Better Life with Steem|| The Diary Game||16 September 2024||
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ই রবিউল আউয়াল,১৪৪৬ হিজরি, সোমবার। মুসলমানদের জন্যে বিশেষ একটি দিন। আজকের এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ । আজকের এই দিনে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি। ভোর বেলা ফজরের নামাজ আদায় করে আবারো ঘুমিয়েছিলাম। যেহেতু ছুটির দিন , আর সপ্তাহের মাঝামাঝিতে এরকম অতিরিক্ত ছুটি পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার।
ঘুম থেকে ঊঠে প্রতিদিনের নিয়ম মাফিক বেলকনির গাছ গুলোতে পানি দিলাম। বেলকনিতে তিনটে লাউ গাছ লাগিয়েছিলাম, ছোট ৬ ইঞ্চির টবে অল্প মাটিতে সেগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না দেখে আজকে সকাল সকাল গাছ গুলো থেকে লাউপাতা সংরহ করলাম, উদ্দেশ্য টাটকা শাক খাওয়া।
![]() |
---|
মেয়ের গতকাল থেকে ঠান্ডা জর । ঘুম থেকে ঊঠেই কান্না করছে। তাকে অনেক বুঝিয়ে থামালাম, জিগেস করলাম কি নাস্তা খাবে, সে বিরিয়ানি খেতে চাইলো। কি আর করার গিন্নি মেয়ের আবদার পুরন করতে বিরিয়ানি রান্না শুরু করলো। গত সপ্তাহে সুপার শপ থেকে কেওড়া জল কেনার সময় মেয়ে জিগেস করেছিলো এটা কেন নিচ্ছি, এটা দিয়ে কি করবো?
![]() |
---|
উত্তরে তাকে বলেছিলাম এটা দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করা হয়, আজকে সেই কথা তার মনে পরেছে এবং এই কেওড়া জল হাতে নিয়ে সে বিরিয়ানি খেতে প্রস্তুত।
তাকে অনেক বুঝিয়ে একটু ব্রেড খাইয়ে দিলাম, কেননা বিরিয়ানির অপেক্ষায় থাকলে তো ১১ টা পার হয়ে যাবে। এই ফাকে মেয়ের মন ভালো করতে তাকে বললাম তুমি সাজু গুজু করো। গিন্নি রান্নার ফাকেই মেয়েকে সাজিয়ে দিল, আমি তার বেশ কিছু ফতোগ্রাফি করলাম। মেয়েরা যে ছোটবেলা থেকেই সাজতে ভালোবাসে তা এখন ভালোভাবে টের পাচ্ছি।
১২ টার দিকে মেয়েকে গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিলাম। প্রতিদিন সে আমার কাছে খায় কিন্তু আজকে সে একাই খাবে। তাকে প্লেট সাজিয়ে দিয়ে খেতে দিলাম, যদিও এটা ভালোভাবেই জানি যে সে অর্ধেক খাবে আর বাকিটা বিছানায় মাখাবে।
![]() |
---|
দুপুরের খাবার খেয়ে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম, ঘুমালেই তার কাশি বেরে যায়, বেশিক্ষণ বিছানায় থাকা হলো না, ঘুম থেকে ঊঠে মেয়েকে নিয়ে বাতাবি লেবু খাবার প্রস্তুতি নিলাম। জ্বরের সময় যেকোন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিৎ, বিশেষ করে কমলা, লেবু, আনারস বা বাতাবি লেবু। শুকনা মরিচ, লবণ, চিনি আর সরিষার তেল দিয়ে বাতাবে লেবু চটকিয়ে খাবার মজাটা অন্যরকম। মেয়েও মাশাল্লাহ খেয়ে নিল।
![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
মেয়েকে নিয়ে একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম, তবে বাহিরে বেশ গরম থাকায় দ্রুতই বাসায় চলে এলাম। বাসায় থাকলে শুধু খিদে লাগে, অথচ অফিসে থাকলে সময় কিভাবে যেন পার হয়ে যায়, তখন খাবার কথাও আর মনে থাকে না। সন্ধ্যেবেলা গিন্নিকে বলল্লাম, বেগুনি, পেয়াজু আর আলুর চপ বানাতে। সাথে মুড়ি মাখা ছিল। খুব সুন্দর নাস্তা যদিও গ্যস্ট্রিকের মহাওষুধ।
![]() |
---|
রাতের বেলা মেয়েকে দেখলাম একটু সুস্থ মনে হচ্ছে। সে নিজের মত কাপড় গুছানোর খেলা খেলছে। ওয়াড্রব থেকে সব কাপর বের করে তার তো সে গুছাচ্ছে। দেখতে ভালো লাগলেও এটা ভেবেই খারাপ লাগছে যে সে গছানো কাপর গুলো সব এলোমেলো করছে। মাঝে মাঝে বাচ্চাদের এমন খেলা দেখতে একদিকে যেমন ভালো লাগে অন্যদিকে খারাপও লাগে।
![]() |
---|
ছুটির দিনের পুরো সময় টা আজকে মেয়ের সাথেই পার হয়ে গেল। ছুটির দিন গুলিতেই সে আমাকে পায় অন্য দিন দিনের বেলা তার সাথে আমার দেখাই হয় না, কেননা অফিস থেকে ফিরতে ফিরতেই রাত হয়ে যায়। কি যান্ত্রিক জীবন। তবে, এই যান্ত্রিক জীবনে পরিবার আছে বলেই এখনো যন্ত্র না হয়ে মানুষ হয়ে বেচে আছি।
Device name | Samsung M31+Nikon |
---|---|
Photographer | @mukitsalafi |
Location | Dhaka, Bangladesh |
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে আমরাও ছুটি পেয়েছিলাম, সাপ্তাহের মাঝখানে এরকম ছুটি থাকলে খুব ভালো লাগে, ছুটির দিনে পরিবারের সাথে সময় দেওয়া যায়, বাচ্চাদের সাথে খেলা করা যায়, বাচ্চারা সাজুগুজু করতে খুব ভালোবাসে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপ্নাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি প্রথমত সম্পূর্ণ পাঠ করার জন্যে। এর পর করা মন্তব্যটিও সত্যি অনেক ভালো হয়েছে। আপনার জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা
ছুটির দিনের গল্পে আপনার মেয়ে আর পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব হৃদয়গ্রাহী। কাজের ব্যস্ততার মাঝে এমন একটুখানি সময় কাটানো সত্যিই অমূল্য। মেয়ের হাসি, সাজানো, আর খাওয়ার মুহূর্তগুলো বেশ সুন্দর ছিল। বাচ্চাদের এমন সরল আনন্দগুলোই আসলে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো নিয়ে আসে।