গৃহ প্রবেশের নিমন্ত্রণ

in Incredible India4 days ago

আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।

১৫ ই আগস্ট বৃহস্পতিবার দিন। আমাদের একটা দাদার বাড়িতে গৃহ প্রবেশের নেমন্তন্ন ছিল। সম্পর্কে উনি আমার ভাসুর হয়। দাদারা ও নতুন বাড়ি করেছে। তাই বাড়িতে ঢোকার আগে পুজো অনেকদিন আগেই দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু তখন সকলকে বলতে পারিনি। তাই গৃহ প্রবেশের খাওয়ানো সকলকে বাকি ছিল। ১৫ ই আগস্ট এর দিন আমাদের দেশে স্কুল ,কলেজ , অফিস সব কিছুই বন্ধ থাকে। তাই ওই দিনটি বেছে নিয়েছিল। কারণ সকলেই চাকুরীজীবী মানুষ ছুটি থাকে না। ছুটির দিনে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলে সকলেই যাতে আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছিল। দাদা নিজে ও একজন ইন্ডিয়ান আর্মি।

IMG20240815151203.jpg

এ বছরে পূজোর নেমন্তন্ন যেন পিছন ছাড়ছে না। অন্য কোন বছর এত নিমন্তন্ন আমাদের আসেনা। এবছরে একের পর নিমন্ত্রণ আসছে।আর নিমন্ত্রণ করলে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে হবে। সেদিন আমার শাশুড়ি মা বৃহস্পতিবারের পূজা সেরে চলে গিয়েছিল দাদার বাড়ি। শ্বশুর মশাই কোথাও যেতে চায় না। শশুর মশাই ও সেদিন গিয়েছিল পূজোর নিমন্তন্ন খেতে। শাশুড়ি মা আর শ্বশুরমশাই দুজনে একসাথে গিয়েছিল ।আমি আর আমার বর পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার কিছু কাজ ছিল। সেগুলো সেরেই আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু যেতে একদমই ইচ্ছে করছিল না ।শরীরটা বাড়ি থেকেই খারাপ করছিল। কিন্তু শাশুড়ি মা অনেকবার ফোন করছে যাবার জন্য ।গ্রাম থেকে অনেকে এসেছে। তারা সকলেই শাশুড়ি কে বলছে বৌমা কখন আসবে। সকলের সাথে দেখা করার জন্য আরো যেতে হয়েছিল।

IMG20240815163454.jpg

বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়। দুজনেই রোদের মধ্যেই হাঁটতে হাঁটতে গিয়েছিলাম। সেদিন প্রচন্ড রোদ আর গরম ছিল। শরীরটা যেন আরো অস্বস্তি করছিল। যাই হোক গিয়ে সকলের সাথে একটু গল্প করছিলাম। সকলেই আমার থেকে অনেক বড় ।কেউ আমার সমবয়সী নয়। কিন্তু গল্প করতে করতেই হঠাৎ শরীরটা আরো খারাপ করতে শুরু করলো। আমি তখন কাউকে কিছু না বলেই একা একাই বেরিয়ে পড়েছিলাম বাড়ি আসবো বলে। হেঁটে হেঁটে আসছে অনেকটাই সময় লেগেছিল। দুপুরবেলায় রাস্তা ফাঁকা। একা আসতে একটু ভয় লাগছিল। অনেকক্ষণ পর বর আমাকে খুঁজে না পেয়ে ফোন করছিল। তখন আমি ওকে বললাম যে আমার শরীরটা খারাপ করছিল তাই চলে এসেছি। ও তখন শুনে বাড়ি চলে এসেছিল।

IMG20240815161737.jpg

যাই হোক দুজনে অনেকক্ষণ রেস্ট নিয়ে পরে শরীরটা যখন একটু সুস্থ বোধ করছিল ।তখন আবার দুজনে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে ছিলাম।না হলে শাশুড়ি বকাবকি করছিল। গিয়ে দেখলাম খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল ভালোই। যাওয়ার সাথে সাথে ফল প্রসাদ দিয়েছিল ।এছাড়াও ছিল নান পুরি, চানা মসলা ,ফ্রাই রাইস ,আলুর দম, চাটনি ,পাপড় মিষ্টি, দই। অনেক কিছুরই ব্যবস্থা করেছিল ।কিন্তু কোন খাবার টাই আমার মনের মতো হয়নি। রান্না ভালো হয়নি।বাড়িটা অনেক বড় করলেও খাওয়ার জায়গাটা খুবই ছোট। তাই সকলের খেতে অনেক দেরি হয়েছিল। যেহেতু আমার বিকেল বেলায় পড়ানো থাকে ।তাই আমি তাড়াতাড়ি করছিলাম। কিন্তু বাড়িতে এসে দেখি সকলেই পড়তে এসে প্রায় এক ঘন্টা বসে আছে। কারণ আমার আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি পড়াতে বসে পড়েছিলাম।


আজ এইখানেই শেষ করছি ।আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে। পরবর্তী কোনো নতুন গল্প নিয়ে আবার হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Sort:  
Loading...
 3 days ago 

Thank you 🙏

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 60794.44
ETH 2623.30
USDT 1.00
SBD 2.62