মেলা

in Incredible India5 days ago

আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি ভালো লাগবে।

কৃষ্ণনগরে দিন দিন মেলার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে আমার পোস্টে আপনারা নিশ্চয়ই পড়েছেন রথযাত্রার মেলার গল্প। রথযাত্রা উপলক্ষে কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজের মাঠে ৭ দিন ধরে মেলা চলছে। মেলার এক বিরাট আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রথমবার মেলাটি শুরু করা হলো। নবদ্বীপের মায়াপুর থেকে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

IMG20240714194725.jpg

যেহেতু বাড়ি থেকে অনেকটাই দূর তাই একা যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আগের সপ্তাহে মামাকে বলেছিলাম মেলা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মামা বলেছিল অন্য একদিন নিয়ে যাব । এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই প্রত্যেক দিন বিকেল বেলাতেই বৃষ্টি হচ্ছে। আজকেও বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ।ভেবেছিলাম যেতে পারব না। কিন্তু সন্ধ্যের আগেই বৃষ্টি কমে গেল। তাই আমি, মামা আর বোন মিলে বেরিয়ে বলেছিলাম মেলা দেখার উদ্দেশ্যে।

IMG20240714195203.jpg

আমার মতো বোন ও মেলা দেখতে খুব পছন্দ করে। আমাদের বাড়ি থেকে দশ মিনিট মত সময় লাগে মেলায় যেতে। ভেবেছিলাম প্রথমবার মেলা হয়তো ভিড় হবে না কিন্তু মেলায় যেতে দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। গেটে টুনি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে কালি পূজা চলে এসেছে। ভিতরে ঢুকে দেখলাম মেলায় প্রচন্ড ভিড়ও হয়েছিল।মেলাটা বেশ জাঁকজমক ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল না। এই প্রথম বার মেলা বসেছে।মায়াপুর ইসকন থেকে জগন্নাথ দেবকে আনা হয়েছে। সাথে আছেন বলরাম আর সুভদ্রা।বেশ বড় করে কাপড়ের প্যান্ডেল করা হয়েছে। জগন্নাথ দেব কে দেখতে বহু ভক্তের ভিড় হয়েছে ।আমরাও জগন্নাথ ,বলরাম, সুভদ্রা কে দর্শন করলাম।

IMG20240714195032.jpg

মেলাতে রয়েছে এক বিশাল রথ।রথটাকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে উল্টো রথ যাত্রার জন্য।এর আগে ও সাজানো ছিল। ফুল গুলো শুকিয়ে গেছে।

IMG20240714195409.jpg

সন্ধ্যা বেলায় কীর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা যখন গিয়েছিলাম কীর্তন শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই নাচছে কীর্তনের তালে তালে। আমরা খানিকক্ষণ কীর্তন শুনে মেলায় চারিদিকে ঘুরে দেখলাম। মেলাতে অনেক খেলার দোকান ও বসেছে। আবার অনেক নাগরদোলা ও বসেছে। সব থেকে একটা ভালো জিনিস চোখে পড়ল। একজন গাছ নিয়ে বসেছে বিক্রি করার জন্য। সচরাচর মেলাতে গাছ বিক্রি করতে দেখা যায় না ।

IMG20240714195011.jpg

মেলা থেকে বেরোনোর সময় চোখে পড়ল খেলনার দোকান। বোন নেবার জন্য বায়না করছিল। কিন্তু ওর অনেক খেলা আছে বলে নেওয়া হয়নি। এইসব খেলনা গুলো এখন আর দেখাই যায় না। এই খেলনা গুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোটবেলায় ওই খেলনা গুলো নিয়ে খেলতাম।আমরা মেলা থেকে তেমন কিছু খাইনি। কারণ প্রত্যেক টা দোকানে খুব ভিড়।তিনজনে একটা করে আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে বাড়ি চলে আসলাম।

IMG20240714200436.jpg


আজ এই পর্যন্তই থাক আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আবার পরবর্তী কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Sort:  
Loading...

মেলার সময় অনেক আনন্দ হয়, মেলা থেকে আমরা অনেক কিছু কিনতে পারি, বাচ্চারা মেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা কিনে থাকে, আমাদের এলাকায় মেলায় মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য বেশি ওঠে, বড় মেলাগুলোতে কাঠের ফার্নিচার অনেক বেশি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

ছোটবেলা অনেক মেলাতে যাওয়া হয়েছে এখন বড় হয়ে যাওয়াই এতটা মেলাতে যাওয়া হয় নাই। মেলায় যেতে কান্না পছন্দ হয় কত আনন্দ হয়। সবাই একসাথে আনন্দ করাটা অনেক মজাদার বিষয়। মেলা যদি থাকে তাহলে প্রতিটা দোকানে অনেক ভিড় থাকে কোন দোকানে ভালোভাবে দাঁড়ানো বা যাওয়া যায় না আর তিনজন মিলে তিনটি আইসক্রিম নিয়ে খেতে খেতে বাড়িতে চলে আসলেন এটি মজাদার একটি বিষয়। ধন্যবাদ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন

 4 days ago 

আপনার মেলায় যাওয়া গল্প করে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক আনন্দ করেছেন এবং সন্ধ্যার সময় কাটিয়েছে আপনার।
পোস্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল একবার বৈশাখ মাসে আমি আমার বাবার সাথে মেলায় গিয়েছিলাম। এবং অনেক আনন্দ করেছি।

 8 hours ago 

বাংলাদেশে বৈশাখী মেলায় অনেক গিয়েছি সেখানে বিভিন্ন রকম মাগির পুতুল ,পাখি ,হাড়ি ইত্যাদি পাওয়া যেত। আপনার মেলায় যাবার গল্পটা পড়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে।

যাই হোক মেলায় যাওয়ার পরে মেলার বিভিন্ন প্রেক্ষাপট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67383.45
ETH 3525.45
USDT 1.00
SBD 2.70