হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়া
আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। সুস্থ আছি ।আজকে আমি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
হঠাৎ করে ঘুরতে যেতে সবার ভালো লাগে। কিন্তু বাড়িতে যদি কোন কাজ না থাকে তবেই। যেহেতু আমাদের সংসার আছে। সংসারে অনেক কাজকর্ম থাকে ।অনেক সময় কাজকর্মের জন্য কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠে না। সেদিন ছিল শনিবার। আমার শাশুড়ি মা বাড়ি ছিলেন না। আমরা শনিবারে নিরামিষ খাই ।শাশুড়ি বাড়ি না থাকায় সেদিনকে রান্না করেছিলাম মাংস, ভাত। কারণ মা , বোন দুজনেই আমাদের বাড়িতে ছিল।আর শ্বশুর জোর করলো মাংস রান্না করার জন্য। রান্নাবান্না শেষে আমি ঈশাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম একটা দরকারে। যাও মাত্রই দেখি ঈশার বাবা ভাত খাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর বেরোবে উনি উত্তর প্রদেশে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম কাকা তুমি কখন বেরোবে? আমার জিজ্ঞাসা করা মাত্রই কাকা বলল আমার শরীরটা ভালো লাগছে না ।গরমে ট্রেনে যেতে পারবো না। কিন্তু কাকার ট্রেনে যাবার কথা ছিল।
সত্যি সেই সময়টা প্রচন্ড গরম পড়ছিল। কাকা বলা মাত্রই ঈশা গাড়ির জন্য ফোন করে। কিন্তু ওই গাড়িটা পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ঈশা নিজেদের গাড়িটাই নিয়ে যাওয়ার কথা বলল। তখন কাকা বলল তুই আর মৌসুমী চল আমাকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসবি। প্রথমে কাকিমা বারণ করছিল ।রাজি হচ্ছিল না ।যাই হোক আমি বলার পর রাজি হল। কিন্তু তখনও আমার সব কাজ হয়নি। বাড়িতে সেদিন কে মা বোন দুজনেই ছিল ।দুপুরের খাবারটাও খাওয়া হয়নি। যাই হোক আধঘন্টা পর বেরোবে বাড়িতে এসে হুটো পাটা করে আমি, মা, বোন ,শশুর সবাই মিলে খেয়ে নিলাম। খেয়ে তাড়াতাড়ি করে সব গুছিয়ে নিয়েছিলাম।আবার রেডি হতে হবে তাতে আবার প্রচন্ড গরম। তাড়াতাড়ি করে কোন রকমের রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। যেহেতু বোন আমার বাড়িতেই ছিল ।তাই সাথে করে বোনকেও নিয়ে গিয়েছিলাম ।আমার মত ও কোনদিন এয়ারপোর্টে যায়নি।
আসলে আমি কোথাও গেলে শশুর কিংবা শাশুড়ি কেউই বারণ করে না ।তাও হুটো পাটা করে খেয়ে বেরোনো খুবই কষ্ট হচ্ছিল ।গাড়িতে যেহেতু এ সি ছিল ।তাই অতটা কষ্ট হচ্ছিল না ।কিন্তু ভাত খেয়ে উঠে বেরিয়ে পড়েছি। শরীরের ভেতরে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। রাস্তায় বেরিয়ে দেখি রাস্তাগুলো সত্যিই খুব ভালো হয়ে গেছে ।কারণ আমরা এক বছর আগে ওই রাস্তা দিয়ে পিসির বাড়ি গিয়েছিলাম ।পিসির বাড়ি যেতে গিয়ে রাস্তায় প্রচন্ড জ্যামে আটকে পড়েছিলাম। সেই তুলনায় আমরা সেই দিন খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি রাস্তায় যেতে যেতে চারিদিকে প্রকৃতিকেই দেখতে দেখতে যাই। যাবার সময় দেখলাম কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে জল জমে রয়েছে ।
সেদিন তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার রাস্তা ।আমরা পৌনে দু ঘন্টায় পৌঁছে গিয়েছি। যাবার পর ঈশার বাবাকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিলাম । তারপর আমরা দু পাঁচ মিনিট একটু এয়ারপোর্টের সামনে ঘুরে দেখলাম। আসলে আমি কোনদিন এয়ারপোর্টে যাইনি। এয়ারপোর্ট এর ভিতর তো ঢুকতে দেয় না। তাই বাইরে থেকেই দেখলাম।সামনে বেশিক্ষণ গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেয় না ।তাই বেশি আর ঘুরে দেখতে পারলাম না ।আবার গাড়িতে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । আজ এই পর্যন্তই থাক ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আবার নতুন কোন পোস্ট নেই হাজির হব।
এভাবেই যদি হঠাৎ করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায়। তাহলে কিন্তু অন্যরকম একটা আনন্দ পাওয়া যায়। যেহেতু আপনার শাশুড়ি মা বাড়িতে ছিল না। আপনার বোন আপনাদের বাড়িতে ছিল। তাই আপনারা ঘুরতে বের হয়েছেন। ইশা দিদির সাথে আপনি দেখি প্রায় সময় ঘোরাঘুরি করেন। আসলে ঘোরাঘুরি করলে মন মানসিকতা ভালো থাকে এবং যেকোনো কাজ করতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। আমার মা, বোন দুজনেই আমাদের বাড়িতে ছিল। আমি বেশিরভাগ জায়গায় ঈশার যায়। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এমনিতেই তো পরিবারের সবাই যখন একসাথে থাকে, তখন অন্যরকম একটা আনন্দ হয়। আপনার মা এবং আপনার বোন আপনার বাসায় ছিল। তার মধ্যে আপনি হঠাৎ করে এয়ার পোর্টে ঘুরতে গিয়েছেন। আনন্দের উপর মহা আনন্দ বলা যেতে পারে। সেই দিনটা নিশ্চয়ই আপনার বেশ ভালো কেটেছে ধন্যবাদ।
হঠাৎ করে কোথাও ঘুরতে গেলে অন্যরকম একটি মজা হয়। ঠিক বলেছেন গরমের কারণে ট্রেনে যাতায়াত করাটা এখন মুশকিল হয়ে পড়ছে। আমরা যারা রাস্তায় চলাচল করি জ্যাম
সাথে সবাই পরিচিত।
আর যারা সাংসারিক সংসার নিয়ে ব্যস্ত আছে তাদেরকে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। তারা হুটহাট করে কোথাও যাওয়া চলে না।
আপনি প্রথম এয়ারপোর্টে গিয়েছেন আপনার আনন্দটাই অনেক, এয়ারপোর্ট এর ভিতরে ঢোকা যায় যে জাতটি বা প্যাসেঞ্জার থাকে শুধু তারাই ঢুকতে পারে।
আপনার প্রতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনি ঠিকই বলেছেন যে ফ্লাইটে যাবে শুধু সেই এয়ারপোর্টের ভিতরে ঢুকতে পারবে। এটা আমি ও জানি। প্রথম বার এয়ারপোর্ট গিয়ে সত্যিই খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
আজ আপনি হঠাৎ করে ঘুরতে গিয়েছেন নিজেও জানতেন না যাওয়া হবে কিনা।
গিয়েছিলেন এই ইশা দিদি বাড়িতে একটা দরকারি কাজে আর সেখানে গিয়ে ঠিক হলো ইশা দিদি বাবা উত্তর প্রদেশে যাবে এবং তাকে এয়ারপোর্টে এগিয়ে দেয়ার জন্য।
তবে হুট করে গেল সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপনি এবং বাহিরের প্রাকৃত সৌন্দর্য টাকে উপভোগ করেছেন ধন্যবাদ।
আমার কাছে তো মনে হয় আগে থেকে প্লান করে ঘুরতে যাওয়ার থেকে। হুট করে কোথাও যাওয়ার আনন্দ সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। আপনাদের বাসায় আপনার বোন এবং মা ও ছিল। তাই ঘুরতে যাওয়ার সময় আপনার বোন কেউ সাথে নিয়ে গেছেন। তবে হ্যাঁ! খাওয়া করার সাথে সাথেই বাইরে বের হলেই বা হাটাহাটি করলে কেন জানি একটু অস্বস্তি লাগে। সত্যি বর্তমানে গরমের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়।
ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে হঠাৎ করে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার মজাটা অন্যরকম কিন্তু আপনি যে জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন সে কাজটি আপনি করতে পারেন নাই।
আসলে মানুষ এয়ারপোর্টে ঘুরতে যায় কিসের জন্য এয়ারপোর্টে অনেক বেশি মানুষজন থাকে এবং এয়ারপোর্টে সৌন্দর্যটা অনেক সুন্দর লাগে। তার চেয়েও বড় কথা হলো এয়ারপোর্টের নিজের চোখের ফুলের কাছ থেকে বিমান দেখা যায় তাহলে তার মজাটা অন্যরকম।
যাইহোক আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।