সন্তানকে বিলাসীতা না শিখিয়ে অভাব শিখানোর সময় এখন

in Incredible India11 months ago
"শুরু করছি সৃষ্টিকর্তার নামে"

হ্যালো বন্ধুরা,

হয়তো আপনারা সবাই কমবেশি ধারণা পেয়েছেন আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ। এখনো খুব ই সাধারণ জীবন যাপন করি। আমাদের ছোটবেলা টা একদম ই সিম্পল ছিল। বড় পরিবারে জন্ম ছিল, তাই সব কিছু ভাগাভাগি করে নিতে শিখেছি এবং সেভাবেই অভ্যস্ত ছিলাম। আমার মত অনেকেই এরকম ছিলেন। কিন্তু আমরা এখন এমন একটা সময়ে এসেছি যখন আমাদের সন্তানদের আমরা নিজের অজান্তেই বিলাসীতা শিখিয়ে দিচ্ছি। এটা কতটুকু ভালো হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে??

Source

আমার পরিবারে ১১ জন সদস্য ছিল। বাবা শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন, পাশাপাশি আমাদের দিনাজপুরে নিজ গ্রামে জমি জমা ছিল। সব মিলিয়ে যা উপার্জন হতো তা তিনি আমাদের এই বড় পরিবারের ভরণপোষণে ব্যয় করতেন। বাবা কোথাও ঘুরতে গেলে দেখা যেত কোন নতুন খাবার বা মজার কোন জিনিস নিয়ে এলেন, আমরা সব ভাই বোন মিলে তা ভাগ করে খেতাম। অনেক আনন্দের ছিল এই ভাগাভাগি পর্ব টা।

শীতের সময় নতুন সোয়েটার আসতো। তবে দেখা যেত ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাইকে নতুন সোয়েটার কিনে দেয়া হলো, সাইজে অবশ্যই কম করে হলেও ২ সাইজ বড় দেখে। এর কারণ ছিল যেন এই সোয়েটার সে অন্তত ২-৩ বছর পড়তে পারে।

আবার সেই সোয়েটার যখন সে ২ বছর পড়া শেষ করলো ততোদিন আমি একটু বড় হয়ে গেলাম, এবং পৈত্রিক সূত্রে সেই সোয়েটার আমাকে দেয়া হতো। আবার আমি যেটা নতুন কিনতাম সেটা ১-২ বছর পর ছোট ভাই এর কাছে যেত। মোদ্দা কথা প্রতিবছর নতুন সোয়েটার কখনই কেনা হতো না। বাবার যে কিনে দেবার সামর্থ্য ছিল না এমনটা কিন্তু না।

আমার পরিবার ই যে এমন ছিল, তা কিন্তু না, আমার আশেপাশের কাজিন, বা গ্রামে অন্য বড় পরিবারেও এই একই নিয়ম চালু ছিল। আসলে সেই সময়টায় এটাই হয়তো ট্রেন্ড ছিল। বিলাসীতা কি তা আমরা কেউ কখনো বুঝতেই পারি নি। প্রয়োজনের টা পেতাম সেটাও অনেক চাওয়ার পরে।

স্কুল ড্রেস জানুয়ারিতে বানানো হলে সেটা যেভাবেই হোক ডিসেম্বর অব্দি নিতেই হতো। জুতা হালকা ছিড়ে গেলেও আমাদের সেটা পড়েই স্কুলে যেতে হতো। কিন্তু কখনোই এটার জন্যে আফসোস হয় নি।

আমরা এরকম একটা পরিবেশের মধ্য দিয়েই বড় হয়েছি যেখানে দেখেছি অভাব কি? দেখেছি একটি জিনিস কতবার চাইলে তার পরে তা পাওয়ায় রূপ নেয়। বছরের শেষ দিনগুলিতে এসে জুতা ছিড়ে যাওয়া, বা স্কুল ড্রেস ছোট হয়ে যাবার পরেও তা দিয়ে কিভাবে বছরটা পার করতে হয় তা আমরা শিখেছি আমাদের স্কুলের সহপাঠীদের থেকে। আর এই পরিবেশটাই আমাদের বিলাসীতার যায়গায় সঞ্চয় শিখিয়েছে৷ শিখিয়েছে যত কঠিন সময়েই আসুক না কেন জীবনে টিকে থাকতে হবে।

কিন্তু এখন??

আমি যদি আমার কথা বলি, আমার মেয়ে যেটা চায় সেটাই পাচ্ছে, শীতে সোয়েটার, ঈদে জামা, সব ধরনের জিনিস ই পাচ্ছে আবার না চাইলেও কিনে দিচ্ছি। এই যে এরকম বিলাসীতা, এর কি কোন মানে আছে? মাঝে মাঝে খুব করে মনে চায় তাকেও একটু অভাব জিনিসটা শিখাই, কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করে পেরে ঊঠি না।

20230818_195832.jpg

এখন সমাজ ব্যবস্তা যেত রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের ও দেখবেন ম্যাচিং করে ড্রেসের সাথে জুতা, ব্যাগ পড়তে। যখন যা কিনতে আবদার করছে সাথে সাথেই তা যেন পূরণ করতে হবে। নিউজে এখন প্রায়শই দেখি অমুক ড্রেস কিনে দেয় নি বলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আহা আফসো....... স

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছু কে না বলার শিক্ষাটা পরিবার থেকেই দেয়া উচিৎ। যেটার প্রয়োজন আছে সেটা অবশ্যই দিতে হবে কিন্তু প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে যেন বিলাসীতা না হয়ে যায় মানে একটার প্রয়োজন অযথা তিনটা না হয়ে যায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।

বিশ্বব্যপী যে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে তার শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা কেউ বলতে পারে না। তাই আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বিলাসীতার দিকে ঠেলে না দিয়ে তাদের মস্তিষ্কে সেভিংস এর চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়া। পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরকেও এখন থেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে কোন কিছুকে না বলতে শিখতে হবে। অর্থনৈতিক মন্দার যে ঠেউ আসছে তার প্রতিকূলে সাতার কাটতে হলে বিলাসীতা পরিহার করতে হবে।

pexels-maitree-rimthong-1602726.jpgsource

আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জীবন চলার পথ এখনো অনেক বাকি।এই লম্বা পথ যে সব সময় মসৃণ হবে এমনটা নাও হতে পারে। তাই বিলাসীতা বাদ দিয়ে এখন তাদের অভাবের শিক্ষা দেয়াটা জরুরি।

8Prrv7p5W83L7oFHxvWZQ5rzoJj7rUGVWQREWBaRkivXoXuzoDze6w8k1L7JFSvaLfKW5UELWgsskDEiZ41EVU3YTYeAQe2a1fze9uuBo151gAQ6CtsyD2JhZ6bvsxn5jGDxjacN3JN2bfFD3Kmh2FqrsqGVZCkPuutaXqqWMA59MVzDcfGD4KMrwbDLkW1sHDhTL7qgmmMMH8YSGLoxdBK.png

সবাই চায় তার বাচ্চা ভালো থাকুক, কিন্তু এই ভালো থাকা নিয়ে তার আবদার পূরণ করতে করতে তাজে যেন আমরা বিলাসী বানিয়ে না ফেলি, আমরা যেন কিছুটা হলেও আমাদের ছোটবেলার কথা গুলো তাদের সাথে শেয়ার করি, তবেই তারা বুঝবে। ভবিষ্যতের যে কোন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার শিক্ষা যেন পরিবার থেকেই পায় সেটাই হোক আমাদের অঙ্গিকার।

2bP4pJr4wVimqCWjYimXJe2cnCgn9g1JDeoTfLth3BC.png

Sort:  
 11 months ago 

আপনি চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোকপাত করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়টির সাথে ব্যক্তিগতভাবে একমত নই। কারণ অভাব মানুষের মনকে ছোট করে দেয়। আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনার কখনই উচিত নয় অভাব জিনিসটিকে নিয়ে মাথা নষ্ট করা। বরং বাচ্চাদেরকে শেখানো উচিত আভিজাত্য। তাদেরকে সামর্থের মধ্যে মাথা উঁচু করে চলার শিক্ষা দেওয়াটাকে আমি শ্রেয় মনে করি। যদিও নিতান্ত এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা। আপনি বা আপনারা এর সাথে একমত নাও হতে পারেন। সব মিলিয়ে আপনার লেখাটি আমার কাছে ভালই লেগেছে।

 11 months ago 

আমি শুধু অভাব টাই শিখাতে বলি নি, আমি প্রয়োজন এর তুলনায় অনেক বেশি বিলাসীতা এর বিরোধীতা করেছি।

ধন্যবাদ আপু

Loading...
 11 months ago 

একদমই ঠিক বলেছেন পরিবার হল সন্তানের প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখান থেকে সে মৌলিক বিষয়গুলো শিখে। বিলাসিতা একটি অপচয়ের মাত্র। তাই তাদের মৃত্যু হবে অপরকে জিনিস জানতে হবে বাস্তব জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে
চলার শিক্ষা দিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

সবার সন্তান সুন্দর ভাবে বেড়ে ঊঠুক, পরিবার থেকে ভালো শিক্ষা নিয়ে জীবন গড়ুক এটাই চাওয়া

 11 months ago 

আসলেই সন্তান হচ্ছে , পিতা মাতার জন্য এক উত্তম নেয়ামত। তাই প্রতি টি বাবা মা চায় তার সন্তান যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। তবে পরিবার একটি বিরাট বিষয়। মূল শিক্ষা টা পরিবার
থেকেই পায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

আপনার পোস্টটি মনে হয় আমার মনের গাঁথা কথাগুলো সম্পূর্ণ লিখেছেন। আমাদের সময় শখের বসে কিছু চাওয়া হয়নি কারন মা-বাবা যেরম আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছিল শিক্ষার অনুরোধের সাহস পায়নি। কিন্তু এখন কোন কিছু বাচ্চারা চাওয়ার আগেই বা বাহানা করার আগেই আমরা তাদের সামনে হাজির করে দি। আমরা স্কুলে গেলে অনেকখানি পথ হেঁটে যেতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা বাহিরে বের হলে গাড়ি খোজে।

ধন্যবাদ খুব অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

 11 months ago 

আপ্নাকেও ধন্যবাদ আপু মিনের কথা গুলো মন্তব্যে শেয়ার করার জন্যে।

আপনি আজ খুব বাস্তবধর্মী একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। আমিও আপনার মতো বড় পরিবারে বড় হয়েছি এবং এখনো বড় পরিবারের সাথেই আছি।এখানের সবার অভিজ্ঞতা দেখি প্রায় একরকমই।
আমাকে যদি কোনো পোশাক কিনে দেয়া হতো তাহলে সেটার ভবিষ্যৎ কি সেটা ভেবে কেনা হতো।আমার ছোটোবেলার একটা স্মৃতি মনে আছে,আমার একটা মকমালের প্যান্ট ছিল,সেটা আমার ছোট ভাই পরছে,তারপর আমার কাজিন পরছে এবং তারপর আমার পিসতুতো ভাইও পরছে।
আমি জানিনা সেটা এখনো আছে কিনা!!! আপনি বলেছেন এখন শিশুদের অভাবের ভিতর দিয়ে বড় করতে।এটা খুব ভালো কথা বলেছেন। কারন বাচ্চা যদি জেনে যায় তার লাইফে ক্রাইসিস নাই তাহলে সে খারাপ হয়ে যেতে পারে,দাম্ভিক হতে পারে।
তাই আমাদের সবার উচিৎ যতই প্রাচুর্য থাকুক, শিশুদের প্রথম থেকেই টাকার মর্ম শিখাতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

আগের দিন গুলিতে আমরা কখনো ফিরতে পারবো না, ওই পরিবেশ ও এখন আর নেই। তাই যতটুকু পারি বাচ্চাদের আবদার পূরনের সময় নিজেরা একটু চিন্তা করতে হবে, এটা কি আসলেই দরকারী নাকি বিলাসীতা

আপনি সঠিক বলেছেন, আমরা পূর্বের দিনগুলোকে শুধু স্মরণই করতে পারি।সেটার মতো হওয়ার আকাঙ্খা না করাই ভালো।তাতে শুধু আক্ষেপ বাড়বে।
তাই এর ভিতর নিজের বাচ্চার আবদার মেটাতে চেষ্টা করা উচিৎ। আর অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে বাচ্চার চাহিদা দরকারী নাকি বিলাসিতা।
ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

 10 months ago 

একদম সঠিক কথা ভাই। ধন্যবাদ

 11 months ago 

অসাধারণ একটি বিষয়বস্তুকে আজ আপনি লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। প্রথম থেকে যখন আপনার পোস্ট পড়তে শুরু করলাম, তখন নিজের ছোটবেলা গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন কখনোই নতুন বাক্স পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমার বড় দিদি যখন স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, তখন একটা বাক্স তাকে কিনে দেয়া হয়েছিল। সেই বাক্সটি পরবর্তীতে আমার ছোটো দিদি এবং তারপর আমি নিয়ে প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। আশ্চর্যের বিষয় সেই বাক্সটি এখনো পর্যন্ত আমার বাপের বাড়িতে রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় টোপ খেয়েছে ঠিকই, তবে যদি ধুয়ে মুছে ব্যবহার করা যায়, তবে সেটা এখনো ব্যবহারযোগ্য।এইগুলোই বোধহয় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের আসল শিক্ষা। যেগুলো ছোটবেলা থেকেই কিভাবে যেন আমাদের মধ্যে বাবা মায়েরা তৈরি করে দিয়েছিলেন।
আজকালকার দিনে বাচ্চাদের ভাগাভাগি করে খাওয়ার বা কোনো জিনিস ব্যবহার করার মানসিকতা ততটাও লক্ষিত হয় না। এর সবথেকে বড় কারণ হলো নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। যেখানে থাকে বাবা-মা ও একটি সন্তান। তবে শেখাতে চাইলে সবকিছুই সম্ভব। শুধু এই চাওয়াটুকু নিজের ভিতরে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে থাকতে হবে। সব সময় আবদার পূরণের মানেই যে ভালোবাসা নয়, সেটা নিজেদের বুঝতে হবে। আজকালকার দিনে বাচ্চারা অনেক বেশি স্মার্ট হয়, তাই তাদেরকে যদি সঠিক শিক্ষা দিতে হয়, তাহলে বাবা মাকে আরো অনেক বেশি স্মার্ট হতে হবে। তাদের সাথে সঞ্চয়ের ভালো দিকগুলোকে তুলে ধরতে হবে, কেবলমাত্র তখনই তাদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব জন্মাবে। আমার বিশ্বাস আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার মতন অনেকেরই ধারণার পরিবর্তন হবে। ভালো থাকবেন।

 11 months ago (edited)

এই লাইনটা খুব ভালো ছিল। স্মার্ট বাচ্চাদের মানুষ করতে হলে অভিভাবকদের আরো বেশি স্মার্ট হতে হবে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা তৈরি করতে আমাদেরকেই এগিয়ে আস্তে হবে। আমরা যেভাবে পরিবেশ দিবো বাচ্চারা সেভাবেই তৈরি হবে।

ধন্যবাদ দিদি

 11 months ago 

চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আসলে ওই দিনগুলোর কথা যদি, আমরা মনে করি। তাহলে আমার কাছে মনে হয় ওই দিনগুলো অনেক বেশি ভালো ছিল। বড় ভাইয়ের জামা ছোট ভাই পড়তে পারতো। আবার বড় বোনের জামা ছোট বোন পরে দিব্যি দিন পার করে দিত। সেই দিনগুলো অনেক বেশি মজার ছিল।

বর্তমান সময়ে আমরা একটা জামা কিনতে গিয়ে আরও তিনটা জামা কিনে নিয়ে আসি। তাই হয়তোবা আমাদের বাচ্চা গুলো অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছে। তাদের থাকা সত্ত্বেও তাদের আরো চাই। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের উচিত, তাদেরকে অভাব শেখানো। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূলের দাম এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে সবকিছু সামলাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা। তাই আমরা যদি আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে একটু অভাব শেখাতে পারি। তাহলে ভবিষ্যতে তারা নিজেদের জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়ে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার বিষয় আলোচনা করার জন্য।

 11 months ago 

একদম সত্য যে এখন বাচ্চার একটা কাপড় দরকার পড়লে আমরা ৩ টা কিনে নিয়ে আসি যেটা অপ্রয়োজনীয়। আর অপ্রয়োজনীয় কোন কিছুই ভালো না। প্রয়োজন যেটা সেটাতেই আমাদের সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।

ধন্যবাদ আপু

আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ।আমাদের দেশের এখন যে অবস্থা তাতে বিলাসীতার ভিতরেই আমাদের জীবন কাটবে তাই ছেলে মেয়েদের কে বিলাসীতার উপরই বেড়ে উঠতে হবে।আপনার পোস্ট টি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 11 months ago 

ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।

আমরা তিন ভাই বোন, আমি আর আমার বড় ভাইয়ের ১০ বছর পরে আমার ছোট ভাই হয়েছে,, কিন্তু তার আবদার পুরন করতে করতে আমার আব্বু আম্মু হিমশিম খেয়ে যায় বর্তমান সময়ে বাচ্চার বড়দের কোন কথার দাম দেয় না, ছোট বেলায় ২ টাকা নিয়ে ও স্কুল যেতাম, আর এখন ৫০ টাকায় ও হয় না।

 11 months ago 

এখন সব বাচ্চারাই কেন জানি এমিন হয়ে গিয়েছে। আশেপাশের সবাইকে দেখে হয়তো অন্যরাও পরিবর্তন হয়। আমাদের সময় একই রকম পরিবেশে ছিলাম, তাই আমাদের আবদার গুলো ছোট ছিল।

 11 months ago 

ভাই একদম আমার মনের কথা গুলো লিখেছেন আপনি,আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমাদের সময় শখের বসে কোনো কিছুই চাওয়ার সাহস হয় নি, আর এখন কার বাচ্চারা চাওয়ার আগেই ওদের হাতে সব হাজির।স্কুলে পড়ার সময় মাইলকে মাইল রাস্তা হেটে গিয়েছি,আর এখনকার বাচ্চারা,রাস্তায় বের হওয়ার আগেই রিকশা খোজে।
ছোট থেকেই বাচ্চাদের মিতব্যয়ী করে তুলতে হবে তবেই তারা এই বিষয় গুলো বুঝতে পারবে।

 11 months ago 

আসলেইক্স আগে হেটে হেটে স্কুলে যেতাম, আর এখন বাচ্চারা ২ মিনিট হাটতে পারে না। এরা এতই সুখ পিয়াসী

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76114.36
ETH 2937.56
USDT 1.00
SBD 2.64