দই পটল রেসিপি
আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি একটি নতুন রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বাড়িতে মাঝে মাঝে নতুন নতুন পদ রান্না করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে নিরামিষের দিন আমাদের একটু বেশি পদ রান্না করা হয়। তবে নতুন নতুন পদ রান্না করলে আমার বর খুব খুশি হয়। আজকে আমি আপনাদের শেয়ার করব নিরামিষ দই পটল রেসিপি। আমাদের বাড়িতে মাছ ,মাংস থেকে সবজি বেশি খাওয়া হয়। আমার শ্বশুরমশাই বলেন সবজি খেলে শরীর বেশি ভালো থাকে। তাই প্রতিদিন আমাদের সবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। শশুর মশাই সেদিন বাজার থেকে টাটকা পটল কিনে নিয়ে এসেছিল। তাই দেখে ভাবলাম পটলের কিছু রেসিপি তৈরি করব।
তারপর আমি নিজের হাতে সবকিছু রেডি করলাম।একাই তৈরি করেছিলাম দই পটল রেসিপি। যেহেতু অল্প মসলা তাই আমি শিলে বেটে নিয়েছিলাম। আমি দই পটল রেসিপিতে আলাদা করে জল ব্যবহার করিনি। কারণ দই পটল রান্না করতে আমি কালো সরষে ব্যবহার করেছি। তাই সরষে বেটে তার মধ্যে জল দিয়েছি । তারপর সরষে বাটার ওপরের অংশটাকে ব্যবহার করেছি। আর জলের নিচে পড়ে থাকা খোসাটা ফেলে দিয়েছি। কারণ খোসাটা খেলে নাকি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। আমরা কোন রান্নায় যখন সরষে দিই ।তখন সরষে বাটা এই ভাবেই ব্যবহার করি। দই পটলে আমি টক দই ব্যবহার করেছি। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো টক দই নিয়ে প্রথমে দুই চামচ চিনি দিতে হবে। এরপর একটা চামচের সাহায্যে ভালো করে দই টাকে ফাটিয়ে নিতে হবে। এগুলো আমি প্রথমেই রেডি করে রেখেছিলাম। চলুন তাহলে শুরু করি দই পটল রেসিপি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পটল | ৩০০ গ্ৰাম |
২ | টক দই | ৪ চামচ |
৩ | চিনি (দই এর জন্য) | ২ চামচ |
৪ | সরষের তেল | ২৫ গ্ৰাম |
৫ | পাঁচফোড়ন | হাফ চামচ |
৬ | শুকনো লঙ্কা | ১ টা |
৭ | তেজপাতা | ২ টো |
৮ | লবঙ্গ | ২ টো |
৯ | এলাচ | ১ টা |
১০ | গোলমরিচ | ২ টো |
১১ | দারচিনি | হাফ টুকরো |
১২ | কাঁচা লঙ্কা | ৪ টে |
১৩ | লবণ | ২ চামচ |
১৪ | হলুদ | ১ চামচ |
১৫ | আদা বাটা | ১ চামচ |
১৬ | জিরে গুঁড়ো | ১ চামচ |
১৭ | ধনে গুঁড়ো | ১ চামচ |
১৮ | কালো সরষে | ২ চামচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি পটলগুলো ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। এরপরে পটলের দুই দিকের মুখ একটু করে চিরে দিয়েছি। এরপর পটলগুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। এইভাবে চিরে নিলে পটলের ভেতরে মসলা ভালোভাবে ঢুকবে। আমাদের বাজার থেকে আনা পটল গুলো কচি ছিল। তাই পটল থেকে বীজগুলো বের করিনি ।যদি পাকা পটল হয় ।তাহলে আপনারা বীজগুলো বের করে নিতে পারেন। আসলে অনেকে পটলের বীজ খেতে ভালোবাসেন না।
দ্বিতীয় ধাপ
পটল গুলো ভালো করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল গরম করে পটলগুলো কড়াইতে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
ভাজার সময় সামান্য পরিমাণে নুন ,হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এরপর আমি কড়াইয়ের গরম তেলে পাঁচফোড়ন, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ ,দারচিনি, গোলমরিচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
ভালোভাবে নাড়াচাড়া করার পর ভেজে রাখা পটলগুলো আবার কড়াইতে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর পটলের মধ্যে বেটে রাখা মসলা, লবণ , হলুদ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষিয়ে নেবার পর ফাটিয়ে রাখা দইটা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
সপ্তম ধাপ
এরপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুললেই তৈরি হয়ে যাবে দই পটল রেসিপি।
আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে রান্না করেছিলাম দই পটল রেসিপি। আমি বিশেষ কিছু মসলা ব্যবহার করিনি। প্রতিদিন যে মসলাগুলো দিয়ে রান্না করি ।সেই গুলো ব্যবহার করেছিলাম। আমাদের আগের দিন বাড়িতে দই পাতা ছিল । আমি বাড়ির পাতা দই ব্যবহার করেছি। বাড়িতে এইভাবে দই পটল রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয় ।শরীরের পক্ষেও অনেক ভালো। খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরি করে ফেলুন দই পটল রেসিপি। আজ এই পর্যন্তই থাক আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব।
আপনার এই রেসিপির মতন আমি পটল ভাজা অনেক খেয়েছি কিন্তু আজকে এই প্রথম শুনলাম যে টক দই দিয়ে পটল ভাজি করা যায়। যাইহোক আজকে আপনার নতুন রেসিপি টা দেখে অনেক খুশি হলাম এবং এরকম নতুন নতুন রেসিপি আরো আপনার কাছ থেকে আমরা আশা করি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
আপনি এইরকম করে বাড়িতে পটল ভাজা খেয়েছেন। আশা করি দই পটল বানিয়ে খেলে সেটাও খুব সুন্দর লাগবে। আমার পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজ আপনার পোষ্ট পরিদর্শন করে নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। নারিকেলের দুধ দিয়ে পটল রান্না করা অনেক বার খেয়েছি। তবে দই দিয়ে পটল রান্না করা যায় এটা আমার জানা ছিলো না যেটা আমার কাছে একদম নতুন। এবং আপনার রান্না করার পদ্ধতি দেখে মনে হলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনি নারিকেলের দুধ দিয়ে পটল রান্না করে খেয়েছেন। কিন্তু আমি কোনদিন নারকেলের দুধ দিয়ে পটল রান্না খাইনি। আপনি বাড়িতে দই পটল বানিয়ে খাবেন অবশ্যই ভালো লাগবে।আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে এইভাবে যে দুই ফুটল রেসিপি করা যায় আমি কখনো শুনিনি। সত্যি আপনার এই রেসিপি থেকে আজকে নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হলো। তবে জানিনা এটা খেতে স্বাদ কেমন। তবে আমাদের বাংলাদেশে পটল দিয়ে বেশিরভাগ সময় ভাজি এবং তরকারি রান্না হয়।
তবে আপনার এই রেসিপির কথা আমি আমার মা'কে বলবো।
এরকম নিত্য নতুন রেসিপি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই মাকে বলবেন ।তবে আমার থেকে আশা করি আপনার মা আরো ভালো রান্না করে আপনাকে খাওয়াবে। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আমার ব্যাক্তিগতভাবে এমন রেসিপি কখনো খাওয়া হয়ে উঠেনি।তবে আমি আপনার দেখে এই রেসিপিটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আমিও কোন এক সময় এটা করার ট্রাই করবো।আপনি আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।বিশেষ করে দ্রব্যের পরিমান খুব সুন্দরভাবে উল্লেখ করেছেন আর প্রতিটি ধাপের ব্যাখ্যা খুব সুন্দর ছিলো।ধন্যবাদ
একই জিনিসের যে কত ধরনের রেসিপি বানানো সম্ভব সেটা বলা মুশকিল। আপনি আজ আমাদের মাঝে দই পটল বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে দই পটল আমি খাই নি তবে তেল পটল নামে একটা পদ খেয়েছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিলো। আপনার রেসিপি পোস্টগুলো সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।