Better life with steem || The Diary Game || 12th February
বেশ কিছুদিন পর আজকে আবারো ডায়েরি লিখতে বসেছি। মাঝের কয়েকটা দিন খুব ব্যস্ততায় পার হয়েছে। প্রতিদিনের মত আজকেও ঘুম থেকে ঊঠে সকালের নিত্য আবশ্যিক কাজ গুলো সেড়ে আমি অফিসে যাবার জন্যে প্রস্তুতি নিলাম। সকালের নাস্তায় আজকে রুটি আর ডিম ভাজি খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
প্রতিদিন অফিসে যাবার আগে বউ একটা ময়লার ব্যাগ ধরিয়ে দেয়, আগে ময়লা ওয়ালা উপরে এসে ময়লা নিতো, তবে এখন বাসার নীচে রেখে দিতে হয়, ওখান থেকে নিয়ে যায়। আর এই নীচে নিয়ে যাবার কাজটা দিয়েই বলতে পারেন আমার দিন শুরু হয়।
বাসার নীচে নেমে ৫ মিনিটের মত হেটে তারপর অটোতে ঊঠি। হেটে যাবার সময় দেখলাম একজন শাক বিক্রেতা টাটকা লাউ শাক ডালিতে সাজিয়ে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে অনেক শাক সব্জির আবাদ হয়। সকাল বেলা সব টাটকা শাক সবজি বাজারে গেলেই পাওয়া যায়।
যথারীতি সঠিক সময়ে অফিসে পৌছে কাজ শুরু হয়ে গেলো। মেয়ে অসুস্থ থাকায় রাতে খুব একটা ভালো ঘুম হয় নি। তাই সকাল টা কেমন ম্যাড়মেড়ে লাগছিল। তাই ভাব্লাম এক মগ চা বানিয়ে খাই। টি রুমে সকাল বেলা অনেক ভীড় থাকে তাই আমি একটু দেরিতে গিয়ে এক মগ লাল চা বানিয়ে খেলাম। চা আপনাকে দ্রুত চাংগা করে তুলবে।
অফিসে কাজ করছিলাম এর মাঝে ফোনে নোটিফিকেশন এলো, দারাজে একটা ড্রোন অর্ডার করেছিলাম, আজকে সেটা ডেলিভারি দিতে আসবে। নটিফিকেশন দেখেই মন ভরে গেল। দীর্ঘ ১৫ দিনের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। সেই চায়না থেকে আসছে আমার শখের ড্রোন।
দুপুরে অফিস ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। ইদানিং লাঞ্চের মান খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। হয়তো বাজারের দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বাড়ার কারণে এই অবস্থা। আজকে দুপুরে ভাত,ডাল,মুরগীর রোস্ট,শিম ভর্তা ও সালাত ছিল মেনুতে।
খাওয়া শেষে জহরের নামাজ পড়ে ছাদে ১০-১৫ মিনিট পায়চারি করে আবার এসে কাজ শুরু করলাম। এক বসাতেই আসরের নামাজের সময় হয়ে গেলো। চলে গেলাম মসজিদে। আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
নামাজ শেষে অফিসে কাজ করছিলাম, হটাৎ দারাজের ডেলিভারিম্যান কল দিয়ে আমার পার্সেল রিসিভ করার জন্যে ডাকলো। আমি মনের আনন্দে চলে গেলাম অফিসের নীচে। কিন্তু গিয়ে পারসেল হাতে নিয়েই হতাশ হয়ে গেলাম। দারাজের সেলার আমাকে ড্রোনের বদল অন্য কিছু পাঠিয়েছে। যেহেতু ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অর্ডার ছিল, তাই আমি প্রডাক্ট রিসিভ না করে ক্যান্সেল করে দিলাম। ভাগ্যিস এডভান্স পেমেন্ট দেই নি, নাহলে টাকাটাই নষ্ট হতো। অনলাইনে কেনাকাটা করতে এই কারণেই ভয় হয়, এসব ফালতু সেলারদের জন্যে দারাজে কেনাকাটা করা ছেড়ে দিয়েছি।
অনেক সময় ভাগ্য সহায় হয় না, অনেক আশায় ছিলাম ড্রোন টা পাবো, কিন্তু মনে হয় না আর সে স্বপ্ন পূরণ হবে। যা হোক সব কিছুর জন্যে আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ভালো প্ল্যানার, উনি যা ভালো মনে করেন তাই হয়। হয়তো এতেই আমার ভালো কিছু নিহিত আছে।
অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে মেয়ে কল দিয়ে বল্লো টমেটো নিতে। তাই এক কেজি টমেটো কিনে বাসায় ফিরলাম। টমেটো খেতে ভয় হয়, কারণ এতে খুব বেশি কীটনাশক ব্যাবহার করা হয়।
বাসায় গিয়ে মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে যেতে হলো। ওর খুব বাজে ভাবে বুকে কফ জমে গেছে। ডাক্তার দেখে অনেকগুলো ওষুধ আর নেবুলাইজড করার পরামর্শ দিলেন।
ভালো লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে।। আচ্ছা ভাই আমাকে একটা সাজেশন দেবেন অনলাইনে জিনিস অর্ডার দিলে এটা কি আসলেই ভালো হয়?? যেমন আপনি ড্রোন অর্ডার দিয়েছে আসলে কি এনারা ভালো প্রোডাক্ট দেয়।।
অনলাইনে অডার দিলে অনেক আওময় ভালো প্রডাক্ট পাওয়া যায়, তবে সেটা ডিপেন্ড করে স্টোর আর সেলারের উপর। অডার দেবার আগে ইবশ্যই সেলার ও স্টোরের রিভিউ দেখে দিবেন। তাহলে ভালো পাবেন। না পেলে আমার মত রিটার্ন করে দিবেন।
ধন্যবাদ ভাই পরামর্শ দেওয়ার জন্য।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুটি আর ডিম ভাজা দিয়ে সকালেড় নাস্তা শেষ করেন তারপর অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েন। আসলে রাতে ঘুম ভালো না হলে সারাদিনই অস্বস্তিতে কাটে। বাজারে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে তাতে নিম্নবিত্ত বা মধ্যেবিত্তদের স্বাভাবিক জীবনে ব্যঘাত ঘটছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
প্রথমে আপনার বাচ্চার জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আসলে ছোট বাচ্চাদের এরকম ঠান্ডা লাগলে বুকে কফ স্বর্দি লেগে যায়। আর আপনার পোস্টগুলো পড়লে সব সময় ভালো লাগে কারণ আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করেন।
আসলে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের এমন হয়, তখন বাবা হিসেবে একটু ভয় হয়। যদিও ডাক্তার বলেছে ভয়ের কিছু নেই। ১৪ দিনের মত সময় লাগবে রিকভার করতে। তবে এই সময় যেন নতুন করে আবারো ঠান্ডা না লাগে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। দোয়া করবেন ভাই।