মজাদার লাউয়ের খোসার ভর্তা বানানোর সহজ পদ্ধতি
লাউয়ের খোসার ভর্তা |
---|
আপনি কি ভোজন রসিক? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তাহলে বুঝেই নিবো আপনি যেকোন ধরনের ভর্তা বেশি পছন্দ করে। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত। অন্যদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতেই পারে। আমি প্রচুর পরিমাণে ভর্তা খেতে পছন্দ করি। বলতে গেলে সপ্তাহে অন্তত ৬-৭ বেলা আমার ভর্তা নাহলে চলেনা।
তো প্রায়শই নতুন নতুন ভর্তার রেসিপি ট্রাই করি। নতুন কিছুর স্বাধ আসলেই অন্যরকম। এইতো যেমন সেদিন বানালাম লাউয়ের খোসা দিয়ে মজাদার একটি ভর্তা। তবে একে আরো বেশি টেস্টি করতে আমি ছোত মাছ, ছিম যোগ করেছিলাম। আজকে সেই ভর্তা বানানোর পুরো পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
Edited by Canva
উপকরণ | পরিমাণ | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|---|
লাউয়ের খোসা | পরিমাণমতো | চিংড়ি মাছ | ১০-১২ টি |
গুড়া মাছ | ১/২ কাপ | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো | রসুন কোয়া | স্বাদমতো |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সড়িষার তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই মাছ গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। যেহেতু দুই তিন পদের মাছ ব্যবহার করেছি তাই সেভাবে পরিস্কার করতে হবে। আপনি চাইলে যেকোন মাছ নিতে পারেন। এর পর লাউয়ের খোসা, কাচা মরিচ, পেয়াজ গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিবো। ধুয়ে একটু পানি গুলো নিংড়ে নিবো।
এই ধাপে এসে একটি প্যান চূলোয় বসিয়ে দিলাম। এবার সবগুলো উপকরণ প্যানের মধ্যে ঢেলে দিলাম। সড়িষার তেল দিয়ে দিবো, কারণ ভর্তা তে সয়াবিন থেকে সরিষার তেল আমার বেশি পছন্দ। আপনি চাইলে সয়াবিন দিয়েও করতে পারেন।
এবার এগুলো ভালোভাবে ভেজে নিবো। ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। পুড়ে গেলে কালার নষ্ট হয়ে যাবে, পাশাপাশি পোড়া পোড়া গন্ধ হলে অবশ্যই তা আপনাদের ভালো লাগবে না। যখন ই দেখবেন প্যানে আটকে যাচ্ছে একটু করে পানি ঢেলে দিয়ে আবার কষাতে থাকবেন। যেহেতু লাউয়ের খোসা ও সিম আছে তাই ভালোভাবে সদ্ধ করতে হবে।
ভালোভাবে সেদ্ধ করতে একটু পানি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে দিবো। এভাবে ৪-৫ মিনিট রেখে দিবো। চুলা মিডিয়াম আচে দ্রাখতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে কি না।
এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে ব্লেন্ড করে নেবার পালা। আপ্নারা চাইলে শীলপাটায় বাটতে পারেন। কারণ অনেকেই মনে করেন ব্লেন্ডারের থেকে বাটনায় পিশলে বেশি মজা হয়। তবে আমার ক্ষেত্রে এটা তেমন একটা যৌক্তিক মনে হয়না। তাই আমি ব্লেন্ডার পছন্দ করি। এতে কষ্ট কম। এখন সবগুলো ব্লেন্ডারের জারে নিয়ে নিলাম।
এবার ২ মিনিট ধরে ব্লেন্ড করে নিলাম। একদম মিহি করে নিবো। এবার এক চামচ সড়িষার তেল দিয়ে বাটিতে তুলে ফেলবো। হয়ে গেছে আমার মজাদার লাউয়ের খোসার ভর্তা।
📸পরিবেশন ও ফটোগ্রাফি📸
আমি ভর্তার বাটিটি হাতের তালুতে নিয়ে আমার স্যামসাং মোবাইল দিয়ে বেশ কিছু চবি ক্যাপচার করে নিলাম।
কোন কিছু রান্নার পর সেটার স্বাদ কখনোই লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। এর স্বাদ উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আমার পদ্ধতি মেনে বানিয়ে খেতে হবে। আশা করা যায় একটু কষ্ট করে সেটা করবেন, এবং ফিডব্যাক জানাবেন।
সব শেষে আমার রেসিপি কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের মন্তব্য আমার কাজের অনুপ্রেরণা। সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।
লাউয়ের খোসার ভর্তা আমি কোনোদিন খাই নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছা করতেছে। খুবই সুন্দরভাবে লাউয়ের খোসার ভর্তার রেসিপিটি দেখিয়েছেন।
খাবার অনুরোধ থাকল, আশা করি মজা লাগবে
আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে দেখতে। আমি নিজে এই রেসিপিটি ট্রাই করবো তবে,অবশ্যই মাছ বাদ দিয়ে। কারণ এই ধরনের ছোট মাছ আমি একদমই খেতে পছন্দ করি না। তবে যারা মাছ খেতে পছন্দ করে তাদের কাছে এই রেসিপির স্বাদটা আরো অনেক বেশি ভালো লাগবে। তবে আমার বিশ্বাস মাছটা বাদ দিয়েও যদি আমি রেসিপিটি ফলো করি, তাতেও খুব একটা খারাপ স্বাদ হবে না 😊। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যেখানে আপনি উপকরণ গুলির পরিমাণ এবং রেসিপির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ভালো থাকবেন।
হ্যা আপনি মাছ বাদেও ভর্তা বানাতে পারবেন, আশা করি অনেক মজার হবে। তবে ঝাল বেশি দিলে এই শীতের সময় আরো বেশি মজা লাগবে।
আপনি লাউয়ের খোসার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দারুন সুন্দর হয়েছে লাউয়ের খোসার রেসিপি টা ৷ আপনি বেশ সুন্দর ভাবে যাবতীয় উপকরণ গুলো উল্লেখ করেছেন এবং তার পাশাপাশি প্রস্তুতি পদ্ধতি টাও ধাপে ধাপে বেশ সুন্দর ভাবে উপাস্থাপনা করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের লাউয়ের খোসার রেসিপি টা ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জনে, ভালো থাকবেন সব সময়
আপনি খুব সহজে লাউয়ের খোসার ভর্তা বানানোর সহজ পদ্ধতি দেখিয়েছেন।। অনেকদিন হয় লাউয়ের খোসা ভর্তা খাওয়া হয় না।। আপনার পোস্টে দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছিল।।।
ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট করার জন্য।।
হ্যাঁ এরকম রেসিপি আরো আসবে সামনে, দেখার আহবার রইলো
অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া আপনার নতুন রেসিপির।।
বাহ বেশ চমৎকারভাবে লাউ এর খোসা ভর্তা আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। আমি নিজে কখনো খেয়ে দেখি নাই কেমন লাগে তবে আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম এটা মনে হয় অনেক স্বাদ হবে।
হ্যা এটা খেতে অবেক মজার, একদিন খেয়ে দেখেন
লাউরে বীজ ভর্তা করে খেয়েছি, লাউয়ের খোসা ভাজি খেয়েছি তবে ভর্তা খাইনি নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরেছি ভালো লেগেছে উপকরণসহ উপস্থাপনা করেছেন খুব সহজেই বাসায় বানিয়ে নেওয়া যাবে।
একদিন ট্রাই করে দেখুন অনেক মজার
জি ভাইয়া,
একদিন অবশ্যই চেষ্টা করে দেখবো।
ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউয়ের খোসার ভর্তার রেসিপি টি খুব লোভনীয় লাগছে।মেবি খেতে ও দারুন লাগছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
খেতেও অনেক মজা হয়েছিল, একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনি আজকে আমাদের সাথে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আর আপনার রেসিপি টা পেয়ে আমি অনেক খুশি হলাম।আর এই এটা একবার হলেও বাসায় বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
রেসিপিটা পারলে ট্রাই করে দেখবেন।
একদিন অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন