Beaware of Rotavirus that causes Diarrhoea and Gastroenteritis
সবাইকে আমার সালম, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি। এই কমিউনিটিতে যুক্ত হবার পর থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে মহাগুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি পুরোটা সময় আমার সাথে থাকবেন।
(Edited in Pixelab)
আজকে আমি আলোচনা করবো ভয়াবহ রোটাভাইরাস নিয়ে। রোটাভাইরাস মূলত ডায়রিয়ার প্রধান কারণ। বিশেষ করে শিশুরা এই ভাইরাসে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়। অনেক শিশু এর ভয়াবহতার কারণে মৃত্যুবরণ করে।
মানুষের শরীরে যেসব কারণে ডায়রিয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে এই রোটা ভাইরাস। এটি শিশুদের সবথেকে বেশি আক্রান্ত করে। বিশেষ করে যেসব শিশু সদ্য হামাগুড়ি দিতে শুরু করে তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। এই সময় শিশুরা হাত ও পায়ের মাধ্যমে হামাগুড়ি দিতে শুরু করে। হাতের মধ্যে জীবানু লেগে যায়, এবং যখন এরা এই হাত মুখে দেয় তখন তারা এই ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়।
আমার ছোট মেয়ের বয়স যখন ৯ মাস তখন সে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার আই সি ডি ডি আর বি হাসপাতলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়। তখন খুব কাছ থেকে এই রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা দেখেছি। আজকে সেটাই শেয়ার করছি।
এই ভাইরসে আক্রান্ত হলে বুঝবো কি ভাবে?
আপনার শিশু যদি হটাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত বমি করে এবং তার পর ১-২ ঘন্টার মধ্যে পাতলা পায়খানা শুরু হয় এবং তা অনরবতো চলতে থাকে তাহলেই প্রাথমিক ভাবে বুঝে যাবেন আপনার শিশুটি রোটায় আক্রান্ত। তখন দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।
চিকিৎসা : এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো। যতবার শিশু বমি করবে সাথে সাথে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এছাড়া ওরাল স্যালাইন ও জিংক খাওয়াতে হবে, পাশাপাশি নরমাল খাবার পানি দিতে হবে। তবে এই সময় কোন প্রকার শাক খাওয়ানো যাবে না।
ভ্যাক্সিনেশন : বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক রোটা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন দেয়া হয় না। তবে বেসরকারি ভাবে এই ভ্যাক্সিন কিনতে পাওয়া যায়। বাচ্চার বয়স ৬ সপ্তাহের পরে ১ম ডোজ টিকা দিতে হয়, এর পর ৪ সপ্তাহ পর ২য় ডোজ টিকা দিতে হয়।
সতর্কতা: রোটা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে চাইলে বাচ্চাদের হাতের তালু, আংগুল ও হাত সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে। ঘরের মেঝে জীবানুমুক্ত রাখার জন্যে সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে। বাহিরের খোলা খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সবথেকে বড় কথা সময়মতো টিকা নিতে হবে।
আপনি আমি একটু সচেতন হলেই পারি আমাদের প্রিয়জনদের এই রোটার ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে। তাই আসুন এখনই নিজে সতর্ক হই,অন্যকে সতর্ক করি।
সত্যি কথা বলতে রোটা ভাইরাস সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারণা ছিল না। তবে শিশুদের ডায়রিয়া হয় সেটা জানতাম। আর এই রোটা ভাইরাসের যে টিকা প্রথম রোজ এবং দ্বিতীয় রোজ পাওয়া যায় সেটাও জানা ছিল না। এই রোটা ভাইরাস রোগ সম্পর্কে জেনে খুবই উপকৃত হলাম। কারণ আমার ছোট মেয়ে এখন হামাগুড়ি দিতে শিখে গেছে। আর আপনি যেহেতু বলেছেন যে যখন বাচ্চারা হামাগুড়ি দিতে শেখে তখন এই রোগটা হয় বেশি। এজন্য এই ভাইরাস কিংবা এই রোগ সম্পর্কে জেনে সত্যি কথা বলতে আমার অনেক বেশি উপকার হলো। এছাড়াও এর প্রতিকার সম্পর্কেও আপনি বেশ কিছু কথা বলেছেন যেটা জেনেও অনেক বেশি উপকৃত হলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার ছোট মেয়েকে সব সময় নিরাপদে রাখুন। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার লেখাটি পড়ার পর এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যেম
অবশ্যই আমি সচেতন থাকব। ধন্যবাদ আপনাকে
আজকে আপনার পোস্ট পড়ার পর নতুন একটা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারলাম। এবং আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন,,, এই ভাইরাস হলে আমরা কিভাবে বুঝব। যে শিশুদের শরীরে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
প্রকৃতি যেন অনেকটাই বদলে গেছে,, যার কারণে আমাদের মধ্যে নানা ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। জানিনা সৃষ্টিকর্তায় এই পৃথিবীটাকে আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু চারপাশে এই ভাইরাসের কারণে মারা যাচ্ছে,, কত শত মানুষ যা বলে বোঝানো যাবে না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, এই ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। এবং সতর্ক করার জন্য,,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
আপনার লেখার এই অংশটুকু আমি তুলে নিয়েছি। কারণ আপনি এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা উপস্থাপন করেছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই।
এই রোগের জন্য টিকা দেওয়া অনেক জরুরী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি তথ্যবহুল লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।এর ফলে অনেকেই উপকৃত হবে এই লেখা পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটা লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য