বরিশাল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। পর্ব-২
বরিশাল ভ্রমণের প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতা গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে সেই ধারাবাহিকের ২য় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশ করি আপ্নারা উপভোগ করবেন। গতপোস্ট যেখানে শেষ করেছিলাম আজকে ঠিক সেখান থেকে শুরু করছি।
আমরা রূপাতলী বাস্স্ট্যান্ডে দুপুরের খাবার খেয়ে চলে গেলাম বরিশালের অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা তিরিশ গোডাউন এলাকায়। বরিশাল শহরের পাশ দিয়ে কীর্তনখোলা* নদী বয়ে গেছে, এই নদীর পারেই গড়ে উঠেছে ৩০ গোডাউন। আমরা সেখানে গিয়ে নদীর পাশের মনোরম রাস্তা দিয়ে ৩০ গোডাউন খুজতে লাগলাম। পরে জানতে পারলাম এখানে কোন গডাউন নেই, এম্নিতেই জায়গার নাম তিরিশ গোডাউন।
একজন পেছনে ৫০০ মিটার দূরে যেতে বললো্ মূলত নদী থেকে জাহাজে বা লঞ্চে করে খাবার খাদ্য, সার বা অন্যান্য পণ্য আসে, সেগুলো একটা কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে প্রায় ১/২ কিমি দূরে স্বয়ংক্রিয় ভাবে খালাস করা হয়। সেখানে ৩০ টা গোডাউন আছে বলে এই পুরো এলাকাটাকে তিরিশ গোডাউন নামে সবাই চিনে।
আমরা নদীর পার ঘুরে তিরিশ গোডাউনের সামনে দিয়ে গাড়ী নিয়ে ছুটলাম বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালের দিকে। সেখানে ইলিশের হাট বসে। উদ্দেশ্য টাটকা ইলিশ কেনা। কিন্তু সেখানে গিয়ে হতাশ হলাম, এখানে মূলত সকাল বেলা ইলিশের হাট বসে কিন্তু আমরা সেখানে পোছাতে বিকেল হয়ে গেল।
তবে কিছু ইলিশের দোকান পেলাম, ইলিশ গুলো মোটামুটি ফ্রেশ ছিল। তবে, দাম অনেক বেশি। কি আর করার আমরা ৫ কেজি ইলিশ কিনে বক্স করে নিলাম।
এই বাজারে কাচামরিচ বিক্রি হচ্চে ২০০ টাকা কেজি দরে, পাশাপাশি অন্যান্য ফল যেমন, মালটা, আমড়া, নারিকেল , এগুলোও বিক্রি হচ্ছে, দাম ঢাকার থেকে কম।
আমরা কেনাকাটা শেষ করে বড়ভাইকে রেস্টহাউজে দিয়ে বেরিয়ে পরলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। আমরা সন্ধ্যার আগে আগে ভাংগা এসে পোঁছালাম। পদ্মাসেতুর উপর যখন ঊঠি তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো, সন্ধ্যার সময় নদী ও উপরে আকাশের রঙের খেলা দেখে প্রান জুড়িয়ে গেল। এমন মুহূর্ত গুলো ক্যামেরাবন্দী না করলেই নয়। ঝতপট কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
আসার সময় লক্ষ্য করলাম এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এখন সেখানে বর বর করে লেখা জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম আ: এক্সপ্রেসওয়ে। ব্যাপারটা মন্দ হয় নি।তবে এই নাম কতদিন এখানে টিকে থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
একদিনে এত লম্বা সফর খুব কম করা হয়, তবে আবার ইচ্ছে আছে বরিশাল যাবার, এবার অবশ্যই সময় নিয়ে যাবো, যেন বাকি শহরটা ঘুরে দেখতে পারি। তো এই ছিল আমার বরিশাল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। কেমন লাগলো অবশ্যই মতামতে জানাবেন।
বরিশাল ভ্রমণের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের কাছে খুব ভালোভাবেই শেয়ার করছেন। বরিশাল আমি কখনোই যাই নাই তবে আপনার পোস্টে পড়ে মনে হল যে বরিশাল থেকে ঘুরে এসেছে।
প্রথমে মনে করলাম যে ইলিশ মাছের দাম হয়তোবা একটু সস্তা হবে তবে আপনি বলছেন ইলিশ মাছের দাম এখানে অনেকটাই বেশি তবুও ৫ কেজি ইলিশ মাছ কিনছেন।
ভ্রমণের অনেকগুলো ছবি আপনি শেয়ার করছেন এর ভেতরে আমার কাছে নীল আকাশের ছবিগুলো বেশি আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে সেই সাথে ইলিশ মাছের ছবিগুলো খুব ভালোভাবে ক্যাপচার করছেন।
THE QUEST TEAM has supported your comment. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
@sduttaskitchen অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাডাম আমাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।
আরে কোন ক্ষুধা! 😍 দারুন ছিল পদ্মা সেতু থেকে ফোটো গ্রাফির। আবার এই শীঘ্রই বরিশাল যাওয়ার নজর দিচ্ছি, তো অনেকেই থাকুক বরিশালে আমার সাথে। 🤗
আপনি বরিশালে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আপনাদের ওখানে ইলিশ মাছের তো কোন তুলনায় হয় না। আমাদের এখানে ইলিশ মাছের কেজি ১০০০-১৩০০টাকা। আর আপনাদের ওখানে মাত্র ২০০ টাকা। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটি খুব সুন্দর ছিল। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।