Better life with steem || The Diary Game || 23rd December ||
Hiii...
Friends
ছুটির দিন গুলিতে বরাবর সকাল টা দেরিতে শুরু হয়। মানে সকাল ঠিক মত শুরু হয় কিন্তু আমার ঘুম ভাংতে দেরি হয়। ঘুম থেকে ঊঠে সকালে নাস্তা সেড়ে মেয়েকে নিয়ে ছাদে চলে গেলাম। এখনো তেমন রোদ ঊঠে নাই। ছাদে গিয়ে দেখলাম কবুতরের কাচায় ২ জোড়া নতুন বাচ্চা ফুটেছে। কবুতর আমার ভীষণ প্রিয়। এই কবুতর গুলো দেখতে মাঝে মাঝেই ছাদে আসা হয়।
এদিকে আমার পিছু পিচগু আমার মেয়েও চলে এসেছে। সে এসে ছাদে খেলছিলো। থ্রি হুইলার নিয়ে এদিক থেকে ওদিক চালিয়ে বেড়াতে লাগলো।
আজকে দুপুরে হটাৎ মনে হলো বারো মিশালি শাক ভাজি রান্না করি। মানে আমার বাগানে যত রকমের সাক আছে সব মিলিয়ে শাক ভাজি রান্না করা। যেই ভাবা সেই কাজ চলে গেলাম বারান্দায়। সেখান থেকে পুইশাক,আলু শাক, পেয়াজ পাতা, রসুন পাতা, লাল শাক সব গুলো একটু একটু করে কেটে নিলাম। ছোট বারান্দায় টবে এগুলো আমি লাগিয়েছি। উদ্দেশ্য একদম কীটনাশক ছাড়া টাটকা শাক খাওয়া। যদিও পরিমাণে অনেক কম তার পরেও আমাদের তিন জনের এক বেলার হয়ে যাবে।
শীতের দিনে দুপুর শেষ হতে না হতেই যেন বিকেল চলে আসে। আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে বারান্দায় গিয়ে রোদ পোহাতে লাগলাম। শীতের মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মনে হয় যেন বেশি ঠান্ডা লাগে। আপনাদের কি হয় আমি জানিনা। তবে আমার খুব ঠান্ডা লাগে।
আমরা রোদ পোহাতে পোহাতেই মেয়ে আমার কোলে ঘুমিয়ে পড়লো। তাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আমিও এক ঘন্টার মতো ঘুমালাম। ঘুম থেকে ঊঠে আমি নটিফিকেশন চেক করছিলাম, এমন সময় আমার মেয়ে বাবল রেপিং নিয়ে আমার কাছে এলো। তার সাথে এখন এগুলো ফুটাতে হবে। এটাই তার খেলা।
এটা আসলেই অনেক মজার একটা খেলা। সেই ছোটবেলায় বাড়িয়ে কোন ইলেক্ট্রনিক জিনিস কিনে আনলে এই রেপিং গুলো পাওয়া যেত। তখন ভাই বোনেরা মিলে কাড়াকাড়ি করতাম। প্রতিযোগিতা হতো কে কত গুলো বল ফুটাতে পারি। আপ্নারা এমন খেলা খেলেছেন কি না, জানাবেন।
এদিকে বেটার হাফ আমাদের জন্যে দুধ চিতই বানাচ্ছে, আমি গিয়ে একটু মিষ্টি চেক করে দিলাম। পরে এই রেসিপিটা একদিন শেয়ার করবো।
পিঠা বানিয়ে আমরা ঘুমানোর প্রিপারেশন নিলাম। এদিকে আমি শুয়ে শুয়ে নটিফিকেশন গুলো চেক করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
ঠিক বলেছেন ভাই সময় দ্রুত হারিয়ে যায়। এই তো কিছুদিন আগে 2023 সালের জানুয়ারি মাস অতিক্রম করে এসে এখন ডিসেম্বরে পৌঁছেছি। আর কয়েকদিন পর আবার নতুন বছরে পদার্পণ করব। নিমিষেই সে বছরও কেটে যাবে আবার নতুন বছর আসবে।৷ এভাবেই সময় দ্রুত এগিয়ে যায়। সময়ের এগিয়ে যাওয়া রুখবার শক্তি আমাদের কারোর নেই।
আপনি যে কবুতর পোষেণ এইটা তো জানতাম না ভাই। আপনার এই পোস্ট না পড়লে হয়তোবা ব্যাপারটা আমার না জানায় থেকে যেত। আমিও আপনার মত কবুতর প্রেমি।
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। তবে কবুতর গুলো আমার নয়। বাড়িওয়ালার। আমার কবুতর গ্রামে আছে।
আজকের আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন একটি দিনের কার্যক্রম গুলো, আপনার মেয়ের মতো আমার চেলে ও ওমন গাড়ি চড়ে৷ বেড়ায়,, আপনার মেয়েটা মাশাল্লাহ, তার জন্য অসংখ্য। বারো মিশালি শাক ভাজি রান্না করা খুব বেশি স্বাদ লাগে ও পুষ্টি গুনাগুন থাকে দুধ চিতই পিঠা খেতে অনেক স্বাদ। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
বারো মিশালি শাক ভাজি অনেক মিজার হয়েছিল খেতে। আপনার জন্যেও শুভকামনা।
নিজের হাতে গাছ লাগিয়ে এবং সেই গাছ থেকে শাক তুলে খাওয়া মজাটাই আলাদা। কয়েক পদের শাক মিশিয়ে রান্না করে খাবেন । বারো মিশালি শাকবাজি খেতে খুব স্বাদ লাগে। শীতের দিনে চিতই পিঠা খেতে অনেক স্বাদ। তবে দুধে বেজানোর পরে চিতয় পিঠাগুলো আরও স্বাদ বেড়ে যাবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সারা দিনে কার্যক্রম গুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
অন্যরকম এক অনুভূতি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সম্ভব হয়ে আরী বেশি গাছ লাগাতাম
প্রিয় ভাই আপনি একজন সচেতন মানুষ এবং সচেতন বাবা। আপনার লিখা পড়লেই বোঝা যায়। আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করি।
ছুটির দিনটি আপনি বেশ দারুনভাবেই কাটিয়েছেন। সকালে কবুতরের সাথে সময় কাটানো কার না ভালো লাগে বলুন। এছাড়াও আপনার মেয়ের সাথে কাটানো মহূর্তগুলোও দারুণ ছিলো।
ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। আওনার জন্যেও জানাই শুভকামনা।
আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।আপনি আজকে আপনার বাগানের সকল শাক একসাথে করে রান্না করেছেন।আর নিজের বাগানের শাক রান্না করে খেতে কার না ভালো লাগে। আমাদের সাথে আপনার ছুটির দিনে আনন্দময় মুহূর্ত গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট পড়ার জন্য। খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট দেখে।
আমার কমেন্ট এর রিপ্লাই করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুনে অনেক ভালো লাগলো যে আমার কমেন্ট টি পেয়ে আপনি অনেক খুশি হয়েছেন। আমিও খুশি হবো এই রকম আরও উপকারী পোস্ট শেয়ার করলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
১২ রকমের শাক পাতা ভাজি করেছেন বিষয়টা খুব চমকপ্রদ লাগলো। আপনি আপনি বেশ যত্ন নিয়ে বারান্দায় গাছ লাগান। আর নিজের হাতে ফলানো শাক সবজির স্বাদই আলাদা। আর বাবল rap যদি আমি এখনো পাই এখনো বসে
বসে ফুটাই। এটা স্ট্রেস রিলিফ এর জন্য খুবই কার্যকরী। ছোটবেলায় এগুলো খুব বেশি পাওয়া যেত না তখন যদি কোন মতে একটা পেতাম ভাইয়ের সাথে মারামারি করে আমি নিয়ে নিতাম। আপনার লেখাটি পড়ে আমার সেই স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। আপনার দিনলিপি পড়লাম। ভালো লাগলো পড়ে।
বাবল গুলো মনে হয় সবারই প্রিয়। সবাই কম বেশি এটি ফুটাতে ভালো বাসে।
ধন্যবাদ আপু
এটা একদম অতি বাস্তব কথা ভাই ছুটির দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়ে যায় কারণ যারা কর্মজীবনে আছে তারা চিন্তা করে সারা সপ্তাহে একদিন ছুটি পেয়েছি আজ একটু সেই ভাবে ঘুম পড়বো আরামের ঘুম, ধন্যবাদ আপনাকে সারাদিনের কার্যক্রম গুলো সব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সকাল বেলা ঘুন থেকে ঊঠতে আসলেই মন চায় না। মনে হয় প্রতিদিন যদি ছুটি থাকতো।
আপনার দিনলিপিটি চমৎকার লাগল।সকালে ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে নিয়ে ছাদে গেলেন।সেখানে কিঋু াময় পার করে নিচে নামলেন।
নিজের বাগানের থেকে নানা রকম শাক কাটলেন।সেটা দিয়ে মিক্সড শাক রান্না করবেন আপনি।অল্প হলেও এটা একদম কোনো কীটনাশক সার ছাড়া। তাই এর পুষ্টিগুন অনেক।
দুধ চিতই তৈরি করেছে আপনার স্ত্রী। সব মিলিয়ে ভালোই কেটেছে দিনটা আপনার। ভালো থাকবেন।
শীতের পিঠাপুলি আসলেই অনেক খাওয়া হয়, তাই ছুটির দিনে কম বেশি বানানো হয়।
ধন্যবাদ দিনালিপি পড়ে মিন্তব্য করার জন্য
তাহলেতো আপনি অনেক ভাল আছেন ভাই। আমি এবছর এখন পর্যন্ত মাত্র একদিনই খেতে পেরেছি। একদিন আসব পিঠা খেতে আপনার বাসায়!!,
ধন্যবাদ আপনাকে।
কীটনাশক বা কোন রাসায়নিক সার ছাড়া সবজি শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীই নয়, এ্রর টেস্টও অসাধারণ হয়। মেয়েকে তো সময় দিতেই হবে বাবল র্যাপিং ফোটাতে, বাবা হওয়া কি মুখের কথা। আমি তো কয়েক বছর আগেও ফাটিয়েছি। আপনার স্ত্রী খুব লাকি, এরকম একজন মাস্টার শেফ হাসবেন্ড পেয়েছেন উনি।
সত্য কথা যে কীটনাশক ছাড়া সব্জির টেস্ট অন্য্রকম মজার হয়। ধন্যবাদ ভাই