Better life with steem || The Diary Game || 18th March
পবিত্র রমজান মাস চলছে। রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে সেহরির সময় আবার ঊঠতে একটু কষ্ট লাগে। তবে তা বেশি না। কিন্তু সেহরি করে আবার একটু পরেই ঊঠে অফিসে যাবার কষ্ট বলে বুঝানো যাবে না। রমজান মাস অফিসে যাবার সময় অনেক বেশি কষ্ট হয়।
টানা তিনদিনের ছুটির পর অফিসে গিয়েই অনেক গুলো ব্যাংকের কাজ পড়ে গেল। প্রথমে আমি গেলাম ইবিএল গুলশান ব্রাঞ্চ এ। সেখানে গিয়ে দেখি লম্বা লাইন। টানা তিনদিনের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় আজকে এই অবস্থা।
একটা টোকেন ধরিয়ে দিয়ে বসতে বললো। কি আর করার, বসে বসে মোবাইল ব্রাউজিং, গেইম খেলে সময় পার করলাম। প্রায় ১ ঘন্টা পর আমার টোকেন কল করা হলো। কাজ দ্রুত শেষ করে অফিসে আসবো, কিন্তু জ্যামে পুরা রাস্তা প্যাকড। জ্যাম ঠেলে অফিসে এসে এমডি স্যার এর ডাক পড়লো। উনি আবারো স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, গুলশান-শাখায় পাঠালেন। কি আর করার আবারো জ্যাম ঠেলে ব্যাংকে গিয়ে কাজ সেড়ে অফিসে আসতে আস্তে আড়াইটার বেশি বেজে গেল।
গুলশান-২ এর আজাদ মসজিদ থেকে ওয়েস্টিন হোটেল হয়ে গুলশান ২ চত্ত্বর অব্দি প্রায় আধাভঘন্টার জ্যাম। অথচো ২ মিনিটের রাস্তা। ঢাকা শহরে কত ঘন্টা যে জ্যাম খেয়ে নেয় তার হিসেব নেই।
অফিসে এসে জোহরের নামাজ পড়ে, হাল্কা কিছু কাজ করতে না করতেই ৪ টা বেজে গেল। বলতে গেলে আজকের দিনে আমার ডেস্কের কাজ করাই হলো না।
চারটার সময় যেহেতু ছুটি, তাই আমি আসরের নামাজ ৪ টার সময় অফিসের মসজিদে পড়ে বের হলাম। অবশ্য তখনো আজান হয় নি, কিন্তু ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে। বাসায় যেতে যেতে কতক্ষণ লাগবে তার ঠিক নেই।
বাসায় ফেরার পথে প্রতিদিন কিছু কেনাকাটা থাকেই। আজকেও গিন্নী মেসেঞ্জারে একটা লিস্ট পাঠিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমি লেবু, শশা, পেয়ারা, ডালিম, কলা কিনলাম।
এর পর ফার্মেসি থেকে মায়ের ওষুধ নিলাম। পাশেই দেখলাম স্ট্রবেরি বিক্রি হচ্ছে। অল্প পরিমাণে কিনে নিলাম। এর পর জ্যুস, মুড়ি, চাল কুমড়ো ও পুদিনা পাতা কিনে নিলাম। আমার মা আবার এই পুদিনা পাতার শরবতের বড় ভক্ত।
আমি বরাবরই কেনাকাটা করার পর তার বাজারদর আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজকেও এর ব্যতিক্রম হবেনা। চলুন আজকের কেনা বাজারের দর সম্পর্কে আপনাদের আইডিয়া দেই।
Product | Qty | Price(BDT) | Price(SP) |
---|---|---|---|
লেবু | ২ হালি | 50 TK | 1.17 |
পেয়ারা | ১ কেজি | 70 Tk | 1.64 |
শশা | ১কেজি | 60 Tk | 1.41 |
কাচা কলা | ১ হালি | 40 Tk | .94 |
পাকা কলা | ২ হালি | 60 Tk | 1.41 |
চাল কুমড়া | ১ টি | 60 Tk | 1.41 |
স্ট্রবেরি | ২৫০ গ্রাম | 70 Tk | 1.64 |
মুড়ি | ১ প্যাকেট | 80 Tk | 1.88 |
ওষুধ(লিনো) | ১ পাতা | 140 Tk | 3.29 |
পুদিনা পাতা | ১ আটি | 10 Tk | .23 |
জ্যুস | ২ প্যাকেট | 70Tk | 1.64 |
Total | 710 Tk | 16.87 |
বাসায় গিয়ে দেখি গিন্নি ইফতারি বানাচ্ছে। আমি ফ্রেশ হয়ে পেয়াজু আর বেগুনি গুলো ভেজে দিলাম, আর সে ফ্রুট সালাতের জন্যে সব ফল গুলো সুন্দর করে কেটে নিল।
ইফতারিতে ভাজাপোড়া কম খেলেও শশা, কলা আর যেকোন ফল খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। পাশাপাশি প্রতিদিন ই শরবত তো খেতেই হয়। আজকে চিনি ছাড়া শরবত খেয়ে দেখেছি, একদম ই বাজে লাগে, কিভাবে যে আমার মা এক যুগ ধরে খেয়ে আসছে। যদিও আমারো ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা খুব ই বেশি, কারণ এটি বংশগত। আল্লাহ জানে ভবিষ্যৎ এ এমন চিনি ছাড়া শরবত খেয়েই ইফতারি করতে হবে কি না।
ইফতারের পর নামাজ পড়ে চা নিয়ে আমরা সবাই ছাদে চলে গেলাম। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিন হাটতে হয়। যেহেতু ঢাকায় হাটার তেমন জায়গা নাই,তাই এই ছাদেই যতটুকু হাটা যায়। রাতের বেলা ঢাকা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। চারিদিকে শুধু আলো আর আলো।
অনেক্ষণ ছাদে কাটিয়ে বাসায় এসে নামাজ পড়ে আমরা রাতের খাবার খেয়ে তারাতারি ঘুমিয়ে পড়লাম। কেননা একটু পরই আবার সেহরিতে ঊঠতে হবে। এভাবেই আরো একটি দিন পেরিয়ে গেল।
সেহরির সময় উঠাটা আসলেই কস্টকর। আমাকেতো ডাকতে ডাকতে অস্থির হয়ে যায় সবাই। বলা যায় বেশিরভাগ সময় আমিই সবার লেটে উঠি।যদিও ইদানীং অবস্থাটা পাল্টে গেছে কদিন যাবত।
সেহরির পরে অফিস এর জন্য উঠাটা যে কস্টের এটা আমার হাসবেন্ডকে দেখেই বুঝতে পারছি। সব চাকুরীজীবিরই একই অবস্থা। কেউ খালি হাতে বাসায় ফিরতে পারে না।
আপনার মাকে স্টেভিয়া দিতে পারেন। একধরনের গাছ এর পাতা। এক চিমটি দিলেই নাকি এক কাপ চা হয়ে যায় । ডায়াবেটিস এর জন্যও নাকি ভালো। অনলাইনে বিক্রি হয় আর দামও কমই বলা যায়। খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
সেহরির সময় এই কারণেই ৪ টা এলারম দেই। একটা বাজতে বাজতে আরেকটা আসে, এর পর এক সময় ঘুম ভাংগে।
স্টেভিয়ার নাম আমি আজকে প্রথম শুনলাম। এখনই নেট ঘেটে দেখবো এটা কি। ধন্যবাদ সুন্দর সাজেশন দেবার জন্যে।
এটা একদম সঠিক রাতে খেয়ে ঘুমানোর পর সেহরিতে ওঠা বেশ কষ্টকর।। কয়েকদিন ছুটি কাটানোর পর অফিসে যেয়ে বেশ কাজের চাপে পড়েছেন।। এছাড়াও আজ বাসায় ফেরার পথে বেশ বাজার করেছেন।। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো থাকবেন।।
প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও এখিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, এখন এম্নিতেই ৭ টা বাজলে ঘুম ভেংগে যায়। অফিসে ইদানীং খুব প্রেসার চলছে, ঠিকঠাক মিতো স্টিমিটে ঢুকতেও পারছিনা।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
এতদিন অফিস বন্ধ থাকলে অনেক পরিমানে কাজ জমে যাবে, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তারপরে অনেকটা সময় ব্যয় করে আপনি আপনার কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন। আসলে প্রতিনিয়ত বাজারের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা দেখে অনেক বেশি অবাক লাগছে। চিনি ছাড়া শরবত খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। যেটা আমার কাছেও মনে হয়, তার পরেও খেতে হয়, কারণ ডাক্তার চিনি খাওয়ার জন্য বারণ করে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে, একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য, ভালো থাকবেন।
হ্যা, অনেক ব্যাস্তিতার মধ্যে দিন পার করছি, তাই সেভাবে আপনাদের সাথে কথাও হচ্ছে না।
বাজারের কথা আর কি বলবো, রোযা রলে অন্যদেশে দাম কমে আর আমাদের দেশে দাম দিগুন হয়।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্যে
ঢাকা শহরের রাস্তার জ্যাম বলে বোঝানোর মত নয় যা বলার বাইরে। প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে অফিসে গিয়েছেন। সেখান থেকে ব্যাংকে গিয়েছেন তবে তিন দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পরে একটু ভিড় ছিল বেশি। আবারো অফিসে গিয়ে আবার অন্য ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। বলতে গেলে সারাদিন খুব ব্যস্ততার মাঝেই পার করেছেন।
আসলেই ভাই, রমজান এলেই অলিতে গলিতে জ্যাম শুরু হয়, আর সেই জ্যাম বড় রাস্তা অব্দি চলে। সাপ্তাহিক ছুটির পর প্রথম দিনে সব সময় ব্যাংক গুলোতে উপচে ভরা ভীড় লেগে থাকে। তাই একটু এমন ভীড় ছিল। ধন্যবাদ ভাই।