Better life with steem || The Diary Game || 21st April|| Surviving the Summer Heatwave
বাহিরে চলছে ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসে এমন গরম সব শেষ কোন বছর দেখেছি মাথায় আসছে না আফাতোত। এই গরমে কিভাবে কাটলো সপ্তাহের প্রথম অফিসের দিনটি সেটি আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করবো।
🍁সকাল থেকে দুপুর🍁 |
---|
কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত গরমে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত হচ্ছে। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। সকাল বেলা বিছানায় নিজেকে ঘামে ভেজা অবস্থায় আবিস্কার করলাম, বুজতে পারলাম ইলেক্ট্রিসিটি চলে গিয়েছে। মেয়েকে চার্জার ফ্যানের নিচে শুইয়ে দিয়ে আমি ফ্লোরে শুয়ে পড়লাম।
আমরা মানুষরা নির্বিচারে প্রতিনিয়ত গাছ পালা উজাড় করছি, নগরায়ন করতে গিয়ে যে যার মত বন-জঙ্গল উজাড় করছি। কিন্তু প্রকৃতির উপর এমন নির্মম আচরণ কখনই সে ভালো ভাবে নিবে না, এরই ফলে সে মাঝে মাঝেই তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাতে এমন অসহ্য তাপদাহ বা মাঝে মাঝে অসময়ে বৃষ্টি বা ঝড় এর রূপে এসে আমাদেরকে সতর্ক করছে। কিন্তু আমরা থোরাই কেয়ার করছি এসব।
অনেকদিন আগে একটা জার্নালে পড়েছিলাম, উত্তর কোরিয়ায় কেউ যদি বাড়ি বানাতে চায়, তাহলে নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ গাছ আগে রোপন করতে হয়, এর পর সে বাড়ি বানানোর অনুমতি পায়। কিন্তু আমাদের দেশে? এদেশে রাস্তা বানানোর নামে গাছ কেটে রাস্তা হয়, ফ্লাইওভার হয়, আবার ফ্লাইওভারের গায়ে রঙ দিয়ে গাছ গাছালি,প্রকৃতির ছবি একে লেখা হয়, গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। এর থেকে বড় তামাশা আর কি হতে পারে আপনাদের জানা থাকলে জানাবেন?
এই রকম অবস্থায় গরম যে বাড়বে এটা স্বাভাবিক, এই গরমে সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে স্নান করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। গুলশান লেক পাড় দিয়ে হেটে যাবার সময় মনটা জুড়িয়ে যায় লেকের পাড়ের বাতাসে। এখানে অনেক গাছগাছালি, এই পথ দিয়ে হেটে গেলেই বোঝা যায় কেন গাছ আমাদের পরম বন্ধু।
অফিসে এসে নিজ কক্ষে এলেই মুহূর্তে গা ঠান্ডা হয়ে গেল। পুরো অফিস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যত খুশি এসি লাগানো যায়, কোন বাধ্যবাধকতা নেই, এই এসিগুলো আপনার ঘরকে যত দ্রুত ঠান্ডা করে মনে রাখবেন তার থেকে দিগুণ কম সময়ে অন্যের ঘরকে প্রতিনিয়ত গরম করে চলেছে।
এসি প্রতিনিয়ত সিএফসি গ্যাস নিঃসরণ করে, যা ওজোনস্তর ধ্বংস করাসহ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর এই কারণে অফিস পাড়ায় দেখবেন বাহিরের পরিবেশে বেশি গরম অনুভূত হয়
একি তো ঠান্ডা পরিবেশ তার উপর সকাল সকাল এক গ্লাস তরমুজের জ্যুস চলে এলো টেবিলে। হটাৎ করে চেনা অফিস অচেনা মনে হচ্ছে, যেখানে আমাদের নিজেদেরকে চা বানিয়ে খেতে হয় সেখানে জ্যুস তাও আবার টেবিলে, পরে অবশ্য জানতে পারলাম প্রচন্ড গরমের কারণে মালিকপক্ষ এবার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সাধুবাদ জানাই এমন মালিককে, যারা অন্তত তাদের কর্মচারীর সাস্থ্যের কথা মাথায় রাখেন। অবশ্যই এই গরমে যত পারা যায় আমাদের বেশি বেশি পানীয় পান করতে হবে।
দুপুর বেলা খাবার খেয়ে মসজিদে গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। রমজান মাসের পর থেকে আর জামাতে নামাজ পড়া হচ্ছে না।
বিকাল থেকে সন্ধ্যে |
---|
বিকেল বেলা অন্য দিনের মতই হাল্কা কিছু কাজ থাকে, সেগুলোই করছিলাম, হটাৎ দারাজ রাইডার ফোন দিল, আমার একটা ঘড়ি অর্ডার করা ছিল ঈদের আগে, সেটি আজকে ডেলিভারি করে গেল।
চায়না থেকে নিয়ে আসা এই স্মার্টওয়াচের মূল্য |
---|
Product | Qty | Price(BDT) | Price(SP) |
---|---|---|---|
স্মার্ট ওয়াচ | 1 pcs | 219 TK | 5.01 |
ডেলিভারি ফি | 65 TK | 1.49 |
ঘড়ি পেয়ে ভালো লাগলো। কম দামে মোটামুটি চলার মত, আরো ৩ টা অর্ডার করেছি, ইচ্ছে আছে বাড়ির ছোট ভাতিজা আর ভাগ্নে গুলোকে দিবো।
রাত |
---|
রাতে অফিস থেকে ফেরার পথে আমাকে যেতে হলো খিলক্ষেত। সেখানে আমার ছোট শ্যালককে রিসিভ করলাম, সে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছে। আসার সময় অনেক কিছু সাথে নিয়ে এসেছে, দেশি মুরগীর ডিম, সজনে, হলুদ, মরিচের গুড়া। তার মস্ত বড় ব্যাগ সহ তাকে নিয়ে কোন রকম বাসায় এলাম। এসে দেখি গিন্নি ফুচকা বানিয়েছে।
মেয়ে মানুষেরা ফুচকা খাবার বেলায় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেনা। এই গরমে ফুচকা মোটেও ভালো কিছু নয়। তাকে অনেক করে বোঝালাম, বোঝানো শেষে সে আমাকে একটা আর আমার শালাবাবুকে ১ টা ফুচকা বাড়িয়ে দিয়ে বাকি গুলো খেয়ে নিল। মনে মনে রাগ হলো, কাকে কি বুঝালাম এতক্ষণে?
রাতে আজকে ইলিশ রান্না হয়েছে। ইলিশ সব সময়ই আমার পছন্দের লিস্টের সবার উপরে। আমার মেয়েও ইলিশ পেলে আর কিছু চায় না। আমরা সবাই মিলে আয়েস করে রাতের খাবার খেলাম।
আজকের মতো আর লিখছি না, তবে শেষ করার আগে ছেলেদের উদ্দেশ্যে বলবো, এই গরমে যত কম পারা যায় রোদে যাবেন, গেলেও মাথায় ক্যাপ পড়ুন, বেশি বেশি পানি পান করুন, আর মেয়েদেরকে বলবো, অন্তত এই সময় ভাজা পোড়া, ঝাল থেকে দূরে থাকুন। সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন, নিজের খেয়াল রাখবেন। আর অবশ্যই নিজেদের মতামত জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.@sduttaskitchen thanks a lot mam
Your beautifully captures the challenges and routines of navigating through a scorching hot day. From the struggle with power outages to the thoughtful gesture of providing chilled drinks for employees your attention to detail paints a vivid picture of daily life in the heat. Your advice at the end encouraging everyone to stay hydrated and take care of themselves adds a caring touch to your story. Keep sharing these snippets of life they offer a glimpse into a world many may not experience firsthand.
ভাই আপনার দিনলিপিটি পড়ে কিছু বিষয় জেনে অনেক ভালো লাগলো। আমরা নিজেরাই আজকের এই গরমের জন্য দায়ী। কেননা নির্বিচারে বন উজার, গাছ কাটা এসব সত্যি বোকামি। প্রকৃতি থেকে গাছ ধ্বংস করলে প্রকৃতিও তার প্রতিশোধ নেবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে আমরা যে বিবেকহীন তার অন্যতম প্রমান হলো গাছ কেটে রাস্তা বানিয়ে রাস্তার উপরে লিখি গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই।
যাইহোক ভাই, গ্রীষ্মের এই গরমে আপনি ও আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকুক সেই কামনা করছি। ভালো থাকবেন।
এই গরমে মানুষের পাগল হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। আজকে মনে হচ্ছে আরো বেশিই গরম পড়েছে। তারপরও তো ভালো আপনাদের অফিসে তরমুজের শরবত খাওয়াচ্ছে। এটার জন্য অফিস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
আমরা বাড়ি বানানোর সময় কেউ এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বো না ,পারলে রাস্তার উপর যেয়ে বাড়ি বানাই। তাহলে গাছ লাগাবোটা কোথায়?
এখন গরম পরছে তাই গাছ লাগাতে হবে বলতেছি কিন্তু গরমটা একবার কমুক এই কথা আমরা বেমালুম ভুলে যাবো।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় ,এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তাতেই আমাদের যাওয়া অবস্থা তাহলে শহরের অবস্থা ধারণার বাইরে। গরমের মাঝে বিদ্যুতের কথা তো নেই বললেই চলে। দেখা যায় এক ঘন্টা বিদ্যুৎ দিলে আর দুই ঘন্টা বন্ধ করে রাখে।
এত ব্যস্ততার মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।