি। একজনের জন্য পারফেক্ট
বাচ্চারে আসলে বছর খানিক পর থেকেই এমন ভাবে অসুস্থ হতে শুরু করে আর এদের অসুখই হলো জ্বর, ঠান্ডা,পেটের সমস্যা। অবশ্য একটু বড় হলে এই অসুখের পরিমাণ কমে আসে।
আগে আমার দুই ছেলে পাল্লা দিয়ে অসুস্থ হতো।
একজনের জ্বর অসা মানেই আরেকজনের জ্বর আসা। দুই ছেলেকে এক সাথে পালতে যে আমার জান বেরিয়ে গেছে। আর এদের ব্যাংকার বাবা বলা যায় যে, রেডিমেড দুটো ছেলে পেয়েছে।
ঠিকই বলেছেন জ্বর হলে জল পট্টি বা মাথা ধোয়ার সাথে সাথে ফ্যান চালিয়ে শরীর মুছে দিলে জর দ্রুত নেমে আসে।
এই মসলা চা'টা কিন্তু আসলে ঠান্ডার জন্য খুব ভালো। আমি বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে পাতিল ভর্তি করে বানিয়ে রাখি,ওরা শুধু গরম করে করে খায়।
এ সপ্তাহে মেহেক মসজিদে না যেতে পারলেও আগামী সপ্তাহে ইনশাল্লাহ যাবে আপনার সাথে।
আপনি তো দেখি সব কাজেই এক্সপার্ট, কি সুন্দর করে একটু চার্জার ফ্যান বানিয়ে ফেলেছেন!
খেলা বাদ দিয়ে মেয়ের দিকে কার্টুন দেখতে দিতে একমাত্র শুধু বাবারাই পারে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আমার মেয়েই এক বছর অব্দি অনেক ভালো চিল, এর পর একবার ডায়রিয়া হলো, তার পর থেকে প্রতি দু মাস পর পর অসুস্থ হয়। ওর জন্যে সব ধরনের অষুধ আগেই কিনে রাখতে হয়।
মেয়ে ইনশাহ আল্লাহ আগামী শুক্রবার আবারো আমার সাথে নামাজে যাবে,
ধন্যবাদ আপু সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
আমারও কিছুদিন আগে জ্বর এসেছিল আমিও জলপট্টি ব্যবহার করেছি এতে করে যার অনেকটা কমে যায়।। শুনে খারাপ লাগলো আপনার মেয়ের আবারও জ্বর এসেছে।। মসজিদ থেকে আসার পথে আনারস ও লুচি নিয়েছেন।। লিচু আমার খেতে ভালোই লাগে।। দোয়া রইল আপনার মেয়ের জন্য খুব তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়।।
জর এর প্রধান ওষুধ গা স্পঞ্জ করে দেয়া এবং জল্পট্টি করে দেয়া, এটা খুব দ্রুত গায়ের তাপমাত্রা সাভাবিক করে দেয়। লিচুর দেশের মানুষ আমি, আমারো লিচু অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।