নদীতে কুমিরের গল্প
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই একটা নদী আছে। নদীটির নাম জলঙ্গি নদী। বাড়ি থেকে যেতে ৫ থেকে ৭ মিনিট লাগে। জলঙ্গি নদী আবার গঙ্গা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ছোটবেলায় অনেক কুমিরের গল্প শুনেছি । ছোটবেলায় মাঝে মধ্যে শুনতাম যে নদীতে নাকি কুমির এসেছে। কিন্তু তখন সবাই গুজব ছড়াতো। বেশিরভাগ বর্ষাকালে এইসব গুজব রটতো। কিন্তু এ বছরে বেশ কিছুদিন ধরেই শুনতে পাচ্ছি নদীতে নাকি কুমির এসেছে।
আমাদের পাড়ার প্রায় প্রত্যেকেই নদীতে স্নান করতে যায়। এছাড়া আমার মামারা ও নদীতে স্নান করতে যাই। কিন্তু কুমির এসেছে শুনে ভয়ে কেউ আর স্নান করতে যায় না। দুদিন আগেই শুনতে পেলাম কুমির নাকি নদীর ওপারে ডাঙ্গায় শুয়ে ছিল। যারা নদীতে মাছ ধরে তারা প্রথমে দেখতে পেয়েছিল কুমির টিকে। কুমিরটি দেখতে অনেক মানুষের ভিড় হয়েছিল। আমার বড় মামা, মামার মেয়ে গিয়েছিল দেখতে। কিন্তু ওরা দেখতে পায়নি। পরের দিন শুনতে পেলাম মুর্শিদাবাদ বন দপ্তর থেকে কুমির ধরতে এসেছে। সাথে অনেক পুলিশ।কিন্তু আমাদের বাড়ির পাশে নদী থেকে অনেকটা দূরে চলে গেছে কুমিরটি। আমার যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু খুব ইচ্ছে করছিল যাবার জন্য।
প্রায় অনেকক্ষণ ধরেই কুমিরের সন্ধান চলছিল। একটা জালের সাহায্যে কুমিরটিকে প্রথমে একপাশে এনেছিল।কুমির ধরতে বেশ অনেকক্ষণ সময় লেগেছে। কুমিরটি আকারে বিশাল বড়। আমি সামনে থেকে দেখিনি অনেকে লাইভ করেছে ।আমি সেখান থেকেই কুমিরের ছবি দেখেছি। কুমির দেখার জন্য প্রায় অনেক মানুষের ভিড় জমেছিল। ছোট থেকে বড় কেউ প্রত্যেকে কুমির দেখতে গিয়েছিল।বন দপ্তরের লোকেরা এসে কুমিরটিকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাসের সাহায্যে গাড়ি করে নিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু মানুষের মনে এখনো আতঙ্ক রয়েছে। নদীতে স্নান করতে যেতে সবাই ভয় পাচ্ছে। এখনো শোনা যাচ্ছে নদীতে আরো কুমির রয়েছে। সবেমাত্র একটা ধরা পড়েছে। বর্ষার সময় নদীতে অনেকটা জল বেড়েছে। নদীর জল এখন ঘোলা। তাই কুমির আসলেও বোঝা যাবে না। নদীতে বাঁশের ব্যারিকেট করে দেওয়া হয়েছে। যারা প্রতিদিন নদীতে স্নান করতে যাই তাদের জন্য। নদীতে স্নান না করতে যাওয়ায় পাড়ার মানুষের অনেক অসুবিধাই রয়েছে। সবসময় পাড়ার মানুষের কাছে কুমিরের গল্প।
এর আগে ১৯৬২ সালে এই নদীতে একবার কুমির ধরা পড়েছিল। তখন কুমিরটিকে দুইজন শিকারি মিলে ধরেছিল। কমিটি আট দিন মতো বেঁচে ছিল তখন কমিটি কোন বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি নিজেদের বাড়িতে রেখে দিয়েছিল। কুমিরটি মারা যাওয়ার পর কুমিরের মাংস সবার মধ্যে বিলি করে দিয়েছিল। এই ঘটনাটা একদম সত্য ঘটনা। ঘটনাটা আমার জন্মের অনেক আগে।কারণ কুমিরের হাড় গুলো ওনার বাড়িতে এখনো রয়েছে। উনি অনেক পশু,পাখি শিকার করতেন। আমি বড়ো উনাদের বাড়ি দেখেছি অনেক পশুর হাড় রাখা আছে।আমি পোস্টে যে ছবিগুলো ব্যবহার করেছি সেগুলো স্ক্রিনশট নেওয়া। ছবি গুলো আমার তোলা নয়।
আমি এখানেই শেষ করছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আপনি যে কুমিরের গল্পটি বলেছেন সেটা আসলে অনেকটাই সুন্দর ছিল, এবং আপনার জীবনের এত সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা জানতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সামনাসামনি একদম ছাড়া কুমির কখনো দেখা হয়নি। যা হয়েছে সেটি হয় টিভিতে কিংবা চিড়িয়াখানায়। তবে দেখেছি যে এদের কী পরিমান ভয়াবহ শক্তি জতে পারে। বড় বড় জন্তুদের নিজের চোয়ালের চাপে ধরাশায়ী করে ফেলে নিমিষেই। কুমিরের নাকি জিহবা নেই। সরাসরি গিলে ফেলে। নদীতে কুমির দেখা আসলেই চিন্তার বিষয়। কারণ গোসল করতে গেলে যে কারোর উপর আক্রমণ করতে পারে। সব সময় সে জন্য সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
আমারও সামনাসামনি কুমির দেখা হয়নি। আমিও চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়ে কুমির দেখেছিলাম। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পৃথিবীতে যত নদী আছে প্রতিটি নদীর একটা করে নাম রয়েছে যেমন আপনাদের নদীর নাম জংলি।। কুমির দেখে কে না ভয় পাবে প্রতিটা মানুষই জীবনের ভয় করে।। আর হ্যাঁ অনেক সময় অনেক কিছু গুজব ছড়ায় আর আমরা অনেকে এটা বিশ্বাস করে থাকি।। আর হ্যাঁ ছেলেরা যেহেতু মাছ ধরে তাই তারে আগে দেখতে পেয়েছে কুমির এছাড়াও কুমির ধরার জন্য পুলিশ সাথে অনেক মানুষ এসেছিল।।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
«El único modo de hacer un gran trabajo es amar lo que haces» Steve Jobs.
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদেরকে এই কুমিরের ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য। আসলে এখন বর্ষাকাল এখন এই সময়টা নদীতে গোসল না করাটাই সবচাইতে ভালো হবে। কারণ বিপদ কাউকে বলে আসে না। তাই আমরা চেষ্টা করব নদীতে যতদিন পানি বেশি রয়েছে আমরা বাড়িতে গোসল করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পরে আমার অনেক ভালো লেগেছে।