স্বাধীনতা দিবস
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
প্রথমেই সকলকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা।আজকে ছিল স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে ১৫ ই আগস্ট আমাদের ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছিল।এ বছরে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হলো। মহান বিপ্লবীদের রক্তে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভারতের মহান বিপ্লবীদের কয়েক জনের নাম গুলি হল -নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ,মহাত্মা গান্ধী ,ভগৎ সিং ,ক্ষুদিরাম বসু। অনেক বিপ্লবী জীবনে শেষ পর্যন্ত ভারত স্বাধীনতা হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। এই বিপ্লবীদের জন্যই আজ আমরা স্বাধীন ভারতে বাস করতে পারছি। স্বাধীন আমাদের ভারত বর্ষ।
স্বাধীন ভারতের একজন সুশিক্ষিত দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য এই স্বাধীনতা রক্ষা করা। তবেই আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আজ আমরা সবাই স্বাধীন হলেও বেশিরভাগ জায়গায় নারীরা আজও পরাধীন ।তাদের ইচ্ছেমতো কাজের স্বাধীনতা পায় না। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলেই ।তবেই ভারতবর্ষ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়ে উঠবে ।আর এই ভাবেই আমরা নিজেরাই আমাদের দেশকে প্রথম স্থানে নিয়ে যেতে পারবো।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পন্ডিত জহরলাল নেহেরু। তিনি নয়া দিল্লির লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। তারপর থেকেই প্রতিবছর আমরা স্বাধীনতা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করি। স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় কোটি কোটি বীর শহীদদের আত্মত্যাগ। স্বাধীনতা দিবসের দিনে সেই বীর শহীদদের চরণে জানাই শত কোটি প্রণাম। আমাদের দেশ আজ স্বাধীন হলেও বেশিরভাগ জায়গায় নারীরা আজও পরাধীন।
আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে একটু বেরিয়ে ছিলাম। ছোটবেলায় পতাকা তুলতে যাবার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুল তুলে বেড়াতাম। স্কুল থেকে বলতো বাড়ি থেকে ফুল নিয়ে যাওয়ার জন্য। কালকে পাশের বাড়িতে দুটো বাচ্চা দেখলাম ফুল তুলতে এসেছে। তাদের জিজ্ঞেস করলাম ফুল কি হবে ।তারা বলল স্কুলে ফুল নিয়ে যেতে বলেছে। বোনের সাথে আজকে বোনের স্কুলে গিয়েছিলাম। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম ।তখন এত কিছু পালন করা হতো না। কিন্তু এখন গান, বাজনা বাজিয়ে রোড শো করানো হয়। এছাড়াও নাচ ,গান আরো অনেক কিছু করা হয়।
প্রত্যেকের গায়ে একটা করে পতাকা লাগানো।দল বেঁধে এক সুরে গান গাইছে। সকাল বেলায় এই অপূর্ব দৃশ্য মন ছুঁয়ে যাচ্ছিল। দূর থেকে মনে মনে ভাবছিলাম। আমাদের বেলায় এত কিছু হতো না। আমি বেশিক্ষণ ছিলাম না। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।দেশ হয়তো দিন দিন অনেক উন্নত হচ্ছে। কিন্তু আজ অনেক মেয়েরা শুধু বাড়ির বাইরে বলেই না বাড়িতেই নিরাপদ নয়। এখন প্রত্যেক বাড়ির ছাদে পতাকা টাঙানো থাকে। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক জায়গায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। গান গাওয়ার পরে প্রত্যেক কে লজেন্স, বিস্কুট দেওয়া হয়। অনেক বছর পর স্বাধীনতা দিবসের দিনটি খুব ভালোভাবে কাটিয়েছি।
পতাকা উত্তোলনের সময় জয় হিন্দ আর বন্দেমাতরম শ্লোগান দেওয়া হয়।আজ এইখানে শেষ করছি। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে। পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে আবার হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আপনাদের মত আমরাও প্রত্যেক বছরই স্বাধীনতা দিবস পালন করে কিন্তু এবছরের স্বাধীনতার দিবস টা পালন করা হলো না কারণ রাজনৈতিক সমস্যা করো না এ বছর আর স্বাধীনতা দিবস টা হল না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।