"White Gourd" Flowers Random Photography/ "চাল কুমড়া" ফুলের এলোমেলো ফটোগ্রাফি।
Tuesday 13 June 2023
আসসালামু আলাইকুম
আমি মিস্টার নজরুল আপনাদের বাংলাদেশী বন্ধু ।
বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি প্রচন্ড গরমের পর হালকা-পাতলা বৃষ্টির ছোঁয়ায় কিছুটা নমনীয় পরিবেশে সবাই একটু হলেও, ভালোভাবে জীবন যাপন করছেন ।
কেননা এ মাসে সমস্ত মিষ্টি ফলগুলো , আমরা মহান স্রষ্টার তরফ থেকে উপহার হিসেবে পেয়ে থাকি । এজন্য বৃষ্টি হলেও ফল পাকানো ভ্যাপসা গরম এখনো আমাদের মাঝে মোটামুটি ভাবে বিরাজ করছে ।
তবে তা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে । মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ থাকার তৌফিক দান করুন । আমিন
আলহামদুলিল্লাহ
আমিও পরিবার পরিজন নিয়ে আপনাদের সাথে সহ, প্রাণীকুলের সহিত অসহনীয় ফল পাকা গরমে নিমজ্জিত হইয়া, গরম এক প্রকার শরীরে মানিয়ে নিয়েছি ।
এর মধ্যে কোথাও কোথাও হালকা মাঝারি ও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ায়, আবহাওয়ার কিছুটা হলেও নমনীয় ভাব, মিষ্টি ফল খাওয়ার লোভে লোভে, খেয়ে খেয়ে পার করছি।
এমন নমনীয় আবহাওয়ায় যদিও অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে তারপরও ফল পাকানো ভ্যাপসা গরমে আমিও ফলের স্বাদ নেওয়ার জন্য নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বর্তমান পরিস্থিতির এই ভ্যাপসা গরমে সবাই সুমিষ্ট ফল খেয়ে এবং ফলের স্বাদ নিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখুন এই কামনা মহান আল্লাহতালার দরবারে করছি। আমিন
বন্ধুরা
বিশ্বের যে কোন মহাদেশে চাল কুমড়া সম্পর্কে বেশি কিছু বলার অবকাশ রাখেনা। কেননা চাল কুমড়া বিশ্বের সকল মহাদেশেই কম বেশি দেখা যায় এবং বর্তমান সময়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে।
চাল কুমড়া শুধু নানান পদের সবজি তৈরির জন্যই নহে এ থেকে আরও অনেক প্রকার মিষ্টান্ন দ্রব্যাদি তৈরি হয়ে থাকে।
তরকারি হিসেবে চাল কুমড়া ভাজী, ঝোল,স্যুপ সহ আরো নানান আইটেম তৈরি করা হইয়া থাকে।
বন্ধুরা
চাল কুমড়া ফলে ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করতে গিয়ে এর খাবার দাবার সম্পর্কে অনেক কথাই বলে ফেললাম।
এর শুদ্ধ বাংলা নাম চালকুমড়া হলেও আমাদের এলাকায় একে চাল কুমড়া, কুমড়া, পানি কুমড়া , চুন কুমড়া, সাদা কুমড়া, ইত্যাদি বলে ডেকে থাকে।
চাল কুমড়ার ইংরেজি নাম- White Gourd এবং বোটানিক্যাল নাম - Benincasa Hispida.
বন্ধুরা
পোস্টে প্রদর্শিত ফুলের ছবিগুলো, আমি আজ বিকালে আমার বাড়িতে লাগানো একটি গাছ থেকে আপনাদের উপহার দিতে আমার মোবাইল ক্যামেরায় মেঘলা আকাশের নিচে ধারণ করেছিলাম।
আগেকার দিনে গ্রামের প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে দু একটি করে চাল কুমড়া গাছ, ঘরের চালে উঠিয়ে লালন পালন করার চেষ্টা করা হতো।
নিচের দিকে যেসব কুমড়া ধরতো, তাকে কঁচি অবস্থায় খাওয়া হত এবং চালের উপরে যে ফল গুলো ধরতো, তা পেকে পেকে সাদা সাদা হয়ে চালের এক প্রকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতো। এজন্যই হয়ত একে চাল কুমড়া বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আজও আছে, তবে সেদিনের সেই খড়ের ছাউনির ঘর গুলো এখন আর তেমন দেখা যায় না। ঘরের ছাওনির পরিবর্তে এখন ছাদ ঢালাই ও টিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া হচ্ছে।
যাতে সহজে এসব গাছ আর উঠিয়ে দেওয়া যায় না ।তাই চাল কুমড়া ঘরের চালের উপর উঠার যে ঐতিহ্য, তা একপ্রকার হারিয়ে যেতে চলেছে।
এখনকার দিনে খড়এর ছাউনির স্থানটি সম্পূর্ণ দখল করেছে, আগের মতই বাঁশের মাচা এবং বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের দিকগুলো।
বন্ধুরা
এই ছিল আমার আজকের চাল কুমড়া ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু কথা।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।
সাথেই থাকুন ।ভালো থাকুন।
Enjoy With Love
Writer /Photographer | @mrnazrul |
---|---|
Camera | Handset |
Category | Photography ,Flower |
Edit | No Editing and Filtering |
Capture | One by One |
Location | Banglades |