দূর্গা প্রতিমা রং
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
লিংক
হিন্দুদের দুর্গাপূজা সব থেকে বড় উৎসব। দিন গুনতে গুনতে দুর্গাপুজো বলতে গেলে চলে এসেছে। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। চারিদিকে মা দুর্গার আগমনে সেজে উঠেছে। শরতের আকাশে মেঘ ঝলমল করছে।গাছে গাছে ফুটছে শিউলি ফুল। রাস্তার দুই ধারে কাশ ফুল গুলো মাথা দোলাচ্ছে। এই সবকিছু দেখেই মনে হচ্ছে মা দূর্গা আসতে। আর বেশি দেরি নেই। আপনারা সকলেই জানেন। আমরা কিছুদিন আগেই মা দুর্গার মূর্তি বায়না দিতে গিয়েছিলাম। যেহেতু পুজোর আর বেশি দেরি নেই ।
তাই আবার ও আমি আর আমার বর দুজনে মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম মা দুর্গার মূর্তিগুলো দেখার জন্য।
সামনেই দেবী পক্ষের আগমন। আর কিছুদিন পরেই দেখা যাবে প্রত্যেকটা মন্ডপে মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা। শরতের আগমনে চারিদিকে রং ঝলমল করছে। সব জায়গায় প্যান্ডেল করা শুরু হয়ে গেছে।বছরের এই একটা সময়ের জন্য আমরা প্রত্যেকেই অপেক্ষা করে থাকি। কৃষ্ণনগরে প্রত্যেকটা পালদের কারখানায় জোরকদমে প্রতিমা তৈরি শেষ করে রঙের কাজ চলছে। যারা মাটির কাজ করে তাদের এখন কোন কিছু দিকে তাকানোর সময় নেই। আমরা যে শিল্পীর কাছে গিয়েছিলাম তার নাম সুরজিৎ পাল। এছাড়া কৃষ্ণনগরে আরো নামকরা শিল্পীরা রয়েছে। তার কারখানায় ঢুকতেই দেখি সমস্ত ঠাকুর রং করা শুরু হয়ে গেছে। যিনি শিল্পী তিনি তার কর্মচারীরা এমনকি তার স্ত্রী প্রত্যেকেই হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছে। প্রথমে ঠাকুর দেখতে ঢুকে তো আমার চোখ জুড়িয়ে গিয়েছিল। আসলে শিল্পীর হাতের কাজ দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবারই কথা।
এই রকম ভাবে কোনদিনই কোন কারখানায় গিয়ে দুর্গা প্রতিমা রং করা আমি দেখিনি। হয়তো প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমা দেখতে বেরিয়েছি। শিল্পীরা কেউ কেউ মা দুর্গার শাড়ির পাড় আঁকতে ব্যস্ত ।আবার কেউ কেউ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত। আবার কিছু প্রতিমা এখনো মাটির রয়েছে। কৃষ্ণনগরে প্রত্যেকটা শিল্পীরই নিখুঁত হাতের কাজ। শুধু কি মা দুর্গা আসছেন। তার সাথে তার ছেলে, মেয়ে এমন কি প্রত্যেকের বাহনেরা ও সাথে আসবেন। মা দুর্গার শাড়ির আঁকা গুলো অপূর্ব লাগছিল। আমরা যে প্রতিমা টি বায়না দিয়েছিলাম ।সেই প্রতিমা টার ও রঙ হয়ে গেছে। একেকটা প্রতিমা একেক রকম দেখতে।
কিছুদিন আগেই বর্ষা গেল শিল্পীদের কাজ করতে খুবই অসুবিধা হয়েছে। আমরা যাওয়া মাত্রই আমাদের বলছিল। কারণ বৃষ্টি হলে মাটির পুতুলগুলো শুকাতে খুবই অসুবিধা হয়। এছাড়াও বড় বড় ঠাকুর সেগুলো রোদ না উঠলে শুকানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। বড় বড় প্রতিমা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও অন্যান্য প্রতিমার ও চক্ষুদান এখনো করা হয়নি। মহালয়ার পরেই দেবি পক্ষের সূচনা হবে। আর মা দুর্গার চক্ষুদান পর্ব শুরু হবে। চোখ আঁকা ছাড়া ও প্রতিমা গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছিল। পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন হলে আবার আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। কিছু ছবি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।আমি দুর্গা প্রতিমা দেখতে গিয়ে, কিছু ভিডিও করেছিলাম। সেই ভিডিও লিংক দেওয়া থাকলো ।আপনারা চাইলে লিংক এর মাধ্যমে প্রতিমা গুলি দর্শন করতে পারেন।
আজ এখানেই শেষ করছি আশা করছি সকলেই যে ভালো লাগবে পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে আবার হাজির হব আপনাদের মাঝে।