Random Photography of Swarnlata/স্বর্ণলতা এর রেনডম ফটোগ্রাফি
Friday 03 March 2023.
জুম্মা মুবারক
মহান প্রভুর বৈচিত্র্যময় দান, পৃথিবী বাসীর কাছে এক অফুরন্ত ভান্ডার। জীবজন্তু ,গাছপালা সবই এই পৃথিবীতে সমান ভাবে বসবাস করে এবং সবাই পৃথিবীর সমান উপকারভোগী। এর মধ্যে দৃশ্যমান অদৃশ্যমান সব প্রাণীই এই উপকারের অংশীদার।
আমাদের ইসলাম ধর্মের মত, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ১৮ হাজার মাখলুকাত বা সৃষ্টি এই পৃথিবীতে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে আমরা হয়তো দু-চারটিরও খবর ভালভাবে জানিনা। শুধুই ধর্ম মতে বিশ্বাস অনুভব করি।
১৮০০০ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষ সবার নিয়ন্ত্রক ও সর্বোপকারভোগী । অন্যভাবে বলা যেতে পারে এই ১৭,৯ ০,০৯৯ টি সৃষ্টি মানুষের কল্যাণেই মহান আল্লাহতালা সৃষ্টি করেছেন।
সর্ব উপরকারভোগী মানুষ আমরা।এসব সৃষ্টি নানান ভাবে, নানান উপায়ে ,ব্যবহার করি এবং তা থেকে উপকার গ্রহণ করি। কোন কোন সৃষ্টি গুলোকে আমরা খাদ্য হিসেবে খেয়ে জীবনধারণ করি, আবার কোন কোন গুলোকে ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে থাকি, এসব গেল দৃশ্যমান প্রাণী বা বস্তুর কথা।
কিছু কিছু অদৃশ্যমান উপকারী জীবগুলোকে, আমরা নানান উপায়ে ধরে, বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে ,স্বাস্থ্যগত কাজে কিংবা অন্যান্য কোন উপকারী কাজে ব্যবহার করে থাকি।
এসব সৃষ্টি জমিনে, পানিতে এবং ভাসমান অবস্থায় বাতাসে অবস্থান করে। জমিনে দৃশ্যমান সৃষ্টিগুলো, আমরা মানুষ হিসাবে বেশি বেশি করে কাজে লাগিয়ে থাকি । পাশাপাশি পানিতে বসবাসকারী সৃষ্টিগুলো আমরা সমানভাবে ব্যবহার করে থাকি। সেই সাথে বাতাসে ভাসমান কিছু প্রাণীও আমরা নিজের কাজে নানান উপায়ে লাগিয়ে এবং ব্যবহার করে থাকি। এমনিভাবে জলস্থল, বায়বীয়, গ্যাসীয় ,ভাসমান অবস্থার সৃষ্টিগুলো একইভাবে মানুষের কল্যাণে নিহিত আছে।
বিশিষ্ট উদ্ভিদ তত্ত্ববিদ'দের মতে জানা যায় ,সকল "সৃষ্টি" সকল এলাকায় না থাকলেও বিশ্বজুড়ে কোথাও না কোথাও তা রয়েছে। তারমধ্যে প্রাণী ও গাছপালা গুলোর অবস্থান বেশিরভাগ মাটিতে ও জলে।
স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করলে ,যে এলাকায় যে সমস্ত গাছপালা ও প্রাণিকুল বেশি পাওয়া যায়, ধরে নেওয়া হয় এসব প্রাণী ও গাছপালা সে এলাকার মানুষ ও প্রাণীদের জন্য উপকারি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ভেষজ পণ্ডিত, ডক্টর কালীপ্রসন্ন রায় তার একটি বইয়ে লিখে গেছেন ,বাড়ির আশেপাশের গাছপালা ও প্রাণীগুলো ,সে এলাকার বসবাসযোগ্য মানুষের জন্য চিকিৎসা স্বরুপ।
বন্ধুরা
"সবাই কেমন আছেন?
আমি @mrnazrul আপনাদের সুপরিচিত একজন বাংলাদেশের বন্ধু, হিসাবে আপনাদেরকে সবসময় প্রকৃতির কিছু না কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি।
মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ থেকে সকর্ম করার তৌফিক দান করুন , আমিন। আপনারাও আমাদের জন্য দোয়া করবেন ,আমি যেন সব সময় আপনাদের পাশে থেকে মহান শ্রষ্টার উপহার, প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি উপহার দিতে পারি।
আজ আমি প্রকৃতির শোভাময় ব্যতিক্রমীধর্মী একটি অপ্রচলিত গাছ সম্পর্কে জানাতে, সেই গাছের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সাথে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।
আজকে আমার উপস্থাপিত বিষয় এলাকার সর্বজন পরিচিত এবং বিলুপ্তপ্রায় একটি উড়ন্ত গাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে।
স্বর্ণলতা এর ফটোগ্রাফি
হলদে-সোনালী রঙের স্বর্ণলতা আমরা সবাই না দেখলেও এর নামের সাথে সবাই মোটামুটি পরিচিত। স্বর্ণলতার এই গাছটিকে আমাদের এলাকায় "আলোক লতা" বলে ডেকে থাকে। তবে আশেপাশে অনেকেই একে শূন্য লতাও বলে ডাকে।
চিকন চিকন হলদে-সোনালী রঙের পাতাবিহীন এ লতা গুলো কে কেউ কেউ পরগাছাও বলে ডেকে থাকে। স্বর্ণলতা কোন গাছে কিভাবে উড়ে এসে বসে, তা হয়তো আমরা স্বচক্ষে কেউ দেখিনি। তবে অনুমান করি গাছের লতাটি প্রথমত কোথাও থেকে উড়ে এসে অন্য গাছের উপর বসবাস শুরু করে।
গাছের উপর প্রথমে একটি নির্জীব ছোট-বড়লতা দেখা গেলে, তা শাখা প্রশাখা ছাড়িয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই গাছটিকে ছেয়ে দিতে পারে। স্বর্ণলতায় কখনো কখনো লতার রঙ্গের ফুল ধরতে দেখা যায়। এ ফুলে বীজও হতে দেখা যায় ।ধরে নেওয়া হয় স্বর্ণলতা বীজ থেকেও বংশবিস্তার করতে পারে।
ঔষধি গুণে ভরপুর হলদে-সোনালী রঙ্গের লতার কারণে হয়তো গাছটির নাম "স্বর্ণলতা" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বর্ণলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। নিজে ঔষধি গুণে ভরপুর হলেও, যে গাছে অধিক স্বর্নলতা বংশবিস্তার করে, দেখা যায় কিছুদিন পরে গাছটির রস চুষে খেতে খেতে আশ্রয় নির্ভর গাছটিকে সমূলে ধ্বংস করে দেয় অর্থাৎ গাছটির অকাল মৃত্যু ডেকে আনে।
এলাকা ভেদে হলদে-সোনালী রঙের "স্বর্ণলতা"কে "আলোক লতা" ,"শূন্যলতা", "আসমানী লতা" ,ইত্যাদি বলা হয়ে থাকলেও, এর ইংরেজি নাম- "Quick Facts" আর বৈজ্ঞানিক নাম "Species." |
---|
ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে ,একে ভেষজ ঔষধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বর্ণলতায় রয়েছে, কফ নাশক, পিত্ত নাশক, রক্ত দুষ্টি নাশক, বায়ু নাশক, কৃমি নাশক ও ঘা পাচড়া নাশক উপাদান সমূহ।
কেহ কেহ স্বর্ণলতা এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া এর কথা বলতে গিয়া বলেছেন, "স্বর্ণলতা" একটি বিষাক্ত গাছ। ইহা ভক্ষণে তাৎক্ষণিক বমি বমি ভাব বা বমন হতে পারে ।কেহ কেহ প্রজনন ক্ষমতা ধ্বংসকারী এবং গর্ভপাতকারী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
"তবে বন্ধুরা ,কেউ কখনো স্বর্ণলতা ব্যবহার করতে চাইলে তা এ সম্পর্কিত ভালোভাবে জানা ব্যক্তিদের কাছ থেকে না জেনে, কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।*
বন্ধুরা
আজ এই ছিল আমার স্বর্ণলতা নিয়ে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি ও সামান্য উপস্থাপন।
আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
Writeen & Photography | mrnazrul |
---|---|
Captured | Handset |
Category | Nature Photography |
Location | Bangladesh |
আরে বাহ স্বর্ণলতা সম্পর্কে আপনি তো বেশ বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে যেটা আমার আগে জানা ছিল না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে আমি অনেক কিছুই জানতে পারলাম, এই স্বর্ণলতার ব্যাপারে।
তবে আমি শুনেছি এর বেশ কিছু গুণ রয়েছে আয়ুর্বেদিক হিসেবে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটা লতা। তবে আপনার পোস্ট করে বিস্তারিত বুঝতে পারলাম, আসলে এটা আমাদের কি উপকার করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এত সুন্দর করে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে এই স্বর্ণলতার উপকারিতা, এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
না জানলেও কিছু কিছু বিষয় ,নতুন করে জানার চেষ্টা করলে, কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হতে পারে। তাই পড়ে, বুঝে লেখার চেষ্টা করছিলাম। ভালো হোক মন্দ হোক লিখে পোস্ট করতে পেরেছি ।এটাই আমার কাছে অনেক পাওনা। সুচিন্তিত মতামতের জন্য প্রশংসা পেতেই পারো। উপস্থাপনার ভঙ্গিটা মোটেই খারাপ ছিল না। আবার আসতে স্বাগতম।
এই গাছটি আমি অনেকদিন যাবত দেখিনা। বাট ছোটবেলায় অনেক দেখেছি। এবং এসব দিয়ে খেলেছি।দেখতে সত্যিই স্বর্ণের মত লাগে। উজ্জ্বলতায় ভরপুর। অনেক ভালো লাগলো, এরকম একটা পোস্ট দেখে। ভালো থাকবেন।
আসলে আগের চেয়ে অনেক কম দেখা যায়। কম দেখা যাওয়ার আরো মূল কারণ হলো আশ্রয় নির্ভর গাছের অভাব। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।