চকলেট আইসক্রিম রেসিপি
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন ।সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি ।সুস্থ আছি। আগের দিন আমি আমের আইসক্রিমের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি চকলেট আইসক্রিমের রেসিপি শেয়ার করবো।
আইসক্রিম খেতে ছোট থেকে বড় সবাই খুব ভালোবাসে। তবে আইসক্রিমটি যদি বাড়িতে তৈরি করা হয়। সেটি খেতে আরো সুস্বাদু লাগে। আগের দিন আমি আমের আইসক্রিম বানিয়ে ছিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আগের দিন আমি আমের আইসক্রিম প্রথমবার বানিয়েছিলাম। তাই অল্প করে বানিয়েছিলাম ।কিন্তু চকলেট আইসক্রিম আমি বেশ অনেকটাই বানিয়ে ছিলাম।
কারণ আইসক্রিম ফ্রিজে তৈরি করে রাখলে যখন তখন নিয়ে খাওয়া যায়। বাড়িতে কোন অতিথি আসলে তাদেরও দেওয়া যায়। বাইরে যা সূর্যের তাপ। এই গরমে একটু ঠাণ্ডা জিনিস খেতে বেশি ভালো লাগে। আর চকলেট খেতে বাচ্চারা বেশি ভালোবাসে। আমার বোন তো চকলেট আইসক্রিম খেতে খুব পছন্দ করে। চলুন তাহলে শুরু করি চকলেট আইসক্রিম রেসিপিটি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | দুধ | ১ লিটার |
২ | চিনি | ২ কাপ |
৩ | অরিও বিস্কুট | ২ প্যাকেট |
৪ | ডেয়ারি মিল্ক | ২ প্যাকেট |
৫ | কাজুবাদাম | ৩০ গ্ৰাম |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি দুধটাকে গ্যাসে ভালো করে গরম করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
দুধ ভালো করে গরম করে নেওয়ার সময় গুড়ো আমুল দুধ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
আমুল দুধ দেওয়ার পর দুধের মধ্যে আমি চিনি দিয়ে ভালো করে দুধটাকে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। দুধটা যখন ঘন হয়ে আসবে তখন গ্যাস থেকে নামিয়ে রাখতে হবে ।ঠান্ডা করার জন্য।
চতুর্থ ধাপ
এরপর আমি মিক্সচারের মধ্যে বিস্কুট গুলো ( অরিও)ভেঙে ভেঙে দিয়েছি। বিস্কুটের মধ্যেই কাজুবাদাম আর চকলেট (ডেয়ারি মিল্ক)দিয়ে ২-৩(ছোট হাতা)মতো দুধ দিয়ে ওগুলো পেস্ট করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এরপর বাকি দুধের মধ্যে পেস্ট করা জিনিসগুলো একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর আইসক্রিম করা পাত্রের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। আপনারা চাইলে প্লাস্টিকের বাটি কিংবা চায়ের কাপে ঢেলে দিতে পারেন। আমি আইসক্রিম করার এই পাত্রটি মেলা থেকে কিনেছিলাম।
সপ্তম ধাপ
এরপর ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন ফ্রিজ থেকে বের করলেই তৈরি হয়ে যাবে চকলেট আইসক্রিম।
আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করেছিলাম চকলেট আইসক্রিম। বিশেষ কিছু উপাদান আমি ব্যবহার করিনি। খেতেও কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছিল। আর আইসক্রিমটা খুব সুন্দর জমে ছিল। আমি তো এইরকম আইসক্রিম বানিয়ে মাঝেমধ্যে ফ্রিজে রেখে দিয়। আমার যখন ইচ্ছা হয় তখনই আমি বের করে খাই। বাড়িতে বানানো জিনিসের আলাদা একটা মর্যাদা রয়েছে ।কারণ বাইরে যে আইসক্রিম গুলো বানানো হয় ।সেগুলোতে অনেক কিছু কেমিক্যাল জাতীয় জিনিস দেওয়া হয়। সেগুলো বাচ্চাদের খাওয়া শরীরের পক্ষে একদমই ঠিক নয়। অনেক সময় শোনা যায় আইসক্রিম খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি বাইরের জিনিস খেতে একদমই পছন্দ করি না।
পাড়ায় অনেক আইসক্রিম ওয়ালা আইসক্রিম বিক্রি করতে আসে।তাদের কাছে আইসক্রিম কিনতে গেলেই দেখা যায়। তারা অন্য কোম্পানির নাম নিয়ে অন্য আইসক্রিম বিক্রি করছে। সেগুলো খেয়ে বোঝা যায় সেগুলি ওই কোম্পানির আইসক্রিম নয়। মানুষকে যে কত ভাবে ঠকায় তার ঠিক নেই। এইদিন মেলায় গিয়ে দেখলাম বোন আইসক্রিম খেতে বায়না করল। আইসক্রিমের গায়ে একই স্টিকার লাগানো ।কিন্তু আইসক্রিমটা ওই কোম্পানির নয়। বোন আইসক্রিম খেয়ে বলল দিদি আইসক্রিমটা একদমই বাজে। আবার দামটাও অনেকটাই বেশি নিয়েছিল। আজ এই পর্যন্তই থাক। পরের পোস্টে আবার অন্য কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হবো।
গরমের দিনে আমরা সাধারণত বাজার থেকে আইসক্রিম কিনে খাই। কিন্তু বাসায়ও যে এত সহজ উপায়ে সুন্দর করে আইসক্রিম বানানো যায় তা হয়তো অনেকে আমরা জানি না অথবা জানলেও কষ্টের জন্য করতে চাই না। বাজারের আইসক্রিম কোথা থেকে আসছে সে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা থাকেনা। কিন্তু নিজে নিজে আইসক্রিম বানালে সেটার যেরকম স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেরকম নিজের ইচ্ছামতন মিষ্টি কম বেশি করা যায়।আপনি স্টেপ বাই স্টেপ অনেক সুন্দর করে চকলেট আইসক্রিম বানানোর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বাড়িতে বানিয়ে দেখবেন। আমি মনে করি আপনিও বানালে খুব সহজেই বানাতে পারবেন ।কোন কষ্ট হবে না। আপনি ঠিকই বলেছেন বাড়িতে আইসক্রিম বানালে ইচ্ছামতন মিষ্টি কম দেখি দেওয়াই যায়। পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত উপভোগ করে যখন এমন পছন্দের জিনিস দেখতে পায় আপনাদের মাঝে। জানিনা কে কেমন আইসক্রিম খেতে পছন্দ করে তবে আমি কিন্তু আজকের অনেক অনেক বেশি পছন্দ করি। এবং আজকে আপনার চকলেট আইসক্রিমের পদ্ধতি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। এবং আপনার ধারণ করা ছবিগুলো আমি অনেক উপভোগ করেছি।
আমি আপনার মত আইসক্রিম খেতে ভীষণ পছন্দ করি। রাস্তায় বেরোলে শুধু একটা করে আইসক্রিম খাই। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই এই গরমে আমরা সবাই আইসক্রিম খেতে অনেক পছন্দ করি। তবে কম বেশি অনেকে বাইরে থেকেই কিনে খাই। কিন্তু এভাবে বাড়িতে কেউ চকলেট আইসক্রিম বানাতে পারেনা। তবে আমার কাছে মনে হয় বাইরের আইসক্রিম কিনে খাওয়ার থেকে, বাড়ির বানানো আইসক্রিমের স্বাদ অনেক বেশি। আপনি যেভাবে চকলেট আইসক্রিম বানিয়েছেন দেখেই লোভ লেগে যাচ্ছে।
এরকম চকলেট আইসক্রিম বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন বাইরে যেমন গরম সবাই ঠান্ডা জিনিস খেতেই বেশি পছন্দ করবে। কম বেশি আমরা সকলেই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় বাইরে কিনে খাওয়ার থেকে ঘরে বানানো আইসক্রিম খাওয়া অনেক বেশি ভালো। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার চকলেট আইসক্রিম রেসিপি টা অনেক সুন্দর ছিল। এবং আপনার এই রেসিপি দেখে আমার জিভে পানি চলে আসছে মনে হচ্ছে যে এখনই আপনার ওখানে চলে আসে চকলেট আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টে পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করব আরো ভালো ভালো রেসিপি আপনাদের কাছে শেয়ার করার।
আপনার চকলেট আইসক্রিম রেসিপিটি অনেক সুন্দর লাগলো।প্রতিটি ধাপের সুন্দর ব্যাখ্যা আর প্রতিটি উপাদানের পরিমাণ যথোপযুক্তভাবে উল্লেখ করেছেন। এতে করে আমাদের এই রেসিপিটি শেখা সহজ হয়েছে।আসলে আমাদের এলাকায় যেসকল আইসক্রিম আলা আসে তারা মানুষকে নানানভাবে বোকা বানায়।
আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সব এলাকায় আইসক্রিম ওয়ালারা অন্য আইসক্রিমের নাম করে আমাদের ঠকায় ।আমাদের বাড়িতে বানিয়ে সব জিনিস খাওয়া উচিত।
বেশ দারুণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই গরমে প্রশান্তির জন্য সকলেই আইসক্রিম পছন্দ করে ।আর চকলেট আইসক্রিম হলে তো কথাই নেই ,তার সাথে নিজের বাড়িতে তৈরি করা ।
আজকে আপনি আইসক্রিমের রেসিপিটি আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ।প্রতিটি উপকরণ আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন এবং এই আইসক্রিম তৈরির জন্য আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে ছবি এবং লিখে প্রকাশ করেছেন ।
আইসক্রিমের ট্রেতে ঢেলে নেওয়ার পরে হালকা ঝাকিয়ে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখলে আইসক্রিম গুলোর ভিতরে ফাকা ভাবটা থাকতো না । আপনার আইসক্রিম দেখতে আরো সুন্দর হতো ।
আপনার রেসিপি দেখে আমারও ইচ্ছে করছে বাসায় তৈরি করি। আইসক্রিম গুলো খুবই লোভনীয় হয়েছে। আইসক্রিম ভালোবাসা না এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। নতুন কোন রেসিপি পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন চকলেট ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই পছন্দ করে। বাড়িতে বানাবেন নিশ্চয়ই ভালো হবে। চেষ্টা করব আরো তাড়াতাড়ি নতুন রেসিপি দেওয়ার ।
বাহ দারুন তো এত সহজেও আইসক্রিম বানানো যায় সেটা জানতাম না। গরমের দিনে আইসক্রিম যেন এক টুকরা শান্তি। আজ আপনি আমাদের সাথে চকলেট আইসক্রিম বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করেছেন, এবং বলতেই হবে যে আপনার উপস্থাপনাটা বরাবরের মতো সুন্দর হয়েছে। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্টটি পড়ে এতো ভালো কমেন্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আইসক্রিম খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। বিশেষ করে এই গরমের সময় আইসক্রিম খেলে মন প্রান সব জুড়িয়ে যায়। আপনি আজকে আমাদের সাথে চকলেট আইসক্রিম বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করেছেন।
এই চকলেট আইসক্রিম বানানোর পদ্ধতি খুব সহজভাবে আপনি ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন।
আপনার আইসক্রিম দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। তবে আমার মনে হয় যখন আপনি প্লাস্টিকের ছাচে আইসক্রিম এর লিকুইডটা ঢুকিয়েছিলন তখন আরেকটু ঝাকিয়ে নিয়ে ঢুকালে আপনার আইসক্রিমটা দেখতে।
দেখতে আরেকটু সুন্দর হতো।
আপনার আইসক্রিম এর এই রেসেপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আইসক্রিম খেতে আমরা প্রত্যেকেই ভালোবাসি। আইসক্রিমটা আমি ঠিক ভাবেই ঢুকিয়েছিলাম। ফ্রিজ থেকে বের করে অনেকক্ষণ জলে ডুবিয়ে রেখেছিলাম তাই কয়েকটা ঐরকম দেখতে হয়ে গেছে। জলে ডুবিয়ে মনে ছিল না। পরেরবার চেষ্টা করব আরো ভালো করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার। পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।