পুতুলের কাপড় পরানো
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি কিছুদিন আগের পোস্টে শেয়ার করেছিলাম মাটির কাজ কিভাবে করতে হয়। এতদিন আমি খুব ব্যস্ততার মধ্যেই ছিলাম ।তাই পুতুলের রং করাটা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারিনি। আসলে কাজের ভীষণ চাপ ।কোন কিছু করার-ই ঠিকমতো সময় পাচ্ছি না। পুতুলের অনেক খুঁটিনাটি কাজ থাকে। সারাদিন রাত পরিশ্রম করে যেতে হয়। পুতুলের পিছনে। তবে আমি পুতুলের কাজ করি বলে অনেকে নানা রকম কথা বলে ।কিন্তু আমি তাদের কথায় কিছু মনে করি না ।আমি নিজের মতো কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী তারা কিছুই বলে না। বরং আমাকে কাজ করতে উৎসাহিত করে ।কিছু মানুষ আছে পিছনে অনেক নিন্দে মন্দ করে।
জীবনে পিছন ফিরে তাকাতে চাই না। যারা প্রতিদিন আমার পোস্ট পড়েন তারা নিশ্চয়ই শুনেছেন ।আমি ছোট থেকেই মামাদের কাছে মাটির পুতুলের কাজ শিখেছি। সেই কাজটাকে এখনো করে চলেছি। তবে এখন পাশের বাড়ি কাকার কাছে করি ।বেশ কিছু দিন আগেই কাঁচামালের কাজ শেষ করেছি। তারপর কাঁচামাল আগুনে পুড়িয়ে রঙের কাজ চলছিল এত দিন। এবার চলছে পুতুলের কাপড় পড়ানোর পালা। প্রথমে ধুতি পরানো হয়। তারপর জামা। এগুলো সবই ছেলে পুতুল।
একটা পুতুলকে মানুষের মতনই জামা পরানো হয়। কিন্তু মানুষ যেমন নিজে নিজেই জামা কাপড় পড়তে পারে। পুতুল তো তা পারেনা। তাই জামার প্রত্যেকটা খন্ড আলাদা আলাদা থাকে। মানুষ জামাকাপড় সেলাই করে পড়ে ।আর আমরা পুতুলকে জামা কাপড় আঠার সাহায্যে পড়ায়। রংয়ের কাজ আমিও কিছুটা করেছি ।কিন্তু আমার শরীর অসুস্থ হওয়ায় এখন ঠিকমতো কাজ করে উঠতে পারছি না।
কিছুদিনের মধ্যেই পুতুলের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। তাই এখন অনেকটা রাত জেগেই কাজ চলছে। যিনি পুতুল গুলো নেবে তিনি তাড়াতাড়ি করছে। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। এবার বলি কীভাবে পুতুলের কাপড় পরানো হয়।দোকান থেকে কাপড় কিনে এনে সাইজ করে কেটে নিতে হয়। এরপর ধাপে ধাপে জামা পরানো হয়।পুতুলের পিছনের দিকটা পড়ানো হয় ।তারপরে সামনের পিঠটা আঠা দিয়ে লাগানো হয়। এরপর একটা একটা করে দুই হাতে জামার হাতা ঢোকানো হয়। পুতুলের এখনো অনেক কিছুই বাকি রয়েছে। আমরা এই টুকু ফিনিশিং করতে পেরেছি ।সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম । এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আসলে অনেক সূক্ষ্ম কাজ তাই ধরে ধরে করতে হয়।না হলে পুতুল সাজানো ভালো লাগবে না।
পুতুল যখন পুরো পুরি ফিনিশ হয়ে যাবে ।তখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আমি কেমন পুতুল বানায় সেটা আপনাদের দেখাবো। আশা করি আপনাদের আমার কাজ ভালো লাগবে। এরকম বিভিন্ন ধরনের পুতুল যেগুলো আমরা বানায় । সেই গুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। তাহলে আমি আবারও মাটির পুতুল তুলে ধরার চেষ্টা করব ।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার পরবর্তী কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আপনার পুতুল বানানো নিয়ে পোস্ট আমি আগেও পড়েছি। মাটির সাথে তুলা মিশিয়ে পুতুল বানানো হয় জেনে সেদিন আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
আজকে আপনার পুতুল গুলোর দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আমি, এতো সুন্দর।!!
শিগগিরই আপনি আমাদেরকে কাজ ফিনিস হয়ে যাওয়া পুতুল দেখাবেন।
পুতুল পুরোপুরি ফিনিশ হয়ে গেলে নিশ্চয়ই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব ।আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুতুলের কাপড় পরানো নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন, পুতুলগুলোকে কাপড় পরানোর পরে অনেক সুন্দর লাগছে, ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আশা করি আপনার থেকে পুতুল বানানোর বিস্তারিত জানতে পারবো, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
পুতুলের কাপর পোড়ানো নিয়ে বেশ সুন্দর তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করেছেন যেটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ আর পুতুলের কাপড় পোড়ানো গল্প টিভিতে আর ফোনে আগে বেশ দেখতাম ৷ তারপর ছোটবেলায় যখন ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতো তখন এই ধরনের পুতুলের মধ্যে শাড়ি পড়িয়ে দিতো ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
প্রথমত আপনার পুতুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে মনে হচ্ছে কোন রাজার বাড়িতে মাঠের মধ্যে সৈন্যরা যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকে সেভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি একটি সুন্দর কাজ ধরে রাখছেন এই কাজগুলো প্রশংসার দাবিদার এরকম কাজ আমি আমার চোখে কখনোই এর আগে পরে নাই শুধু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়ে জানতে পারি। পুতুলগুলো যেরকম সুন্দর কাপড় গুলো তার চেয়েও বেশি সুন্দর এই পুতুলগুলো দেখে আমার একটি পুতুল নেওয়ার খুব ইচ্ছা পোষণ করছি । আপনার লাস্টের ছবিটা দেখে এত সুন্দর লাগছে আমার ফোন স্কিনশট দিয়ে রেখে দিয়েছি।
আমি মনে করি মানুষের নিন্দা কে, কখনো কানে দিতে নেই,নিজের সৎ চেষ্টা দিয়ে কাজটা কে এগিয়ে নিয়ে যায় হচ্ছে বড় কথা। আমরা যদি অন্যের কথা কান দেই তাহলে কখনো আমাদের সফলতা আসবে না। আপনার কাজের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা পুতুলগুলো খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন আপনি এবং জামাও পড়িয়েছেন ভালো লাগছিল।