Better life with steem || The Diary Game || 21 January
২১ জানুয়ারি,২০২৪- রবিবার। অফিশিয়াল সপ্তাহের প্রথম দিন। রবিবার মানেই আমার সকাল টা অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটবে এটাই যেন নিয়ম। শুক্র-শনি ছুটির পর রবিবার এর সকাল টা শুরু হয় তাড়াহুড়ায়। ঘুম থেকে ঊঠে কোন রকম রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে আমার দিনটি শুরু হলো।
অন্যান্য দিনের তুলনায় রবিবার খুব তারাতারি রোদ ঊঠেছে। তাই ঠান্ডার ভাবটাও একটু কম মনে হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমার যাতায়াতের রাস্তাটায় খুব একটা জ্যাম পড়তো না। ডিসেম্বর মাসজুড়ে স্কুল বন্ধ থাকায় খুব আরামে অফিস করতাম। কিন্তু এখন সব স্কুল খুলে যাওয়ায় অনেক জ্যাম পড়ে রাস্তায়। বিশেষ করে স্যার ঊইলসন স্কুলের সামনে লম্বা গাড়ীর সাড়ি জ্যাম ঠেলে অফিসে ৯ টা বাজার ২ মিনিট আগে গিয়ে পাঞ্চ করলাম।
বাসা থেকে আজকে নাস্তা করে আসি নি। তবে কলা আর কেক নিয়ে এসেছিলাম। সেগুলো দিয়ে নাস্তা সাড়লাম। এক মগ চা নিয়ে কাজ শুরু করলাম। ১০ টার আগেই কাজ গুছিয়ে নিতে হবে, কেননা ব্যাংক খুল্লেই আমাকে ব্যাংকে যেতে হবে।
১১ টার দিক ব্যাংকে চলে গেলাম। ব্যাংকে তেমন একটা ভীড় ছিল না। খুব তারাতারি আজকে আমার কাজ হয়ে গেলো।
ব্যাংক থেকে ফিরে এসে গত সপ্তাহের কিছু বিল ভাউচার চেক করে এন্ট্রি করলাম। জোহরের আজান হয়ে গেলে মসজিদে নামাজ পড়ে নিলাম। এর পর লাঞ্চ করতে গিয়ে লম্বা সিরিয়ালে পড়লাম। যাহোক সিরিয়াল এ দাঁড়িয়ে লাঞ্চ নিয়ে লাঞ্চ সেড়ে এসে রেস্ট নিয়ে আবারো কাজ শুরু। আগেই বলেছিলাম রবিবারের দিন কেমনে কেটে যায় টের ই পাই না।
অফিস শেষ করে বাসায় চলে গেলাম। বাসায় ঢুকেই মেয়েকে দেখলাম তার নতুন খেলনা নিয়ে খুব খুশি। কিন্তু যাওয়ার সাথে সাথেই আমাকে অভিযোগ দিলো। পাশের বাসার ওর খেলার সাথী ফারিহা নাকি আজকে ওকে সাবান খাইয়ে দিয়েছে। মানে, আমার মেয়ে ওকে খেলনা দেয় নি, সেই রাগে সে আমার মেয়েকে বোকা বানিয়ে বলেছে এই নেও এটা কেক, খাও। আর আমার মেয়েও অবুঝ মেয়ের মতো কেক ভেবে সাবান খেয়ে বমি করে কান্নাকাটি। ছোট বাচ্চাদের একটু চোখের আড়াল করলেই কখন যে কি বিপদ ঘটাবে কল্পনাও করতে পারবেন না।
রাতে আমরা তিনজন মিলে খেতে বসলাম। মেয়ে খাবার সময় যত রকমের দুষ্টুমি সব করে। তবে ডাল ভাত পেলে সে চুপ করে খেয়ে নেয়। আজকে সবজি, মাংস আর ডাল রান্না হয়েছে। মেয়ে চুপচাপ একাই খেয়ে নিল।
রাতের খাবার খেয়ে মেয়েকে দেখলাম তার বাইক কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখছে। জিগেস করলাম কি করছো? সে উত্তরে বল্লো তুমি তোমার হুন্ডা যেভাবে ঢেকে রাখো, আমিও রাখছি, নাহয় ময়লা হয়ে যাবে। এই বলে সে সুন্দর করে তার খেলনা গাড়ি ঢেকে রাখলো।
এই গাড়িটা পাওয়ার অনেক দিনের শখ ছিল। ইচ্ছে ছিল মাসের শুরুতে কিনে দেবার। কিন্তু পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পাওয়ায় তখন কিনে দেই নি।
মেয়ে এখন সারাক্ষণ ই এইটা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে কিছুদিন। আমরা খাওয়া শেষে ঘুমের প্রিপারেশন নিতে থাকলাম। আজকে আমার মশারি টানানোর দিন। মশারি টানানোর এই এনালগ সিস্টেম টা কবে যে ডিজিটাল হবে? মশারি টানিয়ে শুয়ে শুয়ে মেয়েকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। প্রতিদিন মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে গিয়ে আমি নিজেই আগে ঘুমিয়ে পড়ি।
এভাবেই আমার আরো একটা দিনের সমাপ্তি হলো। আবারো নতুন দিন নতুন ভাবে শুরু হবে। এই তো এভাবেই চলছে জীবন।
লাগে। আপনাদের পোস্টটি পড়েছি মেয়ের জন্য গাড়ি কিনেছেন। ও তো ঠিকই বলেছে আপনি যদি হুন্ডা ঢেকে রাখতে পারেন ,ও কেন ওর দাড়ি ঢেকে রাখবে না।
জন্য।
মেয়েকে দূরে কোথায় আর সরিয়ে রাখবো। একি তো ঢাকায় খেলার সাথী নেই, তার উপর তার থেকেও দূরে রাখলে মেয়ে আরো একা হয়ে যাবে। এখন চোখে চোখে রেখে যতটুক করা যায়।
দোয়া করবেন আপু। আপ্নিও অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর এবং ব্যস্তময় একটি দিন দেখেছি আপনার। পড়ার মাঝে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। সকাল থেকে দুপুর অবদি বেশ জার্নির মাঝে গিয়েছে আপনার সময়টুকু।
আর আপনার মেয়ে তো মাশআল্লাহ বেশ সুন্দরী, এবং অনেক কিউট, শুধু আপনার বাইকে কি ঢাকবেন! হঠাৎ ঢাকা পর্যন্ত কি আর করার যেটা আপনারা বুঝেন না সেটা মামনি তাই বুঝে নিলো।
সুন্দর একটা কথা মশারি টানানো শেষ দিন। এটা যে খুব বিরক্ত কাজ, কি আর করার দোয়া করছি যেন ডিজিটাল হয়ে যায়। 😃
ধন্যবাদ আপু আমার লেখা পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। দেশ ডিজিটাল হলেও মশারি টা এখনো হাতেই টানাতে হচ্ছে ভেবে খুব খারাপ লাগে।
Twitter promotional link
https://twitter.com/Mukit_Salafi/status/1749313039231553958?t=3MclYB91jS776M9J-7R5Qg&s=19
জ্যাম বাড়ার একটা বড় কারন হলো স্কুল খোলা। ধানমন্ডির অবস্থাতো আরো খারাপ।কি যে একটা বিরক্তিকর অবস্থা চলে সকাল ৭.৩০ থেকে আড়াইটা /তিনটা। আর যেদিন কপাল খারাপ থাকে সেদিন চারটাও বেজে যায়। আবার একটু পরেই শুরু হয়ে যায় কোচিং যায়।
অথচ স্কুল বাস চালু করলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয় যায়।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
স্কুল বন্ধ থাকলে বা হরতাল চললে অফিস করে মজা পাই। যাই হোক ঢাকায় থাকলে জ্যামকে সাথে নিয়েই চলতে হবে, কিছু করার নেই।
ধন্যবাদ আপু
আপনারা দুজন মনে হয় অদল বদল করে মশারি টানান। যদি তাই হয় তাহলে ব্যাপারটি বেশ মজার। এভাবেও যে মশারি টানানো যায় এটা আমি আজকে জানলাম। আসলে সংসারে মশারি টানানো এই দায়িত্বটা কার ভাগে পড়বে এটা একটি বড় ব্যাপার। তবে আপনার সারা দিনের ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম। আপনার মেয়ের শিশুসুলভ কথা খুব ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চারা নিষ্পাপ হয় তাই ওরা এমন কথা বলতে পারে। তবে ওর দিকে খেয়াল রাখবেন যেকোনো সময় যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।কারণ ও এখনো ছোট। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যা আপু মশারি টা আমরা পালা করে টানাই। এই ধরেন আমি দুদিন তো সে দু দিন।
মেয়েকে সব সময় চোখে চোখে রাখার চেষ্টা করি৷ কিন্তু এর পরেও অঘটন ঘটে যায়। দোয়া করবেন।
একেক সময় দেখা যায় ব্যাংকে গেলে অনেক সময় লাগে। যদি সেখানে ভিড় থাকে, কিন্তু আজকে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকের কাজ সেরে চলে এসেছেন। আসলে ছোট মানুষ যেটা দেখে সেটা থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করে। আপনার মেয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।
আপনি বাইক ঢেকে রাখেন যাতে ধুলা না পড়ে, সেজন্য ও ওর গাড়িটাকে সুন্দরভাবে ঢেকে রেখে দিয়েছে। যাতে করে ধুলাবালি ওর গাড়িতে প্রবেশ করতে না পারে। একদম বুদ্ধিমানের কাজ করেছে। মেয়েটার দিকে একটু খেয়াল রাখবেন, প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা।ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু। বেবির জন্যে দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন।
সকাল থেকে দুপুর অব্দি পর্যন্ত বেশ ব্যস্ততার ভিতরে আসিলেন। তবে বাচ্চারা খেলনা নতুন কিছু পেলে ওই জিনিসটা নিয়ে কয়েকদিন তারা খুব খুশিতে থাকে। আপনার মেয়ে মাশাল্লাহ দেখতে যেরকম কিউট তেমনি আবার খুব বুদ্ধিমতি একটা মেয়ে। আপনার মেয়ে জানে আপনার বাইক কিসের জন্য ঢেকে রাখেন। এজন্য ট্রাই সাইকেল ঢেকে রেখেছে যাতে কোন ময়লা না পড়ে।
ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পরে থ্যাংক ইউ।
ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর মতামত প্রদানের জন্যে।
প্রিয় ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার দিনলিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। শুক্র শনি ছুটি কাটিয়ে রবিবার সত্যি বেশ চ্যলেঞ্জিং একটি দিন হয়। সব কিছুই সময়ের মধ্যে করতে হয়। আমার মতে রবিবার আর বৃহস্পতিবার সবথেকে ব্যস্তময় দিন থাকে।
সবমিলিয়ে দিনটি দারুণভাবে কাটিয়েছেন। আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করি। ভালো থাকবেন ভাই।
হ্যা প্রপথপম আর শেষ দিনে ব্যাস্ততা অন্য দিনের তুলনায় বেশি থাকে।
ভালো থাকবেন ভাই
প্রতিদিনের মত আজকেও অফিসে চলে যান আর অফিসের কাজকর্ম গুলো অনেক গুরুত্ব সহকারে করতে থাকেন ৷ তারপর রাতে এসে তিনজন মিলে রাতের খাবার খেয়ে মশারি টানার দিন ছিল আজকে মশারি টানিয়ে আপনার মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে থাকেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
আপ্নাকেও ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর মন্তব্য করবার জন্যে। আপনার জন্যে শুভকামনা