তালের রসের ক্ষীর রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আমিও ভালো আছি। আজকে একটা নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আমি এর আগে তালের বড়ার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আশা করি সকলের ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে নতুন নতুন রেসিপি বাড়িতে রান্না করে খেতে আমি আর আমার বর দুজনেই খুব ভালোবাসি। আমাদের বাড়িতে আমার শ্বশুর ,শাশুড়ি তেমন কিছু খেতে চায় না। আসলে ওনাদের বয়স হয়েছে ।তাই আমরা জোড় করি না। কিন্তু আমরা দুজনে নতুন নতুন খাবার খেতে পছন্দ করি। যখন ইচ্ছে হয়। তখনই দুজনে মিলে বাড়িতে পছন্দের খাবার বানিয়ে ফেলি।
আগের দিন আমার বর গ্রামের বাড়ি থেকে বেশ অনেকগুলো তাল এনেছিল। তার মধ্যে দুটো তালের বড়া করা হয়েছিল। আর একটা তাল ঘষে সেটা থেকে যেটুকু তালের রস বের হয়েছিল। সেই রস দিয়ে তালের ক্ষীর বানানো হয়েছিল। এর আগে কোনদিন তালের ক্ষীর বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া হয়নি। কিন্তু তালের ক্ষীর এত সুন্দর খেতে হয় ।আমার জানা ছিল না। তালের রস থেকে বিভিন্ন জিনিস বানানো যায়। যেমন তালের পিঠে ,তালের রুটি, আরো অন্যান্য জিনিস বানানো যায়। কিন্তু আমি সেদিন শাশুড়ির মায়ের কাছে বায়না করতেই শাশুড়ি মা তালের ক্ষীর বানাতে রাজি হয়েছিল।
কিন্তু এত সহজে যে তালের ক্ষীর বানানো যায় ।সেটা জানতাম না। আমি তো একদিন দেখেই শিখে গেছি। আমার বর তাল ছাড়িয়ে।তারপর তাল টাকে ঘষে তালের রস আগে থেকেই বের করে রেখে দিয়েছিল। চলুন তাহলে শুরু করি তালের ক্ষীরের রেসিপি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাকা তাল | ১ টা |
২ | গরুর দুধ | ৫০০ গ্ৰাম |
৩ | চিনি | হাফ কাপ |
৪ | এলাচ | ২ টো |
প্রথম ধাপ
আমি একটা গোটা পাকা তাল নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপরে তাল টাকে ছাড়িয়ে তালের আঁটি গুলো ঘষে রস বের করে নিয়েছিলাম। বেশ অনেকটাই তালের রস বের হয়েছিল।
তৃতীয় ধাপ
আমি গ্যাসে পরিমাণ মতো দুধ গরম করা জন্য বসিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এরপরে দুধটাকে ভালো করে ফুটিয়ে ঘন করে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
দুধটা ঘন হয়ে আসলে ফুটন্ত দুধের মধ্যে তালের রসটা কে ঢেলে দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
তালের রস দুধের মধ্যে দেওয়ার পরে পরিমাণ মতো চিনি দিতে হবে।
সপ্তম ধাপ
এরপর ভালো করে চামচের সাহায্যে নাড়াচাড়া করতে হবে। ভালো করে নাড়াচাড়া করবার পর আমি ওর মধ্যে এলাচের গুঁড়ো দিয়েছি। এলাচ দিলে খুব সুন্দর গন্ধ বেরোয়। এলাচ আমি গুঁড়ো করে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এরপর নাড়াচাড়া করে খুব ঘন করে জ্বাল দিতে হবে।
তৈরি
খুব ঘন করে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে তালের রস দিয়ে বানানো তালের ক্ষীর।
খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাবে তালের রসের বানানো ক্ষীর। খেতে দুর্দান্ত হয়েছিল। তালের ক্ষীর রুটি, লুচি সবকিছু সাথেই খাওয়া যায়। কিন্তু আমার তো শুধু খেতেই বেশি ভালো লেগেছে। বেশি কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়নি। সেদিন ক্ষীর বানানোর সাথে সাথে আমাদের বাড়িতে পুরোটাই শেষ হয়ে গেছে। সবার খুব পছন্দ হয়েছিল। আপনারাও সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করে ফেলুন তালের রসের ক্ষীর। আমি কাজুবাদাম, কিশমিশ সাজানোর জন্য ব্যবহার করেছি।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে। আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
তালের রসের ক্ষীর আমি কখনো খাই নাই তাই এর স্বাদ সম্পর্কে কিছুই জানিনা। কিভাবে বানাতে হয় তাও জানিনা তবে আপনার লেখা পড়ে জানতে পারলাম তালের রসের ক্ষীর বানানোর পদ্ধতি।
তলের ক্ষীর বানানোর পর প্লেটে পরিবেশন করছেন তার ওপরে কিসমিস ও কাজুবাদাম সাজিয়ে দেওয়ার জন্য আরও বেশি সুন্দর লাগছে।
লোভনীয় এই তালের রসের ক্ষীর বানানোর পদ্ধতি আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর ছাদের উপরে একটু কম হাটাহাটি করবেন মানুষ কিন্তু ভয় পাবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। রাতের বেলায় ছাদে হাঁটাহাঁটি না করলে ঘুম আসতে চাই না। তাই রাতের বেলায় ছাদে একটু হাটাহাটি করতেই হয়🤣
এর আগে আপনার তালের বড়ার রেসিপি টা খুব ভালো লেগেছিল, আজকে আবার তালের রসের খিরের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এই রেসিপিটি আমার কাছে নতুন এবং অসাধারণ মনে হয়েছে, তালের বড়ার রেসিপির তুলনায় এই রেসিপিটি বেশী সুন্দর হয়েছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তালের ক্ষীর রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
"এই রেসিপি খুবই ভালো! তালের ক্ষীর দেখে টাইটেড হয়েছি 😊। আমরা তারপর থেকে সবার সাথে শেয়ার করি এই দুর্দান্ত ভাজাটা! 🙌 আমি খুবই পছন্দ করি রাতের চিঠিতে সালাড এবং লুচি, তার মধ্যে তালের ক্ষীর! 🍴 খেতে দুর্দান্ত! 😋
আপনিও এটা চেষ্টা করুন! আমি বলব যে সবাই ভালো লাগবে না, শুধুতো খুব ভালোই লাগবে! 😊
তালের রস দিয়ে তেলের পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে।। আর হ্যাঁ তালের রস দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা যায়। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এবং এর উপকরণ সহ ধাপে ধাপে সকল কিছু উল্লেখ করেছেন।। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।