Better life with steem || The Diary Game || 16th February
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUcU7njGGSUMvpBv15DPX8p2zkm261c6PKuNkgrRDw4ww/20240216_145157.jpg)
১৬ ফেব্রুয়ারী,২০২৪- শুক্রবার। সবাইকে জুমা মোবারক। অন্যন্য দিনের মতই শুক্রবার দিনটা শুরু করলাম খুব ভোরে ঊঠে ফজরের সালাত আদায় এর মধ্য দিয়ে। নামাজ পড়ে দেখছি বাহিরে কাকের কা কা ডাক শুরু হয়ে গেয়েছে। এই সময় সকালে কাক এর কা কা, দুপুরে কোকিল কুহু কু হু আর বিকেলে চড়ুই এর কিচিরমিচির শুনতে পাওয়া যায়। আমার বাসার পাশেই বড়সড় একটা তেতুল গাছ আছে, সেখানেই এই পাখি গুলো মনে হয় একসাথে বসবাস করে। বলতে পারেন পাখিদের ফ্ল্যাট।
আজকে সকালে আর ঘুম এলো না। কি আর করার মোবাইল হাতে নিয়ে কমিউনিটির পোস্ট গুলো পড়তে থাকলাম। দুদিন ভালো মতো কমেন্ট করতে পারি নি, তাই ভাব্লাম কিছু কমেন্ট করে আসি। শুক্রবার এলেই মনে হয় এনগেজমেন্ট রিপোর্ট এ নামটা যদি প্রথম ৫ এর ভেতর না থাকে কেমন যেন হবে।
একটানা প্রায় ১ ঘন্টা পোস্ট পড়ে কমেন্ট করলাম। পাশাপাশি স্যোসাল মিডিয়া ব্রাউজ করতে থাকলাম।
সকাল ৮ টার দিকে গিন্নি ঊঠলো। ঊঠে মোবাইল ব্রাউজ করা দেখে কতক্ষণ মটিভেশনাল স্পিকারের মত বলতে লাগলো, মোবাইল না টিপে ঘুমানো যেত, অন্য দিন তো ঘুমে চোখে দেখো না, পড়লেই পারতা সামনে এক্সাম ইত্যাদি....
পরে আমার জন্যে নাস্তা বানিয়ে নিয়ে এল। আজকে সকালের নাস্তায় পরাটা, আলু ভাজি আর মিষ্টি খুব তৃপ্তি নিয়ে খেলাম।
খাওয়া শেষে এখন কাজ আর কাজ।আগামী সপ্তাহে গ্রামে যাবো, তাই ব্যাগ গুছাতে হবে। পাশাপাশি অনেক গুলো পুরাতন কাপড় আছে যেগুলো নিয়ে যেতে হবে। গ্রামে অনেক মানুষ আছে যারা এসব কাপড় পেলে খুশি হয়। মাঝে মাঝে নিজে কেমন আছি তা নিয়ে কোন অভিযোগ হয় না, ভাবি অনেক অনেক ভালো রেখেছেন সৃষ্টিকর্তা। এই পুরাতন কাপড় গুলো বস্তায় ছিল, বেশির ভাগই নতুনের মতন, মেয়ের গুলো ছোট হয়ে গিয়েছে, বস্তা থেকে বের করে ভালো গুলো যাচাই করে একটা ব্যাগে ভরলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
এই কাপড় গুলো যাবার সময় নিয়ে যাবো। সাধ্য থাকলে নতুন জামা কিনে দিতাম। যদিও ঈদের সময় কয়েকজনকে কিনে দেই। আশেপাশে অনেক মানুষ আছে যারা আমাদের এরকম অপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো পেলে খুশি হয়, ফেলে না দিয়ে সেগুলো তাদের কাছে পৌছানো বেশি ভালো। আমি এগুলো নিয়ে কাউকেই ডেকে দেই না, যাদের যা লাগে এসে বেছে বেছে নিয়ে যাবে।
এদিকে মেয়ে কালকে থেকে কেক খাবে বলে বাহনা ধরেছে। গিন্নি তার অদক্ষ হাতে কেক বানিয়ে দিলো। আমি সেটিকে ডেকোরেট করলাম। দেখতে ও খেতে আগের গুলোর থেকে ভালো হয়েছে।
১২ টার পর জুমার নামাজের জন্যে আমরা বের হয়ে গেলাম। আজকে মেয়ে তার মায়ের সাথে গেল,অন্যদিন আমার সাথে থাকে। আমাদের এই মসজিদে ১ম ও ২য় তলায় ছেলেদের জন্যে, আর ৩য় তলায় মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা করা আছে।
![]() | ![]() |
---|
নামাজ শেষে বাসায় এসে দুপুরের খাবার সেড়ে নিলাম। দুপুরে খাওয়া শেষে আমরা পেয়ারা মাখা বানালাম। অনেকদিন পর তেতুল আর আমের আচার দিয়ে পেয়ারা মাখা খেলাম।
![]() |
---|
বাসার নিচে ফুটবল খেলা হচ্ছিল। আমি জানালা দিয়েই মাঠে খেলা দেখলাম। অনেক মানুষ জড় হয়েছে এই খেলা দেখার জন্য। বড়সড় ফুটবল টুর্নামেন্ট।
রাতের বেলা আজকে তেমন কোন কাজ নেই। মোবাইল ব্রাউজ করা আর খেলা দেখেই সময় পার হয়ে গেল। এর মাঝে আমি এই পোস্ট লিখে ফেললাম। পোস্ট লেখা শেষ করে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো।
ছুটির দিন মানেই হচ্ছে অন্যরকম ভাবে সকালটা শুরু হওয়া। আসলে এখন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে কোকিলের কুহু কুহু ডাক শুনতে পাওয়া যায়। তবে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে জানতে পারলাম। আপনি বেশ ভালো একটা কাজ করেছেন আজকে, ঈদের সময়ও করে থাকেন।
একদমই ঠিক বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ফেলে না দিয়ে। তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া একটা মানবিকতার পর্যায়ে পড়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কাজ করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য জানানোর জন্য। আসলে কোন কিছু ফেলে দেয়ার থেকে তার চূড়ান্ত ব্যবহারকারীর নিকট পৌছাতে পারলে ভালো। আমার যেটা লাগছেনা তা অন্যের কাজে লাগতে পারে।
খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টে পড়ে।। বিশেষ করে যে কাপড়-চোপড় গুলো ছিল সেগুলো অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া এটি অনেক মহৎ একটি কাজ।। আমরা চাইলে অনেক নতুন জামা কিনতে পারি কিন্তু অনেকে রয়েছে তারা চাইলেও কোন জামা কাপড় কিনতে পারে না। তাই তাদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত ।।
এক দম ই তাই। গ্রামের অনেকের সামর্থ্য নেই নতুন কাপড় কেনার। আমরা যদি কষ্ট করে পুরাতন কাপড় গুলো গ্রামে নিয়ে যাই তাহলে অনেকের উপকার হয়।
ধন্যবাদ ভাই
আমি নিজেও অনেক মানুষকে পুরানো কাপড় গুলো দেই তারা অনেক খুশি হয় সেগুলো পেয়ে।।
অদক্ষ হাত কেন বলছেন কেক টা দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে আমার মনে হয় খেতেও সুস্বাদু হয়েছে।
অদক্ষ হাত এই কারণেই বলছি যে সে প্রথম বানাচ্ছে। এখনো ভালো মতো বানাতে পারে না। কেকের উপর ক্রিম দেয়ায় কেক টা সুন্দর লাগছে। তবে অতটা সফট হয় নি।
ধন্যবাদ আপু মতামতের জন্যে।